সিনিয়র রিপোর্টার
এস আলম গ্রুপের নিয়ন্ত্রণে থাকা সোস্যাল ইসলামী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ এবার ভেঙে দিচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ব্যাংকটির উদ্যোক্তা শেয়ারহোল্ডার ও স্বতন্ত্র পরিচালকদের সমন্বয়ে নতুন পর্ষদ গঠিত হচ্ছে।
রবিবার (২৫ আগস্ট) নতুন পর্ষদ সদস্যদের তালিকা ব্যাংকটিতে পাঠানো হতে পারে বলে জানা গেছে।
এর আগে, গত সপ্তাহে এস আলমের নিয়ন্ত্রণে থাকা ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ ও ন্যাশনাল ব্যাংকের পর্ষদ ভেঙ্গে পুনর্গঠন করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ইসলামী ব্যাংকের বেশিরভাগ শেয়ার এস আলম গ্রুপের নিয়ন্ত্রণে থাকায় ব্যাংকটির পর্ষদ গঠিত হয়েছে স্বতন্ত্র পরিচালকদের সমন্বয়ে। আর ন্যাশনাল ব্যাংকে পুরনো পরিচালকদের মধ্য থেকে বিএনপি নেতা আব্দুল আউয়াল মিন্টুর নেতৃত্বে পর্ষদ গঠিত হয়েছে।
এস আলম গ্রুপের নিয়ন্ত্রণে থাকা ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী, গ্লোবাল ইসলামী, ইউনিয়ন ও বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংকের পর্ষদও পর্যায়ক্রমে ভেঙে দেওয়া হবে। গত বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, পর্যায়ক্রমে এস আলম গ্রুপের নিয়ন্ত্রণে থাকা অন্য ব্যাংকগুলোর পর্ষদও ভেঙে দেওয়া হবে। তবে এ নিয়ে তড়িঘড়ি করা হবে না।
তিনি বলেন, ঋণ বের করা ঠেকাতে এরই মধ্যে বিভিন্ন ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আবার শেয়ার হস্তান্তর বা বিক্রি যেন করতে না পারে, সে ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে। তবে এসব শেয়ার সরকার নেবে না। বিক্রি করে নামে-বেনামের ঋণ সমন্বয় করারা হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ফজলে কবির ও একটি গোয়য়েন্দা সংস্থার সহায়তায় ২০১৭ সালে ইসলামী ব্যাংক ও এসআইবিএল দখলে নেয় এস আলম গ্রুপ। এরপর ব্যাংক দু’টিসহ বিভিন্ন ব্যাংক থেকে নামে-বেনামে হাজার-হাজার কোটি টাকা বের করে নিয়েছে গ্রুপটি। বিপুল অঙ্কের ঋণ বের করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও এসব ব্যাংকে বড় একটি চক্র গড়ে তোলেন এস আলম গ্রুপের কর্ণধার সাইফুল আলম মাসুদ। তাদের বেশিরভাগই এখন পলাতক।