পঞ্চগড় প্রতিনিধি
দেশের সবচেয়ে উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা নেমেছে ১২ ডিগ্রিতে। বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) ভোর ৬টায় জেলার তাপমাত্রা ১২ দশমিক দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করেছে তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার কার্যালয়।
কার্যালয়টির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ এ তথ্য জানান। তিনি জানান, গত তিনদিন মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৩ ডিগ্রির মধ্যে রেকর্ড হলেও বৃহস্পতিবার ভোর ৬টায় তাপমাত্রা আরো কমে হয়েছে ১২ দশমিক দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস। এখন দিন যত যাবে তাপমাত্রা আরো কমতে থাকবে।
এদিকে ভোর থেকে বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখা যায়, কুয়াশা ভেদ করে সূর্যের কিরণ ছড়ালেও কনকনে শীত অনুভূত হচ্ছে। তবে শীত উপেক্ষা করেই নিজ নিজ কর্মে গেছেন পাথর শ্রমিক, দিনমজুর, চা শ্রমিকসহ বিভিন্ন শ্রমজীবী মানুষরা।
স্থানীয় কয়েকজন কৃষক জানান, শীত পড়ে গেছে। ভোরে খেতে পাতা ও ফুলকপি, ধনিয়াপাতা, লাউ শাক, লাউ তুলতে গেলে গাছের পাতায় জমা শিশিরের স্পর্শে তীব্র ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। এতে হাত অবশ হয়ে আসে।
এদিকে উত্তরীয় হিমেল হাওয়া ও কনকনে ঠান্ডায় গরম কাপড়ের অভাবে কষ্টে আছেন এ জনপদের মানুষ। বিশেষ করে সন্ধ্যার পর থেকে হালকা কুয়াশায় ঢেকে যাচ্ছে রাস্তা-ঘাট, লোকালয়। সেই সঙ্গে হিমেল বাতাসে জবুথবু অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। কাজকর্ম পাচ্ছে না নিম্ন আয়ের লোকজন। রাতে বৃষ্টির মতো ঝড়ছে কুয়াশা। হাড় কাঁপানো ঠান্ডায় দুর্ভোগে পড়েছে বয়স্ক ও শিশুরা।
অন্যদিকে বেড়েছে শীতজনিত বিভিন্ন রোগব্যাধি। পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে শিশু ও বয়স্করা সর্দি, কাশি, নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
ভ্যানচালক সায়েদ আলী ও আমির আলী জানান, রাত থেকে সকাল পর্যন্ত বেশ ঠান্ডা। আগের থেকে ঠান্ডা বেড়েছে অনেকটাই। ভোরে ভ্যান নিয়ে বের হলে খুব ঠান্ডা লাগে। পৌষ মাস না আসতেই কনকনে শীত লাগছে।
কয়েকজন গৃহিণী জানান, শীত মৌসুমের দিন যত গড়াচ্ছে ঠান্ডা তত বাড়ছে। বাইরে কাজ করতে অসুবিধা হচ্ছে। এখনই এতো ঠান্ডা, সামনে তো আরো খারাপ হবে।