অনলাইন ডেস্ক : ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী বলেছে, শুক্রবার বৈরুতে চালানো হামলায় হাসান নাসরাল্লাহ নিহত হয়েছেন।লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর প্রধান সাঈদ হাসান নাসরাল্লাহকে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করছে ইসরায়েল। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী ইসরায়েল ডিফেন্স ফোর্সেস (আইডিএফ) বলেছে, শুক্রবার বৈরুতে চালানো হামলায় হাসান নাসরাল্লাহ নিহত হয়েছেন।
ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর মুখপাত্র শনিবার এক্সে এক বিবৃতিতে বলেছেন, “ইসরায়েলের সেনাবাহিনী হিজবুল্লাহ সন্ত্রাসী সংগঠনের নেতাকে নির্মূল করেছে। হাসান নাসারাল্লাহ আর বিশ্বে ত্রাস সৃষ্টি করতে পারবেন না।” তবে বিষয়টি নিয়ে হিজবুল্লাহ কোনও মন্তব্য করেনি বা নাসরাল্লাহর ভাগ্যে কি ঘটেছে তা নিয়ে এখনও কোনও বিবৃতি দেয়নি।
হিজবুল্লাহতে নাসরাল্লাহর কয়েক দশকের নেতৃত্বে গোষ্ঠীটি আঞ্চলিক শক্তি হয়ে উঠেছিল। মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে ইরানের প্রভাবও পাকাপোক্ত করেছিল। তার মৃত্যু কেবল হিজবুল্লাহর জন্য এক বড় ধরনের ধাক্কাই নয়, বরং ইরানের জন্যও একটি ধাক্কা। ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ড ১৯৮২ সালে প্রতিষ্ঠা করেছিল এই গোষ্ঠী।
ইসরায়েল কেবল নাসরাল্লাহই নয়, আরেক শীর্ষ হিজবুল্লাহ নেতা আলি কারাকিকেও হত্যা করেছে বলে জানিয়েছে। ইসরায়েল ডিফেন্স ফোর্সেস (আইডিএফ) বলেছে, হাসান নাসরাল্লাহকে নিশানা করে যে হামলা চালানো হয়েছিল সেই হামলাতেই হিজবুল্লাহর সাউদার্ন ফ্রন্ট এর কমান্ডার কারাকি নিহত হন। ইসরায়েলের জন্য যে-ই হুমকি হয়ে দাঁড়াবে তার কছেই ইসরায়েল পৌঁছে যাবে বলে অঙ্গীকার করেছেন আইডিএফ চিফ অব স্টাফ জেনারেল হারজি হালেভি।
এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেছেন, “এখানে বার্তা খুব পরিষ্কার। ইসরায়েলি নাগরিকদের যারা হুমকি দেবে, তাদের কীভাবে খুঁজে বের করতে হয় তা আমরা জানি। সেটি উত্তরে, দক্ষিণে কিংবা আরও দূরে হলেও আমরা তাদেরকে খুঁজে পাব।” আইডিএফ জানায়, দক্ষিণ বৈরুতে হিজবুল্লাহর ঊধ্র্তন নেতারা বৈঠক করার সময় সেখানে হামলা চালানো হয়। ওই স্থানটি হিজবুল্লাহর শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত।
ইসরায়েলি বাহিনী কয়েকদিন ধরেই লেবাননের বিভিন্ন স্থানে লাগাতার হামলা চালাচ্ছে। লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহকে কাবু করতে তাদের বিভিন্ন আস্তানাকে নিশানা করে হামলা চালানো হচ্ছে বলে দাবি ইসরায়েলের।
হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে ‘সর্বশক্তি’ দিয়ে লড়াই করার জন্য সামরিক বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
ইসরায়েল লেবাননে হামলা জোরদার করার সপ্তাহ খানেক আগে দেশটিতে পেজার এবং ওয়াকিটকিসহ সব তারহীন যন্ত্র বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে লেবাননে কমপক্ষে ৩৭ জন নিহত এবং হাজারো মানুষ আহত হয়।