ঢাকা , শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৩ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দুর্নিতিবাজ উজ্জ্বল মল্লিক নিম্নপদে পদানবতী !

  • ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ০৬:১০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ নভেম্বর ২০২৪
  • 35

সিনিয়র রিপোর্টার

ঢাকার রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) এর সাবেক দুর্নিতিবাজ প্রধান প্রকৌশলী (প্রকল্প ও ডিজাইন) উজ্জ্বল মল্লিকের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ, কারণ দর্শানোর জবাব, বিভাগীয় মামলার তদন্ত প্রতিবেদন, ব্যক্তিগত শুনানী এবং সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র পর্যালোচনাক্রমে অসদাচরণের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ‘নিম্নপদে অবনতকরণ’ আদেশ জারি করা হয়েছে। এর আগে এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তার দুর্নিতি নিয়ে বিভিন্ন সংবাদ প্রকাশ হলেও তিনি কাউকে দাম দিতেন না এবং সাংবাদিকদের সাথে সবসময় ঔধ্যত্যপূর্ণ আচরন করতেন।

অসদাচরণের অভিযোগ নিশ্চিত করে প্রমাণ, ব্যক্তিগত শুনানি এবং সংশ্লিষ্ট নথিগুলির পুঙ্খানুপুঙ্খ পর্যালোচনার পরে এই সিদ্ধান্ত আসে।

তদন্তকারী কর্মকর্তা কর্তৃক দাখিলকৃত ২৩ অক্টোবর, ২০২৪ তারিখের প্রতিবেদন অনুযায়ী রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ঢাকা প্রধান প্রকৌশলী (প্রকল্প ও ডিজাইন) উজ্জ্বল মল্লিকের বিরুদ্ধে আনীত রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কর্মকর্তা ও কর্মচারী) চাকরি বিধিমালা-২০১৩ এর বিধি ৩৭ (খ) মোতাবেক অসদাচরণ এর অভিযোগ তদন্তে প্রমানিত হয়। উক্ত অভিযোগের ভিত্তিতে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কর্মকর্তা ও কর্মচারী) চাকুরী বিধিমালা, ২০১৩- এর বিধি ৩৭ (খ) মোতাবেক অসদাচরণ দায়ে অভিযুক্ত করে বিভাগীয় মামলা নং-১৬/২০২৪ রুজু করতঃ স্মারক নং-২৫.৩৯.০০০০.০০৯,০৪,০১৬,২৪.১৬৩৭ তাং- ১৮.০৮.২০২৪খ্রি. এর মাধ্যমে অভিযোগনামা ও অভিযোগ বিবরণী পাঠানো হয়েছে।

উক্ত অভিযোগের ভিত্তিতেরাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কর্মকর্তা ও কর্মচারী) নিয়োগ বিধিমালা, ২০১৩ এর বিধি ৩৮(১) দফা খ(অ) মোতাবেক আদেশ জারির তারিখ থেকে ৫ (পাঁচ) বছরের জন্য ‘নিম্নপদে অবনতকরণ’ অর্থাৎ ৫০,০০০-৭১,২০০ টাকার বেতন স্কেলের নিম্ন স্কেল ৪৩,০০০-৬৯,৮৫০ টাকার স্কেলে ৪৩,০০০ টাকার মূল বেতনে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী পদে নামিয়ে দেওয়ার আদেশ জারি করেছে। পদাবনতি বলবৎ থাকার সময়কাল বার্ষিক বেতন বৃদ্ধির জন্য গণনাযোগ্য হবে না। তবে দণ্ডের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর তিনি স্বয়ংক্রিয়ভাবে ৫০,০০০-৭১,২০০ টাকার বেতন স্কেলে প্রত্যাবর্তন করবেন। তিনি কোনো বকেয়া প্রাপ্য হবেন না। এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর করা হবে।

তদন্ত প্রতিবেদন এবং বিভাগীয় মামলা সংশ্লিষ্ট নথি ও অন্যান্য কাগজপত্রসহ প্রাসঙ্গিক সকল বিষয় পর্যালোচনায় রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কর্মকর্তা ও কর্মচারি) চাকুরি বিধিমালা, ২০১৩ এর বিধি ৩৭(খ) অনুযায়ী অসদাচরণের অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় একই বিধিমালার ৩৮(১) এর দফা (খ) (অ) অনুযায়ী চাকরি থেকে বরখাস্ত বা অন্য কোনো গুরুদন্ড প্রদান করার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত গ্রহণক্রমে একই বিধিমালার বিধি ৪১(৬) মোতাবেক দ্বিতীয় কারন দর্শানোর নোটিশ জারি করে ৭ (সাত) কার্যদিবসের মধ্যে জবাব প্রদানের নির্দেশ দেওয়া হয়।

তদন্তটি উজ্জ্বল মল্লিকের ২০২০ সালের বার্ষিক গোপনীয় প্রতিবেদন সম্পর্কিত অভিযোগ থেকে উদ্ভূত হয়েছিল। যা তার তত্ত্বাবধানকারী কর্মকর্তা বাস্তবায়নের প্রধান প্রকৌশলী আব্দুল লতিফ হেলালীর পরিবর্তে (প্রকল্প ও ডিজাইন) এর প্রধান প্রকৌশলী এএসএম রায়হানুল ফেরদৌস জমা দিয়েছিলেন। 
 
অভিযুক্ত কর্মকর্তা অভিযোগনামা ও অভিযোগ বিবরণীর জবাব দাখিল এবং ব্যক্তিগত শুনানির গ্রহণের জন্য অনুরোধ করেন। তার আবেদনের প্রেক্ষিতে গত ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ তারিখে ব্যক্তিগত শুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে। ব্যক্তিগত শুনানি অন্তে ঘটনা প্রমাণিত হলে গুরুদন্ড আরোপের সম্ভাবনা থাকায় ন্যায় বিচারের স্বার্থে বিষয়টি তদন্ত করার জন্য একজন তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়েছিল।
 
 
 
ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

নারী মৈত্রী ও এডুকো বাংলাদেশের উদ্যোগে যুব সম্মেলন-২০২৪ অনুষ্ঠিত

দুর্নিতিবাজ উজ্জ্বল মল্লিক নিম্নপদে পদানবতী !

আপডেট সময় ০৬:১০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ নভেম্বর ২০২৪

সিনিয়র রিপোর্টার

ঢাকার রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) এর সাবেক দুর্নিতিবাজ প্রধান প্রকৌশলী (প্রকল্প ও ডিজাইন) উজ্জ্বল মল্লিকের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ, কারণ দর্শানোর জবাব, বিভাগীয় মামলার তদন্ত প্রতিবেদন, ব্যক্তিগত শুনানী এবং সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র পর্যালোচনাক্রমে অসদাচরণের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ‘নিম্নপদে অবনতকরণ’ আদেশ জারি করা হয়েছে। এর আগে এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তার দুর্নিতি নিয়ে বিভিন্ন সংবাদ প্রকাশ হলেও তিনি কাউকে দাম দিতেন না এবং সাংবাদিকদের সাথে সবসময় ঔধ্যত্যপূর্ণ আচরন করতেন।

অসদাচরণের অভিযোগ নিশ্চিত করে প্রমাণ, ব্যক্তিগত শুনানি এবং সংশ্লিষ্ট নথিগুলির পুঙ্খানুপুঙ্খ পর্যালোচনার পরে এই সিদ্ধান্ত আসে।

তদন্তকারী কর্মকর্তা কর্তৃক দাখিলকৃত ২৩ অক্টোবর, ২০২৪ তারিখের প্রতিবেদন অনুযায়ী রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ঢাকা প্রধান প্রকৌশলী (প্রকল্প ও ডিজাইন) উজ্জ্বল মল্লিকের বিরুদ্ধে আনীত রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কর্মকর্তা ও কর্মচারী) চাকরি বিধিমালা-২০১৩ এর বিধি ৩৭ (খ) মোতাবেক অসদাচরণ এর অভিযোগ তদন্তে প্রমানিত হয়। উক্ত অভিযোগের ভিত্তিতে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কর্মকর্তা ও কর্মচারী) চাকুরী বিধিমালা, ২০১৩- এর বিধি ৩৭ (খ) মোতাবেক অসদাচরণ দায়ে অভিযুক্ত করে বিভাগীয় মামলা নং-১৬/২০২৪ রুজু করতঃ স্মারক নং-২৫.৩৯.০০০০.০০৯,০৪,০১৬,২৪.১৬৩৭ তাং- ১৮.০৮.২০২৪খ্রি. এর মাধ্যমে অভিযোগনামা ও অভিযোগ বিবরণী পাঠানো হয়েছে।

উক্ত অভিযোগের ভিত্তিতেরাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কর্মকর্তা ও কর্মচারী) নিয়োগ বিধিমালা, ২০১৩ এর বিধি ৩৮(১) দফা খ(অ) মোতাবেক আদেশ জারির তারিখ থেকে ৫ (পাঁচ) বছরের জন্য ‘নিম্নপদে অবনতকরণ’ অর্থাৎ ৫০,০০০-৭১,২০০ টাকার বেতন স্কেলের নিম্ন স্কেল ৪৩,০০০-৬৯,৮৫০ টাকার স্কেলে ৪৩,০০০ টাকার মূল বেতনে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী পদে নামিয়ে দেওয়ার আদেশ জারি করেছে। পদাবনতি বলবৎ থাকার সময়কাল বার্ষিক বেতন বৃদ্ধির জন্য গণনাযোগ্য হবে না। তবে দণ্ডের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর তিনি স্বয়ংক্রিয়ভাবে ৫০,০০০-৭১,২০০ টাকার বেতন স্কেলে প্রত্যাবর্তন করবেন। তিনি কোনো বকেয়া প্রাপ্য হবেন না। এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর করা হবে।

তদন্ত প্রতিবেদন এবং বিভাগীয় মামলা সংশ্লিষ্ট নথি ও অন্যান্য কাগজপত্রসহ প্রাসঙ্গিক সকল বিষয় পর্যালোচনায় রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কর্মকর্তা ও কর্মচারি) চাকুরি বিধিমালা, ২০১৩ এর বিধি ৩৭(খ) অনুযায়ী অসদাচরণের অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় একই বিধিমালার ৩৮(১) এর দফা (খ) (অ) অনুযায়ী চাকরি থেকে বরখাস্ত বা অন্য কোনো গুরুদন্ড প্রদান করার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত গ্রহণক্রমে একই বিধিমালার বিধি ৪১(৬) মোতাবেক দ্বিতীয় কারন দর্শানোর নোটিশ জারি করে ৭ (সাত) কার্যদিবসের মধ্যে জবাব প্রদানের নির্দেশ দেওয়া হয়।

তদন্তটি উজ্জ্বল মল্লিকের ২০২০ সালের বার্ষিক গোপনীয় প্রতিবেদন সম্পর্কিত অভিযোগ থেকে উদ্ভূত হয়েছিল। যা তার তত্ত্বাবধানকারী কর্মকর্তা বাস্তবায়নের প্রধান প্রকৌশলী আব্দুল লতিফ হেলালীর পরিবর্তে (প্রকল্প ও ডিজাইন) এর প্রধান প্রকৌশলী এএসএম রায়হানুল ফেরদৌস জমা দিয়েছিলেন। 
 
অভিযুক্ত কর্মকর্তা অভিযোগনামা ও অভিযোগ বিবরণীর জবাব দাখিল এবং ব্যক্তিগত শুনানির গ্রহণের জন্য অনুরোধ করেন। তার আবেদনের প্রেক্ষিতে গত ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ তারিখে ব্যক্তিগত শুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে। ব্যক্তিগত শুনানি অন্তে ঘটনা প্রমাণিত হলে গুরুদন্ড আরোপের সম্ভাবনা থাকায় ন্যায় বিচারের স্বার্থে বিষয়টি তদন্ত করার জন্য একজন তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়েছিল।