ঢাকা , রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হত্যা মামলায় সাবেক আইজিপি শহীদুল ও আবদুল্লাহ রিমান্ডে

  • ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ০৬:২৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • 87

সিনিয়র রিপোর্টার

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মিছিলে রাজধানীর পৃথক স্থানে দু’জন ব্যবসায়ী হত্যা মামলায় পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শকের (আইজিপি) শহীদুল হকের সাত দিন ও চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনের আট দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকাল পৌনে ৭টার দিকে তাদেরকে আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় মামলা তদন্তের স্বার্থে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আক্তারুজ্জামান যথাক্রমে সাত ও আট দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে, মঙ্গলবার (৩ আগস্ট) রাতে উত্তরা থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন ছাত্র-জনতার মিছিলে রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকায় ব্যবসায়ী আব্দুল ওয়াদুদকে গুলি করে হত্যার অভিযোগে করা মামলায় শহীদুল হককে এবং মোহাম্মদপুরে মুদি দোকানি আবু সায়েদকে গুলি করে হত্যার অভিযোগে সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

সাবেক আইজিপি আবদুল্লাহ আল মামুনের রিমান্ড শুনানিতে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা আদালতকে বলেন, আন্দোলন চলাকালে গুলিতে নিহত হওয়ার ঘটনায় দায়ের করা এসব মামলায় তার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ নেই। তাকে হয়রানি করতেই এই মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। তার পরিবার একটি উচ্চশিক্ষিত পরিবার।

তারা সমাজসেবামূলক অনেক কাজ করেছেন, তাদের যথেষ্ট সুনাম রয়েছে। তিনি হার্টের রোগী, চোখে কম দেখেন এবং ডায়াবেটিসের রোগী। এসব বিবেচনায় তার পক্ষের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে শুনানি করেন। আদালত শুনানি শেষে এ মামলায় তার আট দিনের পুলিশ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এদিকে শহীদুল হকের আইনজীবী মোরশেদ হোসেন শাহীন আদালতকে বলেন, তিনি (শহীদুল হত) ২০১৮ সালে পুলিশের চাকরি থেকে অবসরে যান। এরপর সরকারি আর কোনো লাভজনক পদে থাকেননি। তিনি বাংলাদেশ পুলিশের অভাবনীয় উন্নয়ন সাধন করেন এবং জনগণের ভরসার জায়গায় নিয়ে গেছেন। তাকে সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তিনি একজন বয়স্ক ও অসুস্থ মানুষ।

এ সময় তিনি শহীদুল হকের রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে আবেদন করেন। এরপর আদালত শহীদুল হকের বক্তব্য শোনেন। তিনি আদালতকে বলেন, আমাকে রিমান্ডে চাওয়া হল কেন, সেটাই তো বুঝতেছি না। আমি এ মামলা সম্পর্কে কিছুই জানি না। আমি সম্পূর্ণ নির্দোষ, তাই আদালতের কাছে ন্যায়বিচার প্রার্থনা করছি। শুনানি শেষে আদালত তার সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

পদ্মা সেতু হয়ে খুলনা পৌঁছেছে শেষ ট্রায়াল ট্রেন

হত্যা মামলায় সাবেক আইজিপি শহীদুল ও আবদুল্লাহ রিমান্ডে

আপডেট সময় ০৬:২৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

সিনিয়র রিপোর্টার

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মিছিলে রাজধানীর পৃথক স্থানে দু’জন ব্যবসায়ী হত্যা মামলায় পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শকের (আইজিপি) শহীদুল হকের সাত দিন ও চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনের আট দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকাল পৌনে ৭টার দিকে তাদেরকে আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় মামলা তদন্তের স্বার্থে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আক্তারুজ্জামান যথাক্রমে সাত ও আট দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে, মঙ্গলবার (৩ আগস্ট) রাতে উত্তরা থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন ছাত্র-জনতার মিছিলে রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকায় ব্যবসায়ী আব্দুল ওয়াদুদকে গুলি করে হত্যার অভিযোগে করা মামলায় শহীদুল হককে এবং মোহাম্মদপুরে মুদি দোকানি আবু সায়েদকে গুলি করে হত্যার অভিযোগে সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

সাবেক আইজিপি আবদুল্লাহ আল মামুনের রিমান্ড শুনানিতে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা আদালতকে বলেন, আন্দোলন চলাকালে গুলিতে নিহত হওয়ার ঘটনায় দায়ের করা এসব মামলায় তার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ নেই। তাকে হয়রানি করতেই এই মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। তার পরিবার একটি উচ্চশিক্ষিত পরিবার।

তারা সমাজসেবামূলক অনেক কাজ করেছেন, তাদের যথেষ্ট সুনাম রয়েছে। তিনি হার্টের রোগী, চোখে কম দেখেন এবং ডায়াবেটিসের রোগী। এসব বিবেচনায় তার পক্ষের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে শুনানি করেন। আদালত শুনানি শেষে এ মামলায় তার আট দিনের পুলিশ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এদিকে শহীদুল হকের আইনজীবী মোরশেদ হোসেন শাহীন আদালতকে বলেন, তিনি (শহীদুল হত) ২০১৮ সালে পুলিশের চাকরি থেকে অবসরে যান। এরপর সরকারি আর কোনো লাভজনক পদে থাকেননি। তিনি বাংলাদেশ পুলিশের অভাবনীয় উন্নয়ন সাধন করেন এবং জনগণের ভরসার জায়গায় নিয়ে গেছেন। তাকে সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তিনি একজন বয়স্ক ও অসুস্থ মানুষ।

এ সময় তিনি শহীদুল হকের রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে আবেদন করেন। এরপর আদালত শহীদুল হকের বক্তব্য শোনেন। তিনি আদালতকে বলেন, আমাকে রিমান্ডে চাওয়া হল কেন, সেটাই তো বুঝতেছি না। আমি এ মামলা সম্পর্কে কিছুই জানি না। আমি সম্পূর্ণ নির্দোষ, তাই আদালতের কাছে ন্যায়বিচার প্রার্থনা করছি। শুনানি শেষে আদালত তার সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।