ঢাকা , সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দ. কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট সামরিক আইন জারির জন্য ক্ষমা চাইলেন

  • ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ০৬:২৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২৪
  • 7

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

দক্ষিণ কোরিয়ায় সামরিক আইন জারির জন্য জাতির কাছে ক্ষমা চেয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল। শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক টেলিভিশন ভাষণে ক্ষমা প্রার্থনা করেন তিনি। খবর বিবিসির।

ইউন সুক ইওল বলেন, দেশে সামরিক আইন ঘোষণার জন্য আমি খুবই দুঃখিত এবং আপনাদের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। প্রেসিডেন্ট হিসেবে অনেকটা মরিয়া হয়ে আমি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। কিন্তু এটি জনগণের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি করেছিল। তাদের অসুবিধায় ফেলেছিল।

তিনি বলেন, এই ঘোষণার ফলে যে কোনো আইনি ও রাজনৈতিক পরিস্থিতির দায় আমি এড়াতে পারি না। মানুষের মধ্যে সন্দেহ রয়েছে যে আরেকবার সামরিক আইন জারি করা হবে কিনা; তবে আমি আপনাদের স্পষ্টভাবে এটা বলতে পারি যে, আরেকবার সামরিক আইন জারির ঘোষণা দেওয়া হবে না।

প্রেসিডেন্ট ইউন এমন একসময় ক্ষমা চাইলেন, যখন ক্ষমতা ছাড়তে তার ওপর ক্রমাগত চাপ বাড়ছে। তাকে প্রেসিডেন্ট পদ থেকে অভিশংসনে আজ শনিবার (৭ ডিসেম্বর) দেশটির পার্লামেন্টে ভোটাভুটি হওয়ার কথা রয়েছে। তাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে শুক্রবার দফায় দফায় জরুরি বৈঠক করে দক্ষিণ কোরিয়ার রাজনৈতিক দলগুলো।

গত মঙ্গলবার রাতে হঠাৎই সামরিক আইন জারির ঘোষণা দেন প্রেসিডেন্ট ইউন। এতে দেশটিতে শুরু হয় রাজনৈতিক উত্তেজনা। তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েন প্রেসিডেন্ট। তার এই ঘোষণার বিরুদ্ধে অবস্থান নেন আইনপ্রণেতারাও। পরে বিক্ষোভের মুখে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সামরিক আইন জারির ঘোষণা প্রত্যাহার করতে বাধ্য হন প্রেসিডেন্ট।

পাঁচ বছর মেয়াদের জন্য নির্বাচিত ইউনের মেয়াদ পূর্ণ হতে আরো দুই বছর বাকি।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

বিশ্বে এই প্রথম প্রধানমন্ত্রী-মসজিদের ইমাম একসঙ্গে পালিয়েছেন : দুদক চেয়ারম্যান

দ. কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট সামরিক আইন জারির জন্য ক্ষমা চাইলেন

আপডেট সময় ০৬:২৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২৪

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

দক্ষিণ কোরিয়ায় সামরিক আইন জারির জন্য জাতির কাছে ক্ষমা চেয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল। শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক টেলিভিশন ভাষণে ক্ষমা প্রার্থনা করেন তিনি। খবর বিবিসির।

ইউন সুক ইওল বলেন, দেশে সামরিক আইন ঘোষণার জন্য আমি খুবই দুঃখিত এবং আপনাদের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। প্রেসিডেন্ট হিসেবে অনেকটা মরিয়া হয়ে আমি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। কিন্তু এটি জনগণের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি করেছিল। তাদের অসুবিধায় ফেলেছিল।

তিনি বলেন, এই ঘোষণার ফলে যে কোনো আইনি ও রাজনৈতিক পরিস্থিতির দায় আমি এড়াতে পারি না। মানুষের মধ্যে সন্দেহ রয়েছে যে আরেকবার সামরিক আইন জারি করা হবে কিনা; তবে আমি আপনাদের স্পষ্টভাবে এটা বলতে পারি যে, আরেকবার সামরিক আইন জারির ঘোষণা দেওয়া হবে না।

প্রেসিডেন্ট ইউন এমন একসময় ক্ষমা চাইলেন, যখন ক্ষমতা ছাড়তে তার ওপর ক্রমাগত চাপ বাড়ছে। তাকে প্রেসিডেন্ট পদ থেকে অভিশংসনে আজ শনিবার (৭ ডিসেম্বর) দেশটির পার্লামেন্টে ভোটাভুটি হওয়ার কথা রয়েছে। তাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে শুক্রবার দফায় দফায় জরুরি বৈঠক করে দক্ষিণ কোরিয়ার রাজনৈতিক দলগুলো।

গত মঙ্গলবার রাতে হঠাৎই সামরিক আইন জারির ঘোষণা দেন প্রেসিডেন্ট ইউন। এতে দেশটিতে শুরু হয় রাজনৈতিক উত্তেজনা। তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েন প্রেসিডেন্ট। তার এই ঘোষণার বিরুদ্ধে অবস্থান নেন আইনপ্রণেতারাও। পরে বিক্ষোভের মুখে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সামরিক আইন জারির ঘোষণা প্রত্যাহার করতে বাধ্য হন প্রেসিডেন্ট।

পাঁচ বছর মেয়াদের জন্য নির্বাচিত ইউনের মেয়াদ পূর্ণ হতে আরো দুই বছর বাকি।