বিসিকের ৪ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শৃংখলা ভঙ্গের অভিযোগ!
-
ডেস্ক :
-
আপডেট সময়
০৭:৩৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৪
- 119
অনলাইন ডেস্ক : উশৃংখলতা এবং উদাসীনতার এক অনন্য নজির স্থাপিত হয়েছে বিসিক ভবনে। ২১ আগষ্ট ২০২৪ তারিখ সকাল ১১ টায় বিসিক ভবনস্থ বিসিক কর্মকর্তা সমিতির অফিস কক্ষে বিসিকের সর্বস্তরের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে এক সভার আয়োজন করা হয়। এ সভার মূল পরিকল্পনাকারী ব্যক্তিগন হচ্ছেন: মহাব্যবস্থাপক পদ মর্যাদার কর্মকর্তা মোঃ শফিকুল আলম, বিসিক লবণ সেল প্রধান মোঃ সরোয়ার হোসেন এবং উন্নয়ন বিভাগের মনিটরিং শাখার উপব্যবস্থাপক মোঃ মেরাজ উদ্দিন। সভায় অংশ গ্রহনের জন্য মৌখিকভাবে আমন্ত্রণ জানানোর দায়িত্ব দেয়া হয় বিসিক আইন সেলের আইন কর্মকর্তা মাহবুব আলমকে। কতিপয় ধান্দাবাজের স্বার্থ সিদ্ধির জন্য অফিস চলাকালীন সময়ে বিপুল পরিমাণ শ্রমঘন্টা নষ্ট করে এ ধরনের সভার কাজে সহযোগিতা প্রদান করেছেন বিসিকের পরিচালক (প্রশাসন) যিনি স্বৈরাচারী আচরণে অভ্যস্ত এবং পক্ষপাত দোষে দুষ্ট একজন কর্মকর্তা। যার কারণে বিসিকের কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ তাদের প্রাপ্য অধিকার হতে বঞ্চিত হয়ে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে আসছেন।
নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, মহাধান্দাবাজ কর্মকর্তা মোঃ শফিকুল আলম স্বৈরাচারী সরকারের আমলে নিজেকে মতিয়া চৌধুরীর ভাগ্নে বলে পরিচয় দিয়ে প্রভাব বিস্তারের এবং স্বার্থ হাসিলের চেষ্টায় নিজেকে নিমজ্জিত রেখেছেন, যা বিসিকের সকলস্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ ভালভাবেই অবগত আছেন। সরোয়ার হোসেনের বিষয়ে নতুন করে কোন কিছু বলার অপেক্ষা রাখে না। বিসিকের সকল কর্মকর্তা কর্মচারী তার ব্যাপারে খুব ভাল্ভাবে অবগত আছেন। বিগত স্বৈরাচারী সরকারের আমলে তার প্রভাবে বিসিকের প্রতিজন কর্মকর্তা কর্মচারী আতঙ্কগ্রস্থ অবস্থায় দিন যাপন করেছেন। তৎকালীন সময়ের মন্ত্রী প্রতিমন্ত্রী, এমপি, পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা (যারা ইতোমধ্যে বিভিন্ন ধরনের প্রশাসনিক ব্যবস্থার মুখোমুখি হয়েছে), সরকারী উচ্চপদস্থ আমলা তার একান্ত কাছের লোক বলে পরিচয় দিয়ে সুবিধা আদায়ের কাজে ব্যস্ত ছিলেন।
মোঃ মেরাজ উদ্দিন যিনি বিসিকের সর্বত্র নিজেকে ডিবি হারুনের এবং ডিএমপির কমিশনার বিপ্লব সরকারের কাছের লোক পরিচয় দিয়ে নিজেকে জাহির করতেন। অন্যদিকে পতিত স্বৈরাচারী আওয়ামী সরকারের শিল্প মন্ত্রীর আশীর্বাদপুষ্ট লোক ছিলেন বিসিকের আইন কর্মকর্তা মাহবুব আলম। যিনি নিজেকে বর্তমান শিল্প উপদেষ্টার অতি কাছের লোক বলে পরিচয় দিচ্ছেন। স্বৈরাচারী সরকারের সময়ের মতো অফিস চলাকালীন সময়ে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক কর্মকর্তা ও ৫ জন কর্মচারী তাদের দাবী দাওয়ার নামে সভার আয়োজন করে। মূলত: শফিকুল আলম, সরোয়ার হোসেন, মেরাজউদ্দিন ও মাহবুব আলম গংদের স্বার্থ সংরক্ষনের জন্য এবং নিজেদের স্বৈরাচারের দোসরের তকমা মোছার জন্য এই সভার আয়োজন করা হয়। যদিও অজ্ঞাত এক অজুহাতে সরোয়ার হোসেন এ আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন না, যা তার কৌশলের একটি অংশ।
সরকারের কর্তা ব্যক্তিদের নিকট বিসিকের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের দাবী দাওয়া উত্থাপনের জন্য বিসিক কর্মকর্তা সমিতি এবং বিসিক শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন নামক দুটি নির্দিষ্ট ফোরাম আছে। তার বাইরে গিয়ে উশৃংখল আচরণ করে দাবী দাওয়ার অন্তরালে নিজেদের স্বার্থ সিদ্ধির জন্য এবং নিজেদেরকে স্বৈরাচারী সরকারের দোসর নয় মর্মে প্রমাণের কাজে বিসিকের নিরীহ কর্মকর্তা ও কর্মচারীদেরকে ব্যবহার করা এবং অফিস শৃংখলা ভংগ করে অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নিকট দলবদ্ধ হয়ে ২২ আগষ্ট বেলা আড়াইটার দিকে বিসিক চেয়ারম্যানের কক্ষে প্রবেশ করে বিব্রতকর পরিস্থিতির তৈরী করা অফিস শৃংখলা ভংগ এবং উশৃংখল আচরণের অপরাধ। ২১ তারিখের সভায় অংশ গ্রহণকারী কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের এবং ২২ তারিখে চেয়ারম্যানের দপ্তরে গমনের বিষয়টি বিসিক ভবনের সিসিটিভি ফুটেজ হতে নিশ্চিত হওয়ার সুযোগ রয়েছে।
২১ আগষ্ট ২০২৪ তারিখে অফিস চলাকালীন সময়ে বে-আইনীভাবে সভার আয়োজন করে উশৃংখল আচরণ করার কারণে বিসিক পরিচালক (প্রশাসন) এর পক্ষ হতে কোন প্রকার ব্যবস্থা না নেয়ায় বিষয়টিতে তার সম্মতি আছে মর্মেই ধরে নেয়া যায়। এ ক্ষেত্রে শৃংখলা রক্ষায় তার উদাসীনতার বিষয়টিকে সামনে নিয়ে আসে। একটি সরকারী অফিসে এ ধরনের অরাজক পরিস্থিতি ও উশৃংখল আচরণ এবং পরিচালক (প্রশাসন) এর উদাসীনতা এবং বৈষম্যমূলক আচরণ ভবিষ্যতে বড় ধরনের সমস্যা তৈরী করতে পারে। তাছাড়া পরিচালক (প্রশাসন) কর্মকর্তা সমিতি এবং কর্মচারী ইউনিয়নের সাথে বৈষম্যমূলক আচরণ করে চলেছেন। বিগত স্বৈরাচারী সরকারের সময়ে ডিবি হারুন এবং বিপ্লব কুমার সরকারের নাম ভাংগিয়ে সুবিধা আদায়কারী এবং একটি পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদককে তৎকালীন মহামান্য অর্থাৎ রাষ্ট্রপতি পর্যন্ত যাওয়ার হুমকী প্রদানকারী উপ-ব্যবস্থাপক মোঃ মেরাজ উদ্দিনের নির্বাচনী এজেন্ডা বাস্তবায়নে পরিচালক (প্রশাসন) বড় ধরনের ভূমিকা পালন করে আসছেন। বিষয়টি বাস্তবতার আলোকে বিবেচনায় নিয়ে অরাজক পরিস্থিতি তৈরীর পরিকল্পনাকারীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের দায়িত্ব বিসিক চেয়ারম্যান এবং শিল্প মন্ত্রণালয়ের।
ট্যাগস