সিনিয়র রিপোর্টার
জুলাই-আগস্ট গণহত্যায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত আসামি মিরপুরের সাবেক ডিসি (পুলিশ সুপার) জসীম উদ্দীনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
বুধবার (৩০ অক্টোবর) তাকে হাজিরের পর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।
চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, তিনি মিরপুর জোনের ডিসি ছিলেন। তার অধীনে ছিল সাতটি থানা। সেই থানার অধীনে পুলিশ কয়েকশ ছাত্রকে গুলি করে হত্যা করেছিল। এগুলোর সঙ্গে তার সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। তিনিসহ পুলিশ অফিসারদের বিরুদ্ধে প্রায় ৩৫টি মামলা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্ত শেষে আবেদনের প্রেক্ষিতে ২৭ সেপ্টেম্বর তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। এ পরোয়ানামূলে তাকে আজ রংপুর থেকে গ্রেপ্তারে করে আদালতে উপস্থিত করা হয়। আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
এর আগে, বুধবার দুপুর সাড়ে তিনটার পর একটা সাদা হায়েস গাড়ি করে তাকে ট্রাইব্যুনালে আনা হয়ে। সকালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর আবদুল্লাহ আল নোমান জানিয়েছিলেন, জুলাই গণহত্যার আসামি মিরপুরের সাবেক ডিসি জসিমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে ট্রাইবুনালে হাজির করা হবে। এ প্রথম জুলাই-আগস্ট গণহত্যার অভিযোগে গ্রেপ্তার কাউকে ট্রাইব্যুনালে আনা হয়েছে।
গত ১৩ আগস্ট রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে উপসচিব মো. মাহবুর রহমান শেখ স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে মো. জসীম উদ্দীন মোল্লাকে রংপুর রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়।
গত ১৭ অক্টোবর শেখ হাসিনাসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনাল থেকে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়। আর বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার ২০ জনকে হাজির করতে ২৭ অক্টোবর নির্দেশ দেন তিন বিচারপতির ট্রাইব্যুনাল। সাবেক মন্ত্রী আনিসুল হক, আব্দুর রাজ্জাক, দীপু মনি, ফারুক খানসহ ১৪ জনকে ১৮ নভেম্বর হাজিরের নির্দেশ দেন।
এরপর, ২০ নভেম্বর হাজির করতে বলা হয় সাবেক আইজিপি আব্দুল্লাহ আল মামুন, সাবেক সেনা কমকর্তা জিয়াউল আহসানসহ আরও ৬ জনকে। ওই দিন সাবেক ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ ১৭ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।