অনলাইন ডেস্ক : খাগড়াছড়ির দিঘীনালায় হামলা পাল্টা হামলা, সংঘর্ষ, অগ্নিসংযোগ ও জেলা সদরের বিভিন্ন স্থানে রাতভর গোলাগুলির ঘটনায় তিনজন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তারা হলেন জুনান চাকমা (২০), ধনাঞ্জয় চাকমা (৫০) ও রুবেল চাকমা (৩০)।
দিঘীনালার লারমা স্কয়ার বাজারে আজ শুক্রবার দুপুরেও বিভিন্ন দোকানে আগুনের হালকা ধোঁয়া উড়ছিল। পাহাড়ি-বাঙালি ব্যবসায়ীর মিলে মোট ১০৫টি দোকানঘর মালামালসহ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয়ে কাজ করছে প্রশাসন।
লারমা স্কয়ার বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি নিউটন চাকমা জানান, তার নিজের দোকানসহ বাঙালিদের ৫৩টি ও পাহাড়িদের ৫২টি দোকান মিলে ১০৫টি দোকান আগুনে পুড়ে গেছে। এছাড়া ব্যাটারিচালিত টমটম গাড়ি ও ৯টি মোটরসাইকেলও পুড়েছে। খাগড়াছড়ি জেলার পুলিশ সুপার আরেফিন জুয়েল জানান, দিঘীনালার সংঘর্ষের ঘটনায় একজন ও জেলা সদরে দুইজন নিহত হয়েছেন। লাশগুলো তাদের আত্মীয়-স্বজনের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
খাগড়াছড়ির দিঘীনালা সেনা জোন কমান্ডার ওমর কায়সার জানান, পাহাড়ি-বাঙালিদের মধ্যে যে সংঘাত ঘটেছে সেনাবহিনী তা নিয়ন্ত্রণে নিয়ে এসেছে। এখন পর্যন্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক ও শান্ত রয়েছে। সেনাবাহিনী ও বিজিবির সার্বক্ষণিক টহলে রয়েছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে জেলা প্রশাসক মো. শহীদুজ্জামান বলেন, ঘটনাটি অনাকাঙিক্ষত ও দুঃখজনক। ক্ষতিগ্রস্ত দোকানিদের সর্বোচ্চ পুনর্বাসনের চেষ্টা করা হবে। এ ঘটনার জন্য প্রয়োজনে তদন্ত কমিটি গঠন করা কবে।
উল্লেখ্য, গত বুধবার খাগড়াছড়ি সদরের নোয়াপাড়া এলাকায় মোটরসাইকেল চুরির সন্দেহে পিটুনিতে মামুন নামে এক বাঙালি যুবক নিহত হন। এ ঘটনার প্রতিবাদে দীঘিনালা সরকারি কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীরা বৃহস্পতিবার বিক্ষোভ মিছিল বের করলে পাল্টাপাল্টি হামলা, অগ্নিসংযোগ ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।