সিনিয়র রিপোর্টার
অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে অঢেল সম্পদ অর্জনের অভিযোগে রাজশাহী-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ডা. মনসুর আহমেদসহ তিনজনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) দুদকের ঊর্ধ্বতন একটি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
মামলার বাকি দুই আসামি হলেন- গাইবান্ধা-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদ ও বরিশাল-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শাহে আলম তালুকদার।
সূত্র জানায়, গোয়েন্দা তথ্যের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুদক। এই তিন সংসদ সদস্যদের বিরুদ্ধে অর্থপাচার, প্রকল্পের অর্থ লোপাট, কাবিখা-কাবিটার অর্থ আত্মসাৎসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ আনা হয়েছে।
দুদক সূত্রে জানা যায়, রাজশাহী-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মনসুর রহমানের নির্বাচনী হলফনামা অনুসারে বার্ষিক আয় বেড়েছে সাড়ে ৬ গুণেরও বেশি। অন্যান্য সম্পদের পরিমাণও ২০০ গুণ বেড়েছে। শিক্ষকতা, শেয়ার ও চাকরি থেকে বার্ষিক আয় দেখালেও সম্পদ বৃদ্ধির বিষয়টি অস্বাভাবিক বলে অভিযোগ রয়েছে।
গাইবান্ধা-৪ আসনের সাবেক এমপি আবুল কালাম আজাদের নামে নামে-বেনামে কয়েকশ বিঘা জমি ক্রয়, নিজ উপজেলায় প্রশাসনিক ভবনের কাছে তিনি দেড় কোটি টাকা ব্যয়ে তিনতলাবিশিষ্ট অট্টালিকা নির্মাণসহ ১১ ধরনের দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। বেশ কিছুদিন আগে থেকেই তার বিরুদ্ধে ১৭ ধরনের অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। এমনকি তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান করতে হাইকোর্টে রিটও হয়েছিল বলে জানা গেছে।
অন্যদিকে, বরিশাল-২ আসনের সাবেক এমপি শাহে আলম তালুকদারের বিরুদ্ধে টেন্ডারবাজি, ক্ষমতার অপব্যবহার, ঘুষ গ্রহণ, বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে সরকারি বরাদ্দকৃত অর্থ আত্মসাতপূর্বক নিজ নামে ও পরিবারের সদস্যদের নামে বিপুল পরিমান ঞ্জাত আয়বর্হিভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে।