ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ২৯ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নিখোঁজের ৭ দিন পর মুনতাহার লাশ মিলল নিজ বাড়ির পুকুরে, আটক ৩

  • ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ০৬:২৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ নভেম্বর ২০২৪
  • 4

সিলেট ব্যুরো 

নিখোঁজের সাত দিন পর সিলেটের কানাইঘাট থেকে শিশু মুনতাহা আক্তার জেরিনের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

রবিবার (১০ নভেম্বর) ভোরে উপজেলার সদর ইউনিয়নের বীরদল ভাড়ারিফৌদ গ্রামের নিজ বাড়ির পুকুর থেকে গলায় রশি পেঁচানো অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তবে কীভাবে তার মৃত্যু হয়েছে, সে বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কিছুই জানা যায়নি।

মুনতাহার বাবা শামীম আহমদ বলেন, আমার শিশু কন্যাকে পরিকল্পিতভাবে অপহরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় কানাইঘাট থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি দায়ের করেছিলাম। ভোরে বাড়ির পাশে পুকুরে তার নিথর দেহের সন্ধান মিলেছে।

মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কানাইঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল আওয়াল।

তিনি বলেন, রবিবার ভোর ৪টার দিকে নিজ বাড়ির পুকুরে মুনতাহার নিথর দেহের সন্ধান পাওয়া যায়। তার গলায় রশি পেঁচানো ছিল। শরীরে ক্ষত চিহ্ন রয়েছে। লাশ দেখে বুঝা যাচ্ছে তাকে হত্যা করে পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়েছে।

এই ঘটনায় অভিযুক্ত হিসেবে শামিমা বেগম (মার্জিয়া), তার মা আলিফজান বেগম ও নানী কুতুবজান বেগমকে আটক করা হয়েছে। তারা কানাইঘাটের বাসিন্দা ও শিশু মুনতাহার প্রতিবেশী।

বিষয়টি নিশ্চিত করে কানাইঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল আউয়াল বলেন, রাত ৩টার দিকে এক মহিলা মুনতাহার বাড়ির পাশের একটি খাল থেকে মরদেহ উঠিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। সম্ভবত কোনো পুকুরে ফেলে দেওয়ার জন্য এই মরদেহটি তোলা হচ্ছিল। তখন স্থানীয় লোকজন বিষয়টি দেখে ফেলে। আমরা আগে থেকে এলাকার কিছু মানুষকে বলে রেখেছিলাম পাহারা দেওয়ার জন্য। সে অনুযায়ী লোকজন পাহারায় ছিল। জড়িত থাকার সন্দেহে তিনজনকে আটক করেছি। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

গত ৩ নভেম্বর সকালে বাবার সঙ্গে স্থানীয় একটি ওয়াজ মাহফিল থেকে বাড়ি ফেরে শিশু মুনতাহা। পরে আশপাশের বাড়িতে শিশুদের সঙ্গে খেলাধুলা করতে যায়। কিন্তু বিকালে বাড়ি না ফিরলে খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। তারপর তাকে আর কোথাও পাওয়া যায়নি। খেলার সঙ্গীরাও মুনতাহার বিষয়ে কিছু জানাতে পারেনি।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

নিখোঁজের ৭ দিন পর মুনতাহার লাশ মিলল নিজ বাড়ির পুকুরে, আটক ৩

আপডেট সময় ০৬:২৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ নভেম্বর ২০২৪

সিলেট ব্যুরো 

নিখোঁজের সাত দিন পর সিলেটের কানাইঘাট থেকে শিশু মুনতাহা আক্তার জেরিনের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

রবিবার (১০ নভেম্বর) ভোরে উপজেলার সদর ইউনিয়নের বীরদল ভাড়ারিফৌদ গ্রামের নিজ বাড়ির পুকুর থেকে গলায় রশি পেঁচানো অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তবে কীভাবে তার মৃত্যু হয়েছে, সে বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কিছুই জানা যায়নি।

মুনতাহার বাবা শামীম আহমদ বলেন, আমার শিশু কন্যাকে পরিকল্পিতভাবে অপহরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় কানাইঘাট থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি দায়ের করেছিলাম। ভোরে বাড়ির পাশে পুকুরে তার নিথর দেহের সন্ধান মিলেছে।

মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কানাইঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল আওয়াল।

তিনি বলেন, রবিবার ভোর ৪টার দিকে নিজ বাড়ির পুকুরে মুনতাহার নিথর দেহের সন্ধান পাওয়া যায়। তার গলায় রশি পেঁচানো ছিল। শরীরে ক্ষত চিহ্ন রয়েছে। লাশ দেখে বুঝা যাচ্ছে তাকে হত্যা করে পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়েছে।

এই ঘটনায় অভিযুক্ত হিসেবে শামিমা বেগম (মার্জিয়া), তার মা আলিফজান বেগম ও নানী কুতুবজান বেগমকে আটক করা হয়েছে। তারা কানাইঘাটের বাসিন্দা ও শিশু মুনতাহার প্রতিবেশী।

বিষয়টি নিশ্চিত করে কানাইঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল আউয়াল বলেন, রাত ৩টার দিকে এক মহিলা মুনতাহার বাড়ির পাশের একটি খাল থেকে মরদেহ উঠিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। সম্ভবত কোনো পুকুরে ফেলে দেওয়ার জন্য এই মরদেহটি তোলা হচ্ছিল। তখন স্থানীয় লোকজন বিষয়টি দেখে ফেলে। আমরা আগে থেকে এলাকার কিছু মানুষকে বলে রেখেছিলাম পাহারা দেওয়ার জন্য। সে অনুযায়ী লোকজন পাহারায় ছিল। জড়িত থাকার সন্দেহে তিনজনকে আটক করেছি। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

গত ৩ নভেম্বর সকালে বাবার সঙ্গে স্থানীয় একটি ওয়াজ মাহফিল থেকে বাড়ি ফেরে শিশু মুনতাহা। পরে আশপাশের বাড়িতে শিশুদের সঙ্গে খেলাধুলা করতে যায়। কিন্তু বিকালে বাড়ি না ফিরলে খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। তারপর তাকে আর কোথাও পাওয়া যায়নি। খেলার সঙ্গীরাও মুনতাহার বিষয়ে কিছু জানাতে পারেনি।