ঢাকা , শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিচারপতিরা কেন বিব্রতবোধ করেন, প্রশ্ন আইন উপদেষ্টার

  • ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ০৪:০৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • 32

সিনিয়র রিপোর্টার

হাইকোর্ট বিভাগের বিচারকদের উদ্দেশে আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, বিচারপতিদের কাছে মানুষ বিচার চাইতে আসলে তারা বিব্রতবোধ করেন। কেন বিব্রতবোধ করেন আপনি? বিব্রতবোধ করবেন যখন আপনার ভাই-বোন বিচার চাইতে আসে। বিচারপ্রার্থী মানুষ কোথাও বিচার না পেয়ে আপনার কাছে এসেছে। আপনি কীভাবে বিব্রতবোধ করেন?  এ সময় তিনি ঢালাও মামলা এবং বিচার বিভাগকে ব্যবহার করে মানুষকে হয়রানি করা থেকে বের হতে বলেন।

শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের মূল ভবনের ইনার গার্ডেনে প্রধান বিচারপতির অভিভাষণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের এক মামলা নিয়ে আইন উপদেষ্টা বলেন, আপনারা বর্তমান প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের আর্জি গ্রহণ করতে বিব্রতবোধ করেছিলেন। কেন করেছিলেন। আপনার এটা দায়িত্ব না? আপনার এটা সাংবিধানিক দায়িত্ব না? আপনি শুনে (শুনানি গ্রহণ করে) রিজেক্ট করে দেন। সমস্যা নেই। আপনি শুনবেনই না। আপনাদের সুনাম কিছু বিচারপতির কারণে ক্ষুণ্য হয়েছে। এগুলি আর করবেন না। মানুষ বোকা না। মানুষের বিচার বুদ্ধি আছে।

ঢালাও মামলার বিষয়ে ড. আসিফ নজরুল বলেন, ফ্যাসিস্ট সরকার গায়েরি মামলা ও ঢালাও মামলার কালচার শুরু করেছিল। আমরা সেটা থেকে বের হতে চাই। অনেকের বিরুদ্ধে ঢালাও মামলা হয়ে গেছে। আমরা প্রকৃত ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করতে চাই। আমরা ঢালাও মামলা, বিচার বিভাগকে ব্যবহার করে মানুষকে হয়রানি করা মানুষের জীবন জীবিকাকে নিশ্চিহ্ন করা, মানুষের ক্রমাগত ক্ষত, ক্রোধ, কোন্দল সৃষ্টি করা থেকে বের হতে চাই।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ, সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতি, বিচার বিভাগ সংস্কার সংক্রান্ত কমিশনের চেয়ারম্যান আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি শাহ আবু নাঈম মমিনুর রহমান, অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান ও অধস্তন আদালতের বিচারকরা।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

বিচারপতিরা কেন বিব্রতবোধ করেন, প্রশ্ন আইন উপদেষ্টার

আপডেট সময় ০৪:০৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

সিনিয়র রিপোর্টার

হাইকোর্ট বিভাগের বিচারকদের উদ্দেশে আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, বিচারপতিদের কাছে মানুষ বিচার চাইতে আসলে তারা বিব্রতবোধ করেন। কেন বিব্রতবোধ করেন আপনি? বিব্রতবোধ করবেন যখন আপনার ভাই-বোন বিচার চাইতে আসে। বিচারপ্রার্থী মানুষ কোথাও বিচার না পেয়ে আপনার কাছে এসেছে। আপনি কীভাবে বিব্রতবোধ করেন?  এ সময় তিনি ঢালাও মামলা এবং বিচার বিভাগকে ব্যবহার করে মানুষকে হয়রানি করা থেকে বের হতে বলেন।

শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের মূল ভবনের ইনার গার্ডেনে প্রধান বিচারপতির অভিভাষণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের এক মামলা নিয়ে আইন উপদেষ্টা বলেন, আপনারা বর্তমান প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের আর্জি গ্রহণ করতে বিব্রতবোধ করেছিলেন। কেন করেছিলেন। আপনার এটা দায়িত্ব না? আপনার এটা সাংবিধানিক দায়িত্ব না? আপনি শুনে (শুনানি গ্রহণ করে) রিজেক্ট করে দেন। সমস্যা নেই। আপনি শুনবেনই না। আপনাদের সুনাম কিছু বিচারপতির কারণে ক্ষুণ্য হয়েছে। এগুলি আর করবেন না। মানুষ বোকা না। মানুষের বিচার বুদ্ধি আছে।

ঢালাও মামলার বিষয়ে ড. আসিফ নজরুল বলেন, ফ্যাসিস্ট সরকার গায়েরি মামলা ও ঢালাও মামলার কালচার শুরু করেছিল। আমরা সেটা থেকে বের হতে চাই। অনেকের বিরুদ্ধে ঢালাও মামলা হয়ে গেছে। আমরা প্রকৃত ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করতে চাই। আমরা ঢালাও মামলা, বিচার বিভাগকে ব্যবহার করে মানুষকে হয়রানি করা মানুষের জীবন জীবিকাকে নিশ্চিহ্ন করা, মানুষের ক্রমাগত ক্ষত, ক্রোধ, কোন্দল সৃষ্টি করা থেকে বের হতে চাই।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ, সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতি, বিচার বিভাগ সংস্কার সংক্রান্ত কমিশনের চেয়ারম্যান আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি শাহ আবু নাঈম মমিনুর রহমান, অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান ও অধস্তন আদালতের বিচারকরা।