ঢাকা , শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আশুলিয়ায় শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ, ২০ কিলোমিটার যানজটে দুর্ভোগ চরমে

  • ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ০২:২৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ অক্টোবর ২০২৪
  • 79

অনলাইন ডেস্ক  :  শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ায় বাইপাইল এলাকার সার্ভিস বেনিফিট ও ক্ষতিপূরণের দাবিতে একটি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করায় সড়কটিতে দীর্ঘ প্রায় ২০ কিলোমিটার যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এতে স্থবির হয়ে পড়েছে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক, নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়ক ও বাইপাইল-আব্দুল্লাহপুর সড়ক। এর আগে সোমবার সকাল সাড়ে ৯ যেটা থেকে দাবি আদায়ে মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে যান চলাচল বন্ধ করে দেয় বিক্ষুদ্ধ শ্রমিকরা। শ্রমিক বিক্ষোভের মুখে নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কে দিনভর যান চলাচল বন্ধ থাকে। রাতেও শ্রমিকরা সড়ক না ছাড়ায় টানা অবরোধের ফলে ৩ সড়কে তীব্র যানজটের কারণে চরম দুর্ভোগে পড়েছে যাত্রীরা। এসময় বাধ্য হয়ে অনেককেই পায়ে হেঁটে গন্তব্যে পৌঁছাতে দেখা গেছে। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী ও চাকরিজীবীরা।

জানা যায়, সাভারের আশুলিয়ার বাইপাইল এলাকার বার্ডস গ্রুপের পোশাক কারখানার শ্রমিকরা সার্ভিস বেনিফিট ও ক্ষতিপূরণের দাবিতে সোমবার সকাল সাড়ে ৯ টা থেকে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন। কোনো ধরনের আশ্বাস না পেয়ে শ্রমিকরা এখনও সড়ক অবরোধ করে রেখেছেন।

বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা জানায়, ২৭ তারিখের ইস্যু করা নোটিশের মাধ্যমে গত ২৮ আগস্ট আশুলিয়ার বাইপাইল এলাকার ওই প্রতিষ্ঠানটির সব কারখানায় লে-অফ ঘোষণা করা হয়। এ সময় শ্রমিক কর্মচারীদের আগস্ট মাসের বেতন সেপ্টেম্বরের ১০ তারিখ ও সার্ভিস বেনেফিটসহ ক্ষতিপূরণ ৩০ সেপ্টেম্বর পরিশোধের দিন ধার্য করা হয়। চুক্তিমত শ্রমিকদের বেতনের টাকা পরিশোধ করলেও ৩০ সেপ্টেম্বর সার্ভিস বেনেফিটসহ ক্ষতিপূরণের টাকা প্রদানে আরও তিন মাস সময় চেয়েছেন প্রতিষ্ঠানটি। নির্ধারিত টাকা পরিশোধ না করায় শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করে। এদিকে শ্রমিকদের টাকা পরিশোধ না করলেও শ্রমিক নেতাদের প্রায় সাড়ে ৮ লাখ টাকা উৎকোচ হিসাবে প্রদান করে কারখানা কর্তৃপক্ষ।  

আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক বলেন, সার্ভিস বেনিফিট ও ক্ষতিপূরণের দাবিতে শ্রমিকরা সোমবার সকাল সাড়ে নয়টা থেকে নবীনগর চন্দ্র মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন। আমরা তাদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছি। কিন্তু শ্রমিকরা দাবি আদায় না হওয়ার পর্যন্ত সড়ক ছাড়বে না বলে জানিয়েছেন।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

আশুলিয়ায় শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ, ২০ কিলোমিটার যানজটে দুর্ভোগ চরমে

আপডেট সময় ০২:২৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ অক্টোবর ২০২৪

অনলাইন ডেস্ক  :  শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ায় বাইপাইল এলাকার সার্ভিস বেনিফিট ও ক্ষতিপূরণের দাবিতে একটি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করায় সড়কটিতে দীর্ঘ প্রায় ২০ কিলোমিটার যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এতে স্থবির হয়ে পড়েছে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক, নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়ক ও বাইপাইল-আব্দুল্লাহপুর সড়ক। এর আগে সোমবার সকাল সাড়ে ৯ যেটা থেকে দাবি আদায়ে মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে যান চলাচল বন্ধ করে দেয় বিক্ষুদ্ধ শ্রমিকরা। শ্রমিক বিক্ষোভের মুখে নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কে দিনভর যান চলাচল বন্ধ থাকে। রাতেও শ্রমিকরা সড়ক না ছাড়ায় টানা অবরোধের ফলে ৩ সড়কে তীব্র যানজটের কারণে চরম দুর্ভোগে পড়েছে যাত্রীরা। এসময় বাধ্য হয়ে অনেককেই পায়ে হেঁটে গন্তব্যে পৌঁছাতে দেখা গেছে। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী ও চাকরিজীবীরা।

জানা যায়, সাভারের আশুলিয়ার বাইপাইল এলাকার বার্ডস গ্রুপের পোশাক কারখানার শ্রমিকরা সার্ভিস বেনিফিট ও ক্ষতিপূরণের দাবিতে সোমবার সকাল সাড়ে ৯ টা থেকে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন। কোনো ধরনের আশ্বাস না পেয়ে শ্রমিকরা এখনও সড়ক অবরোধ করে রেখেছেন।

বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা জানায়, ২৭ তারিখের ইস্যু করা নোটিশের মাধ্যমে গত ২৮ আগস্ট আশুলিয়ার বাইপাইল এলাকার ওই প্রতিষ্ঠানটির সব কারখানায় লে-অফ ঘোষণা করা হয়। এ সময় শ্রমিক কর্মচারীদের আগস্ট মাসের বেতন সেপ্টেম্বরের ১০ তারিখ ও সার্ভিস বেনেফিটসহ ক্ষতিপূরণ ৩০ সেপ্টেম্বর পরিশোধের দিন ধার্য করা হয়। চুক্তিমত শ্রমিকদের বেতনের টাকা পরিশোধ করলেও ৩০ সেপ্টেম্বর সার্ভিস বেনেফিটসহ ক্ষতিপূরণের টাকা প্রদানে আরও তিন মাস সময় চেয়েছেন প্রতিষ্ঠানটি। নির্ধারিত টাকা পরিশোধ না করায় শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করে। এদিকে শ্রমিকদের টাকা পরিশোধ না করলেও শ্রমিক নেতাদের প্রায় সাড়ে ৮ লাখ টাকা উৎকোচ হিসাবে প্রদান করে কারখানা কর্তৃপক্ষ।  

আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক বলেন, সার্ভিস বেনিফিট ও ক্ষতিপূরণের দাবিতে শ্রমিকরা সোমবার সকাল সাড়ে নয়টা থেকে নবীনগর চন্দ্র মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন। আমরা তাদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছি। কিন্তু শ্রমিকরা দাবি আদায় না হওয়ার পর্যন্ত সড়ক ছাড়বে না বলে জানিয়েছেন।