ঢাকা , শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কিশোর গ্যাংয়ের দুই সক্রিয় সদস্য গ্রেপ্তার

  • ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ০৫:৪২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ নভেম্বর ২০২৪
  • 18

সিনিয়র রিপোর্টার

হাজারীবাগ এলাকায় চুরি, ছিনতাই, মাদকসহ নানা অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে জড়িত কিশোর গ্যাংয়ের দুই সক্রিয় সদস্য সুমিত দাস (২২) ও তৈবুর রহমান রনিতকে (২২) গ্রেপ্তার করেছে ডিএমপির হাজারীবাগ থানা পুলিশ।

শনিবার (২ নভেম্বর) রাত আনুমানিক সাড়ে এগারোটার সময় হাজারীবাগ থানাধীন গনকটুলির সিটি কলোনী এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

রবিবার (৩ নভেম্বর) ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান পিপিএম এসব তথ্য নিশ্চেত করেন।

হাজারীবাগ থানা সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার (১ নভেম্বর) ভিকটিম মো. বিপ্লব ইসলাম প্রিন্স (২০) এর মা বাদী বিলকিস বেগম (৩৯) এর অভিযোগের প্রেক্ষিতে হাজারীবাগ থানায় একটি নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়।

মামলা সূত্রে জানা যায়, গত (৩০ অক্টোবর) রাত আনুমানিক সাড়ে দশটায় বাদী বিলকিস বেগমের ছেলে মো. বিপ্লব ইসলাম প্রিন্স গনকটুলির সিটি কলোনী বৈলখানা গেইটের সামনের রাস্তায় থাকাকালে এজাহারনামীয় ছয়জনসহ অজ্ঞাতনামা ১০/১৫ জন পূর্ব শত্রুতার জের ধরে তার উপর হামলা করে। এ সময় তারা লাঠি ও দেশীয় অস্ত্র দ্বারা বিপ্লবকে মারধর করে এবং তার গলায় থাকা স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেয়। ভিকটিমের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে তারা পালিয়ে যায়। উপস্থিত লোকজনের সহায়তায় ভিকটিমের মা তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান এবং চিকিৎসা করান।

তদন্তাধীন এই মামলায় গোয়েন্দা তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় অভিযান পরিচালনা করে এজাহারনামীয় সুমিত দাস ও তদন্তে প্রাপ্ত তৈবুর রহমান রনিতকে শনিবার রাতে গনকটুলির সিটি কলোনী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেন।।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর হাজারীবাগ থানা সূত্রে জানা যায়, গ্রেপ্তারকৃত দু’জনেই হাজারীবাগ এলাকার কিশোর গ্যাংয়ের সক্রিয় সদস্য ও তাদের ১০-১৫ জনের একটি গ্রুপ রয়েছে। তাদের গ্রুপের প্রধান জনৈক ইয়াসিন। তারা দীর্ঘদিন ধরে  হাজারীবাগ এলাকায় চুরি, ছিনতাই, মারামারি, মাদকসহ বিভিন্ন ধরনের অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে জড়িত। গ্রেপ্তারকৃতরা সহ হাজারীবাগের এই কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যদের বিরুদ্ধে থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। মামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও ঘটনায় জড়িত অন্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

কিশোর গ্যাংয়ের দুই সক্রিয় সদস্য গ্রেপ্তার

আপডেট সময় ০৫:৪২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ নভেম্বর ২০২৪

সিনিয়র রিপোর্টার

হাজারীবাগ এলাকায় চুরি, ছিনতাই, মাদকসহ নানা অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে জড়িত কিশোর গ্যাংয়ের দুই সক্রিয় সদস্য সুমিত দাস (২২) ও তৈবুর রহমান রনিতকে (২২) গ্রেপ্তার করেছে ডিএমপির হাজারীবাগ থানা পুলিশ।

শনিবার (২ নভেম্বর) রাত আনুমানিক সাড়ে এগারোটার সময় হাজারীবাগ থানাধীন গনকটুলির সিটি কলোনী এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

রবিবার (৩ নভেম্বর) ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান পিপিএম এসব তথ্য নিশ্চেত করেন।

হাজারীবাগ থানা সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার (১ নভেম্বর) ভিকটিম মো. বিপ্লব ইসলাম প্রিন্স (২০) এর মা বাদী বিলকিস বেগম (৩৯) এর অভিযোগের প্রেক্ষিতে হাজারীবাগ থানায় একটি নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়।

মামলা সূত্রে জানা যায়, গত (৩০ অক্টোবর) রাত আনুমানিক সাড়ে দশটায় বাদী বিলকিস বেগমের ছেলে মো. বিপ্লব ইসলাম প্রিন্স গনকটুলির সিটি কলোনী বৈলখানা গেইটের সামনের রাস্তায় থাকাকালে এজাহারনামীয় ছয়জনসহ অজ্ঞাতনামা ১০/১৫ জন পূর্ব শত্রুতার জের ধরে তার উপর হামলা করে। এ সময় তারা লাঠি ও দেশীয় অস্ত্র দ্বারা বিপ্লবকে মারধর করে এবং তার গলায় থাকা স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেয়। ভিকটিমের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে তারা পালিয়ে যায়। উপস্থিত লোকজনের সহায়তায় ভিকটিমের মা তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান এবং চিকিৎসা করান।

তদন্তাধীন এই মামলায় গোয়েন্দা তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় অভিযান পরিচালনা করে এজাহারনামীয় সুমিত দাস ও তদন্তে প্রাপ্ত তৈবুর রহমান রনিতকে শনিবার রাতে গনকটুলির সিটি কলোনী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেন।।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর হাজারীবাগ থানা সূত্রে জানা যায়, গ্রেপ্তারকৃত দু’জনেই হাজারীবাগ এলাকার কিশোর গ্যাংয়ের সক্রিয় সদস্য ও তাদের ১০-১৫ জনের একটি গ্রুপ রয়েছে। তাদের গ্রুপের প্রধান জনৈক ইয়াসিন। তারা দীর্ঘদিন ধরে  হাজারীবাগ এলাকায় চুরি, ছিনতাই, মারামারি, মাদকসহ বিভিন্ন ধরনের অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে জড়িত। গ্রেপ্তারকৃতরা সহ হাজারীবাগের এই কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যদের বিরুদ্ধে থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। মামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও ঘটনায় জড়িত অন্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।