ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অর্থ ও নিয়োগ বাণিজ্যর তথ্য ফাঁস হওয়ায় বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার চেস্টা খুবি’র সাবেক ভিসি ড. মাহমুদ হোসেনের

  • ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ০৮:৪২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪
  • 10
অনলাইন ডেস্ক  : 

গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা দেশ ত্যাগের পর আস্তে আস্তে উন্মোচন হতে শুরু করেছে সাবেক ভিসি ড. মাহমুদ হোসেনসহ তার গঠিত বাহিনীর অনিয়ম ও দূর্ণীতির সব তথ্য। তিনি ২০২১ সালে নিয়োগ পাওয়ার পর তার আস্থাভাজন পিএস সঞ্জয় সাহা, উপ-রেজিস্ট্রার আব্দুল্লাহ আল মামুন, উপ-রেজিস্ট্রার দিপক মন্ডল, উপ-প্রধান প্রকৌশলী (পরিবহন) শাহ নওরোজ, উপ- রেজিস্ট্রার কৃষ্ণ পদ দাশ, প্রধান প্রকৌশলী মনিরুজ্জামান, নির্বাহী প্রখৌশলী সাইফুল ইসলাম বাদশা, অর্থ পরিচালক মুজিবুর রহমান, সহকারী পরিচালক সুশান্ত বসু, উপ-প্রধান প্রকৌশলী সামিউল ইসলাম ও সহকারী প্রকৌশলী সাদ্দাম হোসেনকে নিয়ে এক সিন্ডিকেট বাহিনী তৈরী করেন। তারা ৩/৪ বছর ঠিকাদার ও নিয়োগ এবং যাবতীয় ক্রয় প্রক্রিয়া সংক্রান্ত যাবতীয় কাজ নিয়ন্ত্রন করে আসছিল। ঠিকাদারদের ভাষ্যমতে প্রতিটি কাজে ৩-৭% পর্যন্ত টাকা না দিলে কাজ শুরু করা কিংবা বিল পাশ হতো না। ইতিমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামো উন্নয়নে প্রায় ২০০ কোটি টাকার নির্মান কাজ চলমান রয়েছে। এর মধ্যে কিছু কাজ সমাপ্তের পথে।

তাছাড়া ২০০৮ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত নিয়োগ ও পদোন্নয়নের  ক্ষেত্রে রয়েছে অনিয়মের ভান্ডার। বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদ্যমান নিয়োগ নীতিমালা ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি) কর্তৃক নির্দেশনা বহির্ভূত অবৈধ অর্থ বানিজ্যর মাধ্যমে একের পর এক নিয়োগ ও পদোন্নয়ন দিয়ে অনিয়মের ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। এছাড়া সাবেক ভিসি ড. সাইফুদ্দিন শাহ ও সাবেক ভিসি ড. ফায়েক উজ্জামানের নিয়ম বহির্ভূত নিয়োগ ও আপগ্রেডেশনের মাধ্যমে পদোন্নয়ন দেওয়ার বিষয়টি রয়েছে সবার মুখে মুখে। বিদ্যমান নীতিমালায় একজন কর্মকর্তা বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরিী জীবনে ২ (দুই) বারের অধিক আপগ্রেডেশনের বিধান না থাকলেও ১৯৯৯-২০০০ সালে নিয়োগ পাওয়া তৃতীয় শ্রেনীর কর্মচারীদের উপ-রেজিস্ট্রার/উপ-পরিচালক পদে আপগ্রেডেশন দিয়ে নিয়ম নীতির বৈষম্যর সৃষ্টি করে গেছেন। এমনকি বিভিন্ন ব্লক পদ পরিবর্তন করে সুবিধামত পদ বানিয়ে অবৈধ সুবিধা দেওয়া হয়েছে যে পদের নীতিমালা ও বিদ্যমান অগ্রানোগ্রমে ঐ সকল পদের কোন অন্তিত নাই। শুধুমাত্র আন্তাভাজন হতে পারলেই তাকে অবৈধ সুবিধা দিয়ে রাষ্ট্রের কোটি কোটি টাকা অপচয় করেছেন।

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারি ও বৈষম্য বিরোধী শিক্ষার্থীদের দাবীর প্রেক্ষিতে স্বৈরাচারী আওয়ামী সরকারের দোশরদের দীর্ঘ সময়ের আর্থিক অনিয়ম ও নিয়োগ বানিজ্যসহ সকল প্রকার অনিয়ম ও বৈষম্য সংস্কারের লক্ষে একাধিক তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বর্তমান নিয়োগপ্রাপ্ত ভিসি ড. মোঃ রেজাউল করিম। এ বিষয়ে শিক্ষক কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীদের কাছে জানতে চাইলে তারা লোক দেখানো কমিটি করা হয়েছে বলে জানান এবং তারা আশাহত, ইতিমধ্যে বিভিন্ন পত্রিকাসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যাদের বিরুদ্ধে দূর্নীতি ও অনিয়মের তথ্য প্রকাশিত হলেও কর্তৃপক্ষ তাদের স্ব-স্ব পদে এখনও আশীন রেখেছেন। এমনকি দূর্নীতি পরায়ন ভিসি ড. মাহমুদ হোসেন ছুটি নিয়ে বিদেশে পালিয়ে যাবার চেষ্টায় সহযোগীতা করছে কর্তৃপক্ষের কোন কোন কর্তা ব্যক্তি। ঐসকল দূর্নীতিবাজ কর্মকর্তারা কমিটির বিভিন্ন সদস্যের কাছে এবং বিভিন্ন মহলে যেভাবে তদবীরে দৌঢ় ঝাপ শুরু করেছে তাতে সবার সন্দেহ কর্তৃপক্ষই তাদের পুনর্বাসন না করেন।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

কাউকে তার মতের জন্য শত্রু মনে করবো না : প্রধান উপদেষ্টা

অর্থ ও নিয়োগ বাণিজ্যর তথ্য ফাঁস হওয়ায় বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার চেস্টা খুবি’র সাবেক ভিসি ড. মাহমুদ হোসেনের

আপডেট সময় ০৮:৪২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪
অনলাইন ডেস্ক  : 

গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা দেশ ত্যাগের পর আস্তে আস্তে উন্মোচন হতে শুরু করেছে সাবেক ভিসি ড. মাহমুদ হোসেনসহ তার গঠিত বাহিনীর অনিয়ম ও দূর্ণীতির সব তথ্য। তিনি ২০২১ সালে নিয়োগ পাওয়ার পর তার আস্থাভাজন পিএস সঞ্জয় সাহা, উপ-রেজিস্ট্রার আব্দুল্লাহ আল মামুন, উপ-রেজিস্ট্রার দিপক মন্ডল, উপ-প্রধান প্রকৌশলী (পরিবহন) শাহ নওরোজ, উপ- রেজিস্ট্রার কৃষ্ণ পদ দাশ, প্রধান প্রকৌশলী মনিরুজ্জামান, নির্বাহী প্রখৌশলী সাইফুল ইসলাম বাদশা, অর্থ পরিচালক মুজিবুর রহমান, সহকারী পরিচালক সুশান্ত বসু, উপ-প্রধান প্রকৌশলী সামিউল ইসলাম ও সহকারী প্রকৌশলী সাদ্দাম হোসেনকে নিয়ে এক সিন্ডিকেট বাহিনী তৈরী করেন। তারা ৩/৪ বছর ঠিকাদার ও নিয়োগ এবং যাবতীয় ক্রয় প্রক্রিয়া সংক্রান্ত যাবতীয় কাজ নিয়ন্ত্রন করে আসছিল। ঠিকাদারদের ভাষ্যমতে প্রতিটি কাজে ৩-৭% পর্যন্ত টাকা না দিলে কাজ শুরু করা কিংবা বিল পাশ হতো না। ইতিমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামো উন্নয়নে প্রায় ২০০ কোটি টাকার নির্মান কাজ চলমান রয়েছে। এর মধ্যে কিছু কাজ সমাপ্তের পথে।

তাছাড়া ২০০৮ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত নিয়োগ ও পদোন্নয়নের  ক্ষেত্রে রয়েছে অনিয়মের ভান্ডার। বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদ্যমান নিয়োগ নীতিমালা ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি) কর্তৃক নির্দেশনা বহির্ভূত অবৈধ অর্থ বানিজ্যর মাধ্যমে একের পর এক নিয়োগ ও পদোন্নয়ন দিয়ে অনিয়মের ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। এছাড়া সাবেক ভিসি ড. সাইফুদ্দিন শাহ ও সাবেক ভিসি ড. ফায়েক উজ্জামানের নিয়ম বহির্ভূত নিয়োগ ও আপগ্রেডেশনের মাধ্যমে পদোন্নয়ন দেওয়ার বিষয়টি রয়েছে সবার মুখে মুখে। বিদ্যমান নীতিমালায় একজন কর্মকর্তা বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরিী জীবনে ২ (দুই) বারের অধিক আপগ্রেডেশনের বিধান না থাকলেও ১৯৯৯-২০০০ সালে নিয়োগ পাওয়া তৃতীয় শ্রেনীর কর্মচারীদের উপ-রেজিস্ট্রার/উপ-পরিচালক পদে আপগ্রেডেশন দিয়ে নিয়ম নীতির বৈষম্যর সৃষ্টি করে গেছেন। এমনকি বিভিন্ন ব্লক পদ পরিবর্তন করে সুবিধামত পদ বানিয়ে অবৈধ সুবিধা দেওয়া হয়েছে যে পদের নীতিমালা ও বিদ্যমান অগ্রানোগ্রমে ঐ সকল পদের কোন অন্তিত নাই। শুধুমাত্র আন্তাভাজন হতে পারলেই তাকে অবৈধ সুবিধা দিয়ে রাষ্ট্রের কোটি কোটি টাকা অপচয় করেছেন।

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারি ও বৈষম্য বিরোধী শিক্ষার্থীদের দাবীর প্রেক্ষিতে স্বৈরাচারী আওয়ামী সরকারের দোশরদের দীর্ঘ সময়ের আর্থিক অনিয়ম ও নিয়োগ বানিজ্যসহ সকল প্রকার অনিয়ম ও বৈষম্য সংস্কারের লক্ষে একাধিক তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বর্তমান নিয়োগপ্রাপ্ত ভিসি ড. মোঃ রেজাউল করিম। এ বিষয়ে শিক্ষক কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীদের কাছে জানতে চাইলে তারা লোক দেখানো কমিটি করা হয়েছে বলে জানান এবং তারা আশাহত, ইতিমধ্যে বিভিন্ন পত্রিকাসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যাদের বিরুদ্ধে দূর্নীতি ও অনিয়মের তথ্য প্রকাশিত হলেও কর্তৃপক্ষ তাদের স্ব-স্ব পদে এখনও আশীন রেখেছেন। এমনকি দূর্নীতি পরায়ন ভিসি ড. মাহমুদ হোসেন ছুটি নিয়ে বিদেশে পালিয়ে যাবার চেষ্টায় সহযোগীতা করছে কর্তৃপক্ষের কোন কোন কর্তা ব্যক্তি। ঐসকল দূর্নীতিবাজ কর্মকর্তারা কমিটির বিভিন্ন সদস্যের কাছে এবং বিভিন্ন মহলে যেভাবে তদবীরে দৌঢ় ঝাপ শুরু করেছে তাতে সবার সন্দেহ কর্তৃপক্ষই তাদের পুনর্বাসন না করেন।