অনলাইন ডেস্ক
সচিবালয় ঘিরে রবিবার (২৫ আগস্ট) সকাল থেকে আন্দোলন করছিলেন আনসার সদস্যরা। এতে আটকা পড়েন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কয়েকজন উপদেষ্টা, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তরা। পরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই সমন্বয়কের ডাকে শিক্ষার্থীরা তাদের প্রতিহত করতে গেলে দুপক্ষের মধ্যে শুরু হয় সংঘর্ষ। এতে অনেকে আহত হয়ে এখন হাসপাতালে ভর্তি।
আনসার সদস্যদের সঙ্গে শিক্ষার্থী-জনতার ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনায় অন্তত ৪০ জন আহত হয়ে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের (ঢামেক) জরুরি বিভাগে যান বলে জানান, হাসপাতালটির পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া। তিনি বলেন, সচিবালয়ের সামনে শিক্ষার্থী ও আনসারদের সংঘর্ষে অন্তত ৪০ জন আহত হয়ে ঢাকা মেডিক্যালে চিকিৎসা নিতে এসেছেন। এদের মধ্যে চার থেকে পাঁচজন আনসার সদস্য বাকিরা সবাই শিক্ষার্থী।
এর আগে রাত ৯টা ২০ মিনিটের দিকে সচিবালয়ের সামনে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সরেজমিনে দেখা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলমকে আটক রাখার খবরে সচিবালয়ের উদ্দেশে রওনা হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এ সময় আনসার সদস্যরা শিক্ষার্থীদের ধাওয়া করে। এ সময় কয়েকজনকে লাঠিপেটা করে আনসার সদস্যরা। পরে শিক্ষার্থীরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে আনসার সদস্যরাও পিছু হটে।
প্রথমদিকে দুই পক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হলেও একপর্যায়ে সেনাবাহিনী ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের সহায়তায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। সর্বশেষ সেনাবাহিনীর সদস্যরা সচিবালয়ের গেটে অবস্থান করছেন। এদিকে শিক্ষার্থীরা সব ধরনের চক্রান্ত প্রতিহত করার কথা বলে বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দিতে থাকেন ওই সময়।
কেন তাদের প্রতিহত করতে এলেন, জানতে চাইলে ঢাবি শিক্ষার্থী আতিক হোসেন বলেন, আনসার সদস্যদের দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে। এখন তারা একটি অযৌক্তিক দাবি নিয়ে পরিস্থিতি ঘোলাটে করছেন। তারা আমাদের দুই সমন্বয়ককে আটকে রাখেন। এমনিতেই সারা দেশ সংকট চলছে। এর মধ্যে তারা অন্যায়ভাবে অবস্থান করছেন। এর পেছনে অবশ্যই চক্রান্ত কাজ করছে বলে দাবি করেন তিনি।
রাত সাড়ে ১০টার পর সচিবালয়ের ভেতর থেকে বাইরে আসেন উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম ও উপদেষ্ট আসিফ মাহসুদ। তারা উত্তেজিত শিক্ষার্থীদের শান্ত থাকার কথা বলেন। এ সময় শিক্ষার্থীদের ওপর যেসব আনসার সদস্য হামলা চালিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।