সিনিয়র রিপোর্টার
মোবাইলে আর্থিক সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান নগদের বিরুদ্ধে ২ হাজার ৩৫৬কোটি টাকা জালিয়াতির প্রমাণ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুদকের সহকারী পরিচালক তানজির আহমেদের নেতৃত্বে একটি টিম রাজধানীর বনানীতে অবস্থিত নগদের অফিসে অভিযান চালিয়ে এই অসঙ্গতি খুঁজে পায়।
একইসঙ্গে বিদেশিদের ৭০ শতাংশের বেশি শেয়ারের মাধ্যমে মানিলন্ডারিং ও ডাক বিভাগের সঙ্গে অসম চুক্তির বিষয়ে নথিপত্র বিশ্লেষণ করে পরবর্তী পদক্ষেপ নিবে বলে জানিয়েছে অভিযানকারী দল। বাংলাদেশ ডাক বিভাগের ডিজিটাল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস ‘নগদ’র প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে বিদেশে অর্থপাচারের মাধ্যমে মানিলন্ডারিংয়ের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে বুধবার অভিযান চালিয়েছে দুদক।
অভিযোগসহ বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, দেশে মোবাইল ব্যাংকিং সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর (এমএফএস) প্রায় পাঁচ হাজার অবৈধ এজেন্ট রয়েছে। এসব এজেন্টের মাধ্যমে গত এক বছরে প্রায় ৭৫ হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে। এজেন্টরা হুন্ডির মাধ্যমে ওই টাকা পাচার করেছে। এসব বিষয় সুনির্দিষ্ট তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করতেই আজকের অভিযান। পর্যায়ক্রমে অন্যান্য মোবাইল ব্যাংকিংয়ের প্লাটফর্মের লেনদনের তথ্য-উপাত্তও সংগ্রহ করা হবে।
এদিকে চার ঘণ্টার অভিযানের পর তাদের তথ্য মতে জানা গেছে, ডাক অধিদফতরের চুক্তি না মেনে নগদে অতিরিক্ত ৬৪৫ কোটি টাকার ই-মানি ইস্যু করা হয়েছে। এছাড়া ভুয়া এজেন্ট দেখিয়ে ১ হাজার ৭১১ কোটি টাকার ফান্ড সরিয়ে নেয়া হয়। পটপরিবর্তনের পর নগদের নবনিযুক্ত প্রশাসক মুহম্মদ বদিউজ্জামান দিদার বিষয়টি স্বীকার বলেন, মানিলন্ডারিং হয়েছে কি না খতিয়ে দেখবে দুদক।
দুদকের সহকারী পরিচালক তানজীর আহমেদ বলেন, নগদে ৭০ শতাংশের বেশি মালিকানা বিদেশিদের। ফলে বিদেশে অর্থ পাচার হয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখা হবে। সেইসঙ্গে নগদের নেপথ্যে আওয়ামী লীগের কারা কিংবা কাদের প্রভাবে ডাক বিভাগের সঙ্গে অসম চুক্তি হয়েছে, সেগুলোও বিশ্লেষণ করবে অভিযানকারী দল।’