অনলাইন ডেস্ক : খুলনার দাকোপ উপজেলায় ঢাকি নদীর ভেঙে যাওয়া বেড়িবাঁধ আবারো মেরামত করার চেষ্টা করছেন শত শত গ্রামবাসী। শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) ভাটার টানে পানি নেমে যাওয়ার পরপরই পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহায়তায় বাঁধ মেরামত করতে শুরু করেন তারা।
এর আগে শুক্রবার দুপুরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ৩১নং পোল্ডারের অধীন দাকোপের পানখালী ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড খোনা গ্রামের ১০০ মিটার ওয়াপদা বেড়িবাঁধ পানির চাপে ভেঙে যায়। ফলে জোয়ারের পানি ঢুকে খোনা ও খাটাইল গ্রামের ৪ শতাধিক পরিবার প্লাবিত হয়েছে। তলিয়ে যায় সদ্য রোপণ করা ২ হাজার বিঘা জমির ধানের চারা। দু’টি গ্রামের ঘরবাড়ি ও রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে যায়। ভেসে গেছে মাছের ঘের।
শুক্রবার রাতে বাঁধ কিছুটা মেরামত হলেও রাতের জোয়ারের পানির তোড়ে তা আবারো ভেঙে যায়। শনিবার পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে শত শত মানুষ স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে আবারো বাঁধ আটকানোর কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। তবে আজ রাতের মধ্যে বাঁধ আটকাতে না পারলে সমগ্র ৩১নং পোল্ডার তথা পানখালী ও তিলডাঙ্গা ইউনিয়ন প্লাবিত হতে পারে। ঝুঁকির মুখে পড়বে চালনা পৌরসভা এলাকা। পানখালী ইউপি চেয়ারম্যান শেখ সাব্বির আহমেদ এবং সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শেখ রাশেদুল ইসলাম বাবুর উপস্থিতিতে শত শত মানুষ স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁধ আটকাতে কাজ করছে।
ভাঙন এলাকায় থাকা খুলনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আশরাফুল আলম বলেন, জায়গাটি ঝুঁকিপূর্ণ থাকায় আমাদের তত্ত্বাবধানে সংস্কার কাজ চলমান অবস্থায় বাঁধটি ভেঙে গেছে, আশা করছি রাতের মধ্যে আটকাতে সক্ষম হবো।