সিনিয়র রিপোর্টার
বন্যায় এখন পর্যন্ত ৭১ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কে এম আলী রেজা।
মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক ই আজমের সামনে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান তিনি।
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বন্যায় এ পর্যন্ত ৭১ জনের মৃত্যু হয়েছে। বন্যা আক্রান্ত ১১ জেলার ৬৮টি উপজেলায় এখনো পাঁচ লাখ ৮২ হাজার ১১৫টি পরিবার পানিবন্দি রয়েছে। দেশের পূর্বাঞ্চল এবং দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে বন্যায় এখনো আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে দুই লাখ ৮৫ হাজার ৯৯৬ জন আশ্রয় নিয়েছে। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত জেলাগুলোর জন্য এ পর্যন্ত মোট নগদ সহায়তা হিসেবে চার কোটি ৫২ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বন্যায় মৃত লোকের সংখ্যা ৭১ জন। এরমধ্যে পুরুষ-৪৫ জন, নারী সাত জন এবং শিশু ১৯ জন। মৃতদের মধ্যে কুমিল্লায় ১৯, ফেনীতে ২৮, চট্টগ্রামে ছয়, খাগড়াছড়িতে এক, নোয়াখালীতে ১১, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এক, লক্ষ্মীপুরে এক, কক্সবাজারে তিন এবং মৌলভীবাজারে এক জন রয়েছেন। নিখোঁজ রয়েছেন এক জন (মৌলভীবাজার)।
মন্ত্রণালয় আরো জানিয়েছে, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ২০ হাজার ৬৫০ মেট্রিক টন এবং শুকনা খাবার দেওয়া হয়েছে ১৫ হাজার বস্তা। এ ছাড়া, শিশুখাদ্য দেওয়া হয়েছে ৩৫ লাখ টাকার। গোখাদ্য কেনার জন্য দেওয়া হয়েছে ৩৫ লাখ টাকা। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্তদের চিকিৎসা প্রদানে বর্তমানে ৪৬৯টি মেডিক্যাল টিম চালু রয়েছে।
অতিরিক্ত সচিব কে এম আলী রেজা বলেন, অনেক দুর্গম এলাকায় ত্রাণ পৌঁছানো সম্ভব হয়নি। রাস্তার আশেপাশের ভুক্তভোগী অনেক পরিবারকে একাধিকবার ত্রাণ দিয়ে চলে এসেছে সাহায্যকারী দলগুলো। বন্যায় কমবেশি অব্যবস্থাপনা রয়েছে।
বন্যায় সার্বিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করা গেলে আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থাগুলো এ বিষয়ে সহযোগিতা করবে। ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর কাছে সাহায্যের আবেদন জানানো হবে বলেও জানান তিনি।
বন্যা আক্রান্ত জেলাগুলো হলো- ফেনী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি, নোয়াখালী, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, সিলেট, লক্ষ্মীপুর ও কক্সবাজার।