সিনিয়র রিপোর্টার
রাজধানীর কোতোয়ালী ও সূত্রাপুরে পুলিশের বিশেষ চেকপোস্ট চলাকালে ৩১ হাজার পিস নেশাজাতীয় মাদকদ্রব্য টাপেন্টাডল ট্যাবলেট ও এক হাজার ৪ পিস ইয়াবাসহ তিন মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করেছে ডিএমপির লালবাগ বিভাগের কোতোয়ালি ও সূত্রাপুর থানা পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- সুমন চন্দ্র দত্ত (৪৫), শাহ পরান (২১) ও নাসিবুর রহমান ওরফে নাছিব (৪৬)।
মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) রাতে কোতোয়ালী থানার বাবুবাজার ব্রিজ এলাকা ও সূত্রাপুর থানার হানিফ টাওয়ারের সামনে বিশেষ চেকপোস্ট চলাকালে মাদক উদ্ধারসহ তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
মঙ্গলবার রাতে কোতোয়ালী থানার বাবুবাজার ব্রিজ সংলগ্ন রাস্তার উপর কোতোয়ালী থানা পুলিশের বিশেষ চেকপোস্ট কার্যক্রম চলছিল। রাত আনুমানিক সাড়ে দশটায় চেকপোস্টে একটি প্রাইভেট কার তল্লাশি করার সময় দুটি কার্টুন পাওয়া যায়। সন্দেহজনক হওয়ায় পুলিশ ওই কার্টুন তল্লাশি করলে কার্টুনের মধ্যে ৩১ হাজার পিস টাপেন্টাডল ট্যাবলেট পাওয়া যায়। যার আনুমানিক মূল্য ১৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা। এ সময় প্রাইভেট কারের ড্রাইভার শাহ পরান ও প্রাইভেট কারে থাকা সুমন চন্দ্র দত্তকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং মাদক পরিবহনে ব্যবহৃত প্রাইভেট কারটি জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে কোতোয়ালী থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করে তারা দীর্ঘদিন ধরে দেশের সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে নেশাজাতীয় মাদকদ্রব্য টাপেন্টাডল ট্যাবলেট সংগ্রহ করে কোতোয়ালী থানা এলাকাসহ ঢাকা শহরের বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করতো।
প্রসঙ্গত, টাপেন্টাডল ট্যাবলেট ‘খ’শ্রেণীর মাদক হিসেবে ২০২০ সালের ৮ জুলাই থেকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে তফসিলভুক্ত। মাদকসেবীরা টাপেন্টাডল ট্যাবলেটকে ইয়াবার বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করে থাকে।
অন্যদিকে, মঙ্গলবার রাতে সূত্রাপুর থানার হানিফ টাওয়ারের সামনে পুলিশের বিশেষ চেকপোস্ট চলাকালে রাত ১১টা ৫০ মিনিটে সন্দেহভাজন নাসিবুর রহমানের কাঁধে থাকা একটি কালো রঙয়ের ব্যাগ তল্লাশি করে ১ হাজার ৪ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট (মূল্য আনুমানিক চার লাখ টাকা) উদ্ধার করা হয়। এ সময় নাসিবুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে সূত্রাপুর থানা পুলিশ। গ্রেফতারকৃতের বিরুদ্ধে ডিএমপির সূত্রাপুর থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, গ্রেপ্তারকৃত নাসিবুর রহমান দীর্ঘদিন ধরে রাজধানীর বিভিন্ন জায়গা থেকে ইয়াবা সংগ্রহ করে সূত্রাপুর এলাকার বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করতো। তাদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।