অনলাইন ডেস্ক : হাইব্রিড নেতাকর্মীদের দলে জায়গা না দিতে কঠোর নির্দেশনা দিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সে অনুযায়ী, অনুপ্রবেশকারী হাইব্রিড নেতাকর্মী ঠেকাতে ওয়ার্ড থেকে কেন্দ্রীয় পর্যায়ে বিএনপির কমিটি গঠনে নেওয়া হচ্ছে বাড়তি সতর্কতা। কিন্তু তারপরও হাইব্রিড অনুপ্রেবশকারীদের ঠেকানো যাচ্ছে না। প্রতিদিনই ওয়ার্ড থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত বিভিন্নস্তরে বিএনপিতে আবির্ভাব ঘটছে হাইব্রিড নেতাদের। আন্দোলনের মাঠে ছিলেন না, মামলা-হামলা কিংবা নির্যাতনের মুখেও ছিলেন না, ঘরছাড়াও হতে হয়নি।বিগত দিনে ব্যবসা-বাণিজ্য করেছেন, তাল মিলিয়ে চলেছেন আওয়ামী লীগ সরকারের সঙ্গে।তারাই এখন বনে গেছেন বিএনপির দাপুটে হর্তাকর্তা।এসব হাইব্রিড অনুপ্রবেশকারী নেতাদের সঙ্গে যোগ হয়েছেন নব্য বিএনপি নামধারী অনেকে। যারা কখনোই বিএনপিতে সম্পৃক্ত ছিলেন না, তারাই এখন নানা জায়গায় দখল-চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপকর্ম করে বিএনপিকে বেকায়দায় ফেলছেন। দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করছেন।আবার হাইব্রিড অনুপ্রবেশকারীরাই এখন বিএনপির তৃণমূলের ত্যাগীদের ওপর ছড়ি ঘোরাচ্ছেন।বাগেরহাট জেলার ফকিরহাট উপজেলার ৩ নং পিলজংগ ইউনিয়নে গত ১৭ বছর ধরে জয় বাংলা তথা আওয়ামীলীগ এর সংস্পর্শে থেকে বর্তমানে বিএনপির নেতৃত্ব দিচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এর ফলে দলের তৃণমূল কর্মীদের মাঝে দারুণ ক্ষোভ ও অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে।এ ধরনের হাইব্রিড নেতৃত্বের কারণে সারা বাংলাদেশেই দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়ন তথা দেশ সংস্কার ব্যহত হবে বলে জাতীয়তাবাদী শক্তির তৃণমূলের সকল নেতা কর্মীগণ সংশয় প্রকাশ করেছেন।
অবিলম্বে দলের ভিতর শুদ্ধাচার অভিযান চালিয়ে ইউনিয়ন বিএনপিকে ঢেলে সাজানোর জন্য উপজেলা বিএনপি’র নেতৃবৃন্দের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন ৩ নং পিলজংগ ইউনিয়নের জাতীয়তাবাদী শক্তির সকল সহযোগী সংগঠনের নেতা কর্মীবৃন্দ।তারা জানান এখানেও বিএনপিতে অনুপ্রবেশকারী হাইব্রিড নেতাদের ছড়াছড়ি।হাইব্রিড নেতাদের দাপটে কোণঠাসা ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতাকর্মীরা।বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দরা বলছেন, বিএনপির সুদিনের সম্ভাবনায় এখন অনেক হাইব্রিড নেতা জুটতে শুরু করেছেন, আওয়ামী লীগের অনেক সুবিধাভোগী খোলস পরিবর্তন করে বিএনপির রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হতে চাচ্ছেন। এ বিষয়ে বিএনপির পক্ষ থেকে কঠোর নির্দেশনা থাকলেও বিভিন্ন কায়দা-কানুন করে দলের দায়িত্বশীল নেতাদের সঙ্গে সখ্য গড়ে দলের ভিতরে নাম লেখানোর চেষ্টা করছে। এসব নেতাকর্মীই দেশের বিভিন্ন জায়গায় অপকর্মে জড়িয়ে পড়ছেন। চতুর প্রকৃতির হাইব্রিড নেতারা সুযোগ বুঝে সটকে পড়লেও ধরা খাচ্ছেন বিএনপির কতিপয় নেতাকর্মী। যাদের অপকর্মের দায়ে বহিষ্কার হতে হচ্ছে অনেককে।বিএনপিতে অনুপ্রবেশকারী হাইব্রিড নেতাদের দৌরাত্ম্য সর্ম্পকে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেন, হাইব্রিড নেতাদের বিষয়ে আমরা সতর্ক রয়েছি। এরই মধ্যে দল থেকে নেতাকর্মীকে সতর্ক করা হয়েছে। দলে যোগদান অনুষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে। এরপরও বিভিন্ন জায়গায় বিএনপির নাম ভাঙিয়ে অনেকে অনেক অপকর্ম করছেন। যাদের সঙ্গে বিএনপির ন্যূনতম কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। বিএনপির দুর্দিনে যারা ত্যাগ স্বীকার করেছেন, পরিশ্রম করেছেন দল তাদের মূল্যায়ন করবে। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এ বিষয়ে তৃণমূলের নেতাকর্মীকে বিভিন্ন সময়ে আশ্বস্ত করেছেন।