পঞ্চগড় প্রতিনিধি
টানা তিন দিন মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে। এ নিয়ে চলতি মৌসুমে দ্বিতীয় দফায় জেলাটিতে শৈত্যপ্রবাহ বিরাজ করছে। সন্ধ্যা থেকে সকাল আটটা পর্যন্ত ঘন কুয়াশায় ঢেকে থাকছে গোটা এলাকা। এরপর শুরু হয় ঝলমলে রোদ। স্বস্তি ফেরে জনপদে।
বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় রাতের গড় তাপমাত্রা (সর্বনিম্ন) নয় দশমিক পাঁচ রেকর্ড করেছে তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিস। বুধবার ছিল নয় দশমিক তিন ডিগ্রি। আর গত মঙ্গলবার রেকর্ড করা হয় নয় দশমিক দুই ডিগ্রি।
এদিকে, মঙ্গলবার দিনের তাপমাত্রা (সর্বোচ্চ) বেড়ে রেকর্ড করা হয় ২৬ দশমিক পাঁচ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে বিকালের পর থেকে পরদিন সকাল পর্যন্ত হালকা কুয়াশার সঙ্গে উত্তরের হিমেল বাতাসে হাড়কাঁপানো শীত অনুভূত হয়।
ঝলমলে রোদে দিনে স্বস্তি থাকলেও সকালে কাজে বের হওয়া দিনমজুর, কৃষিশ্রমিকসহ খেটে খাওয়া মানুষের দুর্ভোগ দেখা দিয়েছে। দৈনন্দিন আয় কমে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন রিকশা-ভ্যানের চালকসহ নিম্ন আয়ের মানুষ।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ রায় বলেন, ‘বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় নয় দশমিক পাঁচ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। বুধবার রাতের তাপমাত্রা ছিল নয় দশমিক তিন ডিগ্রি। পঞ্চগড়সহ তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা তিন দিন ধরেই ১০-এর নিচে অবস্থান করছে। আবারো মৃদু শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়েছে।’
এদিকে শীতের কারণে বেড়েছে জ্বর, সর্দি, ডায়রিয়া, নিউমোনিয়াসহ বিভিন্ন রোগ। প্রতিদিন জেলা ও উপজেলার হাসপাতালগুলোর বহির্বিভাগে বাড়ছে রোগীর সংখ্যা। যারা বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ছেন তারাই কেবল হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। চিকিৎসার পাশাপাশি সুস্থ থাকতে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।
এর আগে, চলতি মাসের ১৩ থেকে ১৮ ডিসেম্বর টানা ছয় দিন শৈত্যপ্রবাহের কবলে পড়েছিল হিমালয়কন্যা খ্যাত পঞ্চগড় জেলা। আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে, জেলায় গত ১৩ ডিসেম্বর আট দশমিক চার ডিগ্রি, ১৪ ডিসেম্বর নয় দশমিক দুই ডিগ্রি, ১৫ ডিসেম্বর নয় দশমিক পাঁচ ডিগ্রি, ১৬ ডিসেম্বর নয় দশমিক চার ডিগ্রি, ১৭ ডিসেম্বর নয় দশমিক এক ডিগ্রি এবং ১৮ ডিসেম্বর আট দশমিক আট ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।