অনলাইন ডেস্ক : রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা নেওয়ার আবেদনের বিষয়টি পরিবার ও সরকারের সিদ্ধান্ত বলে মন্তব্য করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. খুরশীদ আলম খান। তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার বিষয়টি তার সরকার ও খালেদা জিয়ার আইনজীবীদের বিষয়। তবে খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিত হয়েছে তার পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে। ফলে পরিবার একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তাই খালেদা জিয়ার পরিবার, আইনজীবী ও সরকারের মধ্যে আলোচনা হওয়া উচিত বলে আমি মনে করি।
রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
পরিবার ও বিএনপির দাবি, সরকারের নির্বাহী আদেশের কারণেই খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানো সম্ভব হচ্ছে না। চিকিৎসা চলাকালে ১৮ সেপ্টেম্বর দণ্ড স্থগিত করে আগের দুই শর্তেই সরকার নির্বাহী আদেশে খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ অষ্টমবারের মতো আরও ছয় মাস বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির আইন সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসার জন্য পাঠানোর আবেদন আগেই করা আছে। নতুন করে আবেদন চাওয়াটা অমানবিক। চিকিৎসকরা এবং মেডিকেল বোর্ড বলেছেন খালেদা জিয়া যে সমস্যায় ভুগছেন তার চিকিৎসা দেশে সম্ভব না। অতএব খালেদা জিয়ার চিকিৎসা দেশের বাইরে করাতে হবে এটা আবেদন করার ওপর নির্ভর করছে না। এটি এখন সময় এবং জনগণের দাবি। তার জীবন রক্ষার জন্য সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করা।
আইনমন্ত্রীর বক্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপি চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এ বি এম আবদুস সাত্তার বলেন, ‘নতুন করে তো আবেদন করার প্রয়োজন নেই। ৪ সেপ্টেম্বর ম্যাডামকে বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ দেওয়ার জন্য পরিবারের পক্ষ থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একটি আবেদন করা হয়েছে। খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম এস্কান্দর আবেদনটি করেন। এ পর্যন্ত যতবার আবেদন করা হয়েছে, ততবারই আইনমন্ত্রী বলেছেন– দেশের আইন অনুযায়ী খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার কোনো সুযোগ নেই। ১০ দিন আগেও তিনি একই কথা বলেছেন। এখন কীভাবে তার কথা আমরা বিশ্বাস করব? এরপরও খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার জন্য সরকার অনুমতি দিলে একটি কেন আমাদের ১০০ আবেদন জমা দিতেও আপত্তি নেই।’
প্রসঙ্গত, গত ৯ আগস্ট রাতে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ৭৮ বছর বয়সী খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেই থেকে তিনি অধ্যাপক ডা. শাহাবুদ্দিন তালুকদারের তত্ত্বাবধায়নে চিকিৎসাধীন। সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী দীর্ঘদিন ধরে লিভার, হৃদযন্ত্র ও কিডনির জটিলতায় ভুগছেন। তার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ড লিভার প্রতিস্থাপনের জন্য বিদেশে উন্নত মাল্টি ডিসিপ্ল্যানারি সেন্টারে নেওয়ার সুপারিশ করেছে।