অনলাইন ডেস্ক
অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে পাট ও বস্ত্র মন্ত্রী এবং নারায়ণগঞ্জ-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম দস্তগীর গাজী ও বরগুনা-১ আসনের সাবেক এমপি ধীরেন্দ্র নাথ শম্ভুসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে অনুসন্ধান শুরুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
রবিবার (২৫ আগস্ট) দুদকের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার বাকি তিন আসামি হলেন- সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব কবির বিন আনোয়ার। গোলাম দস্তগীর গাজীর স্ত্রী হাসিনা গাজী ও বরগুনা-১ এর সংসদ সদস্য ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুর ছেলে সুনাম দেবনাথ।
নারায়ণগঞ্জ-১ আসনে পর পর চারবার নির্বাচিত হয়েছেন গোলাম দস্তগীর গাজী। তার বিরুদ্ধে জমি জবরদখল করে নিজের কারখানা স্থাপন, তৃণমূল নেতাকর্মীদের উপেক্ষা করে ক্যাডার বাহিনী গড়ে তোলা, অর্থপাচারের অভিযোগ আছে। শনিবার (২৪ আগস্ট) রাতে পৌনে ৩টার দিকে গোলাম দস্তগীর গাজীকে তার শান্তিনগরের বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।
বরগুনায় সড়ক ও জনপথ বিভাগ, পানি উন্নয়ন বোর্ড এবং এলজিইডিসহ ঠিকাদারি সংশ্লিষ্ট দফতরে টেন্ডারবাজি, অভিযোগ আছে জেলার বিভিন্ন কাজে নজিরবিহীন অনিয়ম-দুর্নীতি আর অপরাজনীতির মাধ্যমে শত কোটি টাকার মালিক হয়েছেন সাবেক এমপি ধীরেন্দ্র নাথ শম্ভু। তিন দশক ধরে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির পদে ছিলেন তিনি। ৫ বার আসনটির সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
অন্যদিকে, কবির বিন আনোয়ার ১৯৮৫ ব্যাচে বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারে যোগদান করেন। ছাত্রজীবনে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হলের ছাত্রলীগ থেকে নির্বাচিত সভাপতি ছিলেন। ২০২৩ সালের অল্প কিছুদিনের জন্য মন্ত্রিপরিষদ সচিবের দায়িত্ব পালন করেন। তার বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে। কোটা সংস্কার আন্দোলনে সিরাজগঞ্জে দুই বিএনপি কর্মী ও একজন যুবদল নেতা হত্যার ঘটনায় পৃথক তিন মামলায় আসামিও হয়েছেন সাবেক এই মন্ত্রিপরিষদ সচিব।