অনলাইন ডেস্ক : খুলনার সাবেক দুই এমপি ও মেট্রোপলিটন পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত কমিশনার সরদার রাকিবুল ইসলাম, ডিসি মোল্লা জাহাঙ্গীর, ডিসি (সিটিএসবি) রাশেদা বেগম, তৎকালীন এডিসি সোনালী সেনসহ পুলিশের ১৬ কর্মকর্তার নামে মামলা হয়েছে। মামলায় মোট ৮৬ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে খুলনা মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক চৌধুরী শফিকুল ইসলাম হোসেন এ মামলা করেন। আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আল আমিন মামলাটি আমলে নিয়ে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারকে ১০ অক্টোবরের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমার নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার আসামিরা হলেন, খুলনা-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এস এম কামাল হোসেন ও বেগম মন্নুজান সুফিয়ান, কেএমপির সাবেক এডিশনাল কমিশনার সরদার রকিবুল ইসলাম (বর্তমানে সরকারের আদেশে বর্তমানে বাধ্যতামূলক অবসরে) তৎকালীন ডিসি (নর্থ) মোল্লা জাহাঙ্গীর হোসেন, ডিসি (সিটিএসবি) রাশিদা বেগম, তৎকালীন এসি সোনালী সেন, তৎকালীন এডিসি (সিটিএসবি) মনিরা খাতুন, তৎকালীন এসি ভাস্কর সাহা, তৎকালীন ডিবির ওসি মিজান, তৎকালীন এস আই শওকত (ডিবি), তৎকালীন কনস্টেবল সানা মিয়া (ডিবি), খালিশপুর থানার তৎকালীন ওসি সরদার মোশাররফ হোসেনসহ ৮৬ জন। এছাড়া অজ্ঞাত ১০/১২ জনকে এ মামলায় আসামি করা হয়েছে।
মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী এ কে এম শহিদুল আলম শহিদ বলেন, ২০১৮ সালের ২৬ ডিসেম্বর বিএনপির ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক ও খুলনা-৩ আসনের ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী রকিবুল ইসলাম বকুল প্রচারণা শেষে বাড়ি যান। সেখান পুলিশের সহযোগিতায় আওয়ামী লীগের লোকজন তার গাড়ি ভাঙচুর ও গুলি করে। তিনি আরও বলেন, আদালত নালিশী মামলাটি গ্রহণ করেছেন এবং কেএমপি কমিশনারকে তদন্ত করে রিপোর্ট দিতে বলেছেন।