ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতের আজ পঞ্চম দিনে সর্বশেষ পরিস্থিতি কেমন তা দেখে নেওয়া যেতে পারে
-
ডেস্ক :
-
আপডেট সময়
০৪:০৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ অক্টোবর ২০২৩
- 240
অনলাইন ডেস্ক : জেনে নিন ফিলিস্তিন-ইসরায়েল যুদ্ধের সর্বশেষ অবস্থা সংঘাতের আজ পঞ্চম দিনে সর্বশেষ পরিস্থিতি কেমন তা দেখে নেওয়া যেতে পারে ইসরায়েল গতকাল মঙ্গলবার গাজার সীমান্তে বিপুল পরিমাণ সেনা ও যুদ্ধ সরঞ্জামের সমাবেশ ঘটিয়েছে। সেখানে শক্তি বাড়ানোর চেষ্টা চলমান। কয়েক দিনের মধ্যে গাজায় স্থল আক্রমণ শুরু করার জন্যই এ প্রস্তুতি বলে মনে করা হচ্ছে। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলেছে, তারা সীমান্তের বেশির ভাগ এলাকাই সুরক্ষিত করেছে। ইসরায়েলি বাহিনীর আক্রমণে প্রচুর অবকাঠামো ধ্বংস হয়েছে। বাস্তুচ্যুত হয়েছে হাজার হাজার মানুষ। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেছেন, গাজা আগে যে অবস্থায় ছিল, তা কখনই ফিরে আসবে না। শনিবার হামাসের হামলায় নিহতের সংখ্যা হাজার পেরিয়ে গেছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী। তারা বলেছে, ইতিহাসে সবচেয়ে মারাত্মক ‘জঙ্গি হামলা’ ছিল এটি। হামাস দক্ষিণ ইসরায়েলি শহরগুলোতে হামলা চালানোর চার দিন পরও ইসরায়েলি সেনারা সেখান থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করছে। গাজার স্বাস্থ্য বিভাগ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শনিবার থেকে এ পর্যন্ত হামলায় মৃতের সংখ্যা ৯০০ হয়েছে। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ২৬০ শিশু ও ২৩০ নারী রয়েছে বলে জানিয়েছে তারা। গাজার আতঙ্কিত অধিবাসীরা বিভিন্ন অঞ্চলজুড়ে আবাসিক ভবন, হাসপাতাল ও স্কুলগুলোতে বোমা হামলার বর্ণনা দিয়েছে। ইসরায়েল এখানে সম্পূর্ণ অবরোধ কার্যকর করার হুমকি দিয়েছে। তাদের হামলায় প্রচুর বেসামরিক অবকাঠামো ধ্বংস হয়েছে।
মঙ্গলবার জাতিসংঘে ফিলিস্তিনি দূত গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের বোমাবর্ষণের ঘটনা তুলে ধরেছেন। হামাস-নিয়ন্ত্রিত ফিলিস্তিনি ছিটমহলে সম্পূর্ণ অবরোধ আরোপকে ‘গণহত্যার চেয়ে কম কিছু নয়’ বলে বর্ণনা করেছেন। জাতিসংঘে ফিলিস্তিনি দূত রিয়াদ মনসুর নিরাপত্তা পরিষদে এক চিঠিতে লিখেছেন, ‘এ ধরনের নির্মম অমানবিকতা এবং জনগণকে বোমা মেরে আত্মসমর্পণ করার চেষ্টা, ক্ষুধাকে যুদ্ধের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা এবং তাদের জাতীয় অস্তিত্বকে মুছে ফেলা গণহত্যার চেয়ে কম কিছু নয়।’ ইসরায়েলের সীমান্ত পুলিশ পূর্ব জেরুজালেমে দুই ফিলিস্তিনিকে গুলি করে হত্যা করেছে। ফলে পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেমজুড়ে সংঘাত আরও বাড়তে পারে। হিজবুল্লাহ–নিয়ন্ত্রিত দক্ষিণ লেবানন থেকে উত্তর ইসরায়েলে একটি রকেট নিক্ষেপ করা হয়েছে। সংকট যে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে, এটা তারই লক্ষণ। মর্টার হামলার পর গোলান মালভূমি থেকে সিরিয়ায় গোলাবর্ষণ করেছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিল সতর্ক করেছে, ইতিমধ্যেই ‘স্পষ্ট প্রমাণ’ রয়েছে যে ইসরায়েল ও গাজায় সহিংসতায় যুদ্ধাপরাধ সংঘটিত হতে পারে। সংস্থাটি বলেছে, তারা শনিবার থেকে ‘সব পক্ষের মাধ্যমে সংঘটিত যুদ্ধাপরাধের’ প্রমাণ সংগ্রহ করছে। ইসরায়েল হামাস কর্তৃক অপহৃত অধিকাংশ জিম্মিকে শনাক্ত করেছে এবং তাদের পরিবারকে অবহিত করা শুরু করেছে বলে মনে করা হচ্ছে।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর কর্মকর্তারা মঙ্গলবার প্রায় ১০০ পরিবারকে জানাবেন যে তাদের প্রিয়জন গাজায় রয়েছেন। ইসরায়েলের নিরস্ত্র মানুষের ওপর হামাস সদস্যরা যেভাবে হামলা চালিয়েছেন, তাকে সম্পূর্ণভাবে শয়তানের কাজ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস, মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্যসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়ে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে ফোনালাপের পর এ কথা বলেছেন তিনি। বাইডেন হোয়াইট হাউস থেকে বলেছেন, গত শনিবারের পর থেকে হামলায় কমপক্ষে ১৪ মার্কিন নাগরিক নিহত হয়েছেন। এখনো অনেক মার্কিন নাগরিক জিম্মি রয়েছেন। মার্কিন গোলাবারুদ বহনকারী প্রথম বিমানটি মঙ্গলবার ইসরায়েলে পৌঁছেছে। পরে তিনি এক্সে লিখেছেন, ‘হামাসের বর্বরতা, রক্ত-তৃষ্ণা, আইএসআইএসের ভয়াবহ তাণ্ডবের কথা মনে করিয়ে দেয়। এটা সন্ত্রাসবাদ।’ ওমানে জরুরি বৈঠকের পর ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষকে অর্থছাড় স্থগিত করার জন্য ইউরোপীয় কমিশনের সিদ্ধান্ত বাতিল করেছে। দ্য গার্ডিয়ান
ট্যাগস