ঢাকা , শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ঐতিহ্যকে লালন করতে হবে : ধর্মসচিব

  • ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ০৪:৩০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪
  • 12

অনলাইন ডেস্ক :  ধর্মসচিব মু. আ. হামিদ জমাদ্দার বলেছেন, বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। এটি আমাদের ঐতিহ্য। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ঐতিহ্যকে লালন করতে হবে। শনিবার দুপুরে শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে রাজধানীর মতিঝিলে শ্রী শ্রী লক্ষ্মীনারায়ণ জিউ ঠাকুর মন্দিরে পূজা মণ্ডপ পরিদর্শন শেষে সমবেত ভক্ত ও পূজারিদের উদ্দেশে শুভেচ্ছা বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি।

ধর্মসচিব বলেন, মানবতা প্রতিটি ধর্মের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। মানুষকে সবসময় সম্মান করতে হবে। আমরা সমাজে মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান এবং অন্যান্য ধর্মের মানুষ একত্রে বসবাস ও চলাফেরা করি। এটি আমাদের সমাজের বৈচিত্র্য। এই বৈচিত্র্যময় সমাজকে বিনষ্ট হতে দেওয়া যাবে না।

ধর্মসচিব আরও বলেন, মুসলমানদের মধ্যেও নানা মতভেদ আছে। আমরা এটিকে অভিযোজন (এডজাস্ট) করেই চলি। আমাদের এই বৈচিত্র্যময় সমাজে বিভিন্ন ধর্মের মানুষদেরকেও অভিযোজন করেই চলতে হবে এবং সবাইকে সম্মান করতে হবে।

হামিদ জমাদ্দার বলেন, শারদীয় দুর্গাপূজা সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব। এই উৎসবকে নির্বিঘ্ন করতে সকল ধরনের সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। আজ পর্যন্ত দেশের কোথাও তেমন উল্লেখযোগ্য কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। তিনি দুর্গোৎসব উপলক্ষে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদেরকে শুভেচ্ছা জানান এবং শ্রী শ্রী লক্ষ্মীনারায়ণ জিউ ঠাকুর মন্দিরের উন্নয়নে সহযোগিতার আশ্বাস দেন। এর আগে ধর্মসচিব মতিঝিলের রামকৃষ্ণ মঠ ও রামকৃষ্ণ মিশন পূজা মণ্ডপ পরিদর্শন করেন।

এতে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. নায়েব আলী মন্ডল ও হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের সচিব ড. কৃষ্ণেন্দু কুমার পাল বক্তৃতা করেন। এ সময় মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রমের প্রকল্প পরিচালক ড. শ্রীকান্ত কুমার চন্দ ও উপদেষ্টার একান্ত সচিব ছাদেক আহমদ উপস্থিত ছিলেন।

 

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ঐতিহ্যকে লালন করতে হবে : ধর্মসচিব

আপডেট সময় ০৪:৩০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪

অনলাইন ডেস্ক :  ধর্মসচিব মু. আ. হামিদ জমাদ্দার বলেছেন, বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। এটি আমাদের ঐতিহ্য। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ঐতিহ্যকে লালন করতে হবে। শনিবার দুপুরে শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে রাজধানীর মতিঝিলে শ্রী শ্রী লক্ষ্মীনারায়ণ জিউ ঠাকুর মন্দিরে পূজা মণ্ডপ পরিদর্শন শেষে সমবেত ভক্ত ও পূজারিদের উদ্দেশে শুভেচ্ছা বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি।

ধর্মসচিব বলেন, মানবতা প্রতিটি ধর্মের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। মানুষকে সবসময় সম্মান করতে হবে। আমরা সমাজে মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান এবং অন্যান্য ধর্মের মানুষ একত্রে বসবাস ও চলাফেরা করি। এটি আমাদের সমাজের বৈচিত্র্য। এই বৈচিত্র্যময় সমাজকে বিনষ্ট হতে দেওয়া যাবে না।

ধর্মসচিব আরও বলেন, মুসলমানদের মধ্যেও নানা মতভেদ আছে। আমরা এটিকে অভিযোজন (এডজাস্ট) করেই চলি। আমাদের এই বৈচিত্র্যময় সমাজে বিভিন্ন ধর্মের মানুষদেরকেও অভিযোজন করেই চলতে হবে এবং সবাইকে সম্মান করতে হবে।

হামিদ জমাদ্দার বলেন, শারদীয় দুর্গাপূজা সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব। এই উৎসবকে নির্বিঘ্ন করতে সকল ধরনের সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। আজ পর্যন্ত দেশের কোথাও তেমন উল্লেখযোগ্য কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। তিনি দুর্গোৎসব উপলক্ষে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদেরকে শুভেচ্ছা জানান এবং শ্রী শ্রী লক্ষ্মীনারায়ণ জিউ ঠাকুর মন্দিরের উন্নয়নে সহযোগিতার আশ্বাস দেন। এর আগে ধর্মসচিব মতিঝিলের রামকৃষ্ণ মঠ ও রামকৃষ্ণ মিশন পূজা মণ্ডপ পরিদর্শন করেন।

এতে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. নায়েব আলী মন্ডল ও হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের সচিব ড. কৃষ্ণেন্দু কুমার পাল বক্তৃতা করেন। এ সময় মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রমের প্রকল্প পরিচালক ড. শ্রীকান্ত কুমার চন্দ ও উপদেষ্টার একান্ত সচিব ছাদেক আহমদ উপস্থিত ছিলেন।