সিনিয়র রিপোর্টার
বেআইনি সমাবেশ ও পুলিশের কাজে বাধাদানের অভিযোগে রাজধানীর পল্টন মডেল থানায় চার হাজার ১১৪ আনসার সদস্যদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এর মধ্যে ১১৪ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
সোমবার (২৬ আগস্ট) পল্টন থানার উপ-পরিদর্শক সাজ্জাদ হোসেন ভুইয়া বাদী হয়ে মামলাটি করেছেন। এ মামলায় ৯৫ আনসার সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারাসহ পৃথক তিন মামলায় ১০৯ জনকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়েছে।
নিজেদের চাকরি জাতীয়করণের দাবি আদায়ে রবিবার (২৫ আগস্ট) প্রায় ১০ হাজার আনসার সদস্য একত্রিত হয়ে সচিবালয় ঘেরাও করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সাত জন উপদেষ্টাসহ সচিবালয়ের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জিম্মি করে রাখেন।
উত্তেজিত আনসার সদস্যদের শান্ত করার জন্য বিকালে মহাপরিচালক, আনসার ও ভিডিপি সচিবালয়ে আসেন এবং আনসার সদস্যদের সকল দাবি মেনে নেন। এরপরও উত্তেজিত আনসার সদস্যরা সচিবালয় এলাকা ত্যাগ না করে আনসার ও ভিডিপির মহাপরিচালককে অবরুদ্ধ করে রাখেন এবং কিছু আনসার সদস্য সচিবালয়ের তিন নম্বর গেট ভেঙে ভিতরে প্রবেশের চেষ্টা করেন।
এ সময় উত্তেজিত আনসার সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছাত্রদের ওপর অতর্কিত হামলা করেন এবং সচিবালয়ের নিরাপত্তায় নিয়োজিত সেনাবাহিনীর টহলের উপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপসহ লাঠি দ্বারা আঘাত করেন।
এ সময় ছয় জন সেনাসদস্য আহত হন এবং এর মধ্যে একজনের জনের অবস্থা গুরুতর। এ ছাড়া ৪০ আনসার ও শিক্ষার্থী আহত হয়ে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছেন। পরবর্তীতে সচিবালয় এলাকায় অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করে আনসারদের ছত্রভঙ্গ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা হয়।
এরপর সচিবালয়ে অবরুদ্ধ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সাত উপদেষ্টা, ডিজি আনসার, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং সচিবালয়ের সকল কর্মকর্তা সেনাবাহিনীর সহায়তায় সচিবালয় এলাকা নিরাপদে ত্যাগ করেন।
এদিকে শাহবাগ থানার আরেক মামলায় আরো তিন হাজার ২০৮ আনসার সদস্যকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এর মধ্যে ২০৮ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক শামীম মীর মালত বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেছেন।