ঢাকা , শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মির্জা ফখরুল বলেন : দেশের অর্থনীতিকে ‘মহাবিপর্যয়ের’ দিকে ঠেলে দিচ্ছে সরকার

  • ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ০৪:৩৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৩
  • 238

অনলাইন ডেস্ক :  দেশের অর্থনীতিকে সরকার ‘মহাবিপর্যয়ের’ দিকে ঠেলে দিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন তিনি। এ সময় বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘হতদরিদ্র মানুষ পেট ভরে দুবেলা খেতে পারে না, অন্যদিকে আওয়ামী স্বৈরশাসকেরা উন্নয়নের গালগল্প করে দেশটিকে ঋণের জালে জর্জরিত করে দেউলিয়ার পথে ঠেলে দিয়েছে।’মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বিশ্ব অর্থনীতি গতি হারালেও থমকে যায়নি। অনেক দেশ মূল্যস্ফীতি কমাতে সফল হচ্ছে। কী ভয়ঙ্কর ও বিপর্যয়কর অর্থনৈতিক অবস্থা থেকে শ্রীলঙ্কা কত দ্রুত ওভারকাম করতে শুরু করেছে। তারা বাংলাদেশের কাছ থেকে ধার নেওয়া কিছু ঋণ ইতোমধ্যে শোধও করেছে।’

মূল্যস্ফীতি ইস্যুতে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে শ্রীলঙ্কার মূল্যস্ফীতি রেকর্ড ছিল ৬৯ দশমিক ৮ শতাংশ, যা ২০২৩ সালের আগস্টে নেমে হয়েছে মাত্র ২ দশমিক ১ শতাংশ। অর্থাৎ, এক বছরের মাথায় ৬৭ শতাংশ কমিয়ে এনেছে শ্রীলঙ্কা। অথচ আমাদের অর্থনীতি মুখ থুবড়ে পড়ছে তো পড়ছেই। যেভাবে জোড়াতালি দিয়ে অস্বচ্ছ ও সমন্বয়হীনভাবে সমস্যাগুলোর সামাল দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে, তাতে অর্থনীতিতে অনিশ্চয়তা আরও বেড়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমানে ব্যাংকিং চ্যানেলে ডলারের দাম আরও বেড়েছে। এখন খোলা বাজারে (কার্ব মার্কেট) এক ডলার কিনতে গ্রাহকদের গুনতে হচ্ছে ১১৭-১১৮ টাকা। কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলেছে, ভবিষ্যতের জন্য ডলার বুকিং দিয়ে রাখলে এক বছর পর প্রতি ডলারে ১২৩ টাকা ৩৫ পয়সা পরিশোধ করতে হবে। বৈদেশিক মুদ্রার মজুতের পতনও ঠেকানো যাচ্ছে না। রিজার্ভ পতনে বিপর্যয়ের মাস সেপ্টেম্বর। বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে রিজার্ভ এখন ২১ বিলিয়ন ডলারে নেমেছে। আর আইএমএফের হিসাব অনুযায়ী, বর্তমানে নিট রিজার্ভ ১৭ বিলিয়ন ডলার।’

সংবাদ সম্মেলনে ফখরুল বলেন, ‘দেশে টানা তিন মাস ধরে প্রবাসী আয় কমছে। ৪১ মাসের মধ্যে সেপ্টেম্বরে ছিল সর্বনিম্ন ১৩৪ কোটি ডলার। গত তিন বছরের মধ্যে সেপ্টেম্বরে একক মাসে সর্বনিম্ন রেমিট্যান্স এসেছে। প্রতি মাসে যেভাবে বৈদেশিক মুদ্রার মজুত কমছে, তাতে বড় ধরনের সংকটের দিকে এগোচ্ছে দেশের অর্থনীতি। ডলারের অভাবে এলসি খুলতে পারছেন না ব্যবসায়ী ও শিল্প মালিকেরা।’

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

মির্জা ফখরুল বলেন : দেশের অর্থনীতিকে ‘মহাবিপর্যয়ের’ দিকে ঠেলে দিচ্ছে সরকার

আপডেট সময় ০৪:৩৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৩

অনলাইন ডেস্ক :  দেশের অর্থনীতিকে সরকার ‘মহাবিপর্যয়ের’ দিকে ঠেলে দিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন তিনি। এ সময় বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘হতদরিদ্র মানুষ পেট ভরে দুবেলা খেতে পারে না, অন্যদিকে আওয়ামী স্বৈরশাসকেরা উন্নয়নের গালগল্প করে দেশটিকে ঋণের জালে জর্জরিত করে দেউলিয়ার পথে ঠেলে দিয়েছে।’মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বিশ্ব অর্থনীতি গতি হারালেও থমকে যায়নি। অনেক দেশ মূল্যস্ফীতি কমাতে সফল হচ্ছে। কী ভয়ঙ্কর ও বিপর্যয়কর অর্থনৈতিক অবস্থা থেকে শ্রীলঙ্কা কত দ্রুত ওভারকাম করতে শুরু করেছে। তারা বাংলাদেশের কাছ থেকে ধার নেওয়া কিছু ঋণ ইতোমধ্যে শোধও করেছে।’

মূল্যস্ফীতি ইস্যুতে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে শ্রীলঙ্কার মূল্যস্ফীতি রেকর্ড ছিল ৬৯ দশমিক ৮ শতাংশ, যা ২০২৩ সালের আগস্টে নেমে হয়েছে মাত্র ২ দশমিক ১ শতাংশ। অর্থাৎ, এক বছরের মাথায় ৬৭ শতাংশ কমিয়ে এনেছে শ্রীলঙ্কা। অথচ আমাদের অর্থনীতি মুখ থুবড়ে পড়ছে তো পড়ছেই। যেভাবে জোড়াতালি দিয়ে অস্বচ্ছ ও সমন্বয়হীনভাবে সমস্যাগুলোর সামাল দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে, তাতে অর্থনীতিতে অনিশ্চয়তা আরও বেড়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমানে ব্যাংকিং চ্যানেলে ডলারের দাম আরও বেড়েছে। এখন খোলা বাজারে (কার্ব মার্কেট) এক ডলার কিনতে গ্রাহকদের গুনতে হচ্ছে ১১৭-১১৮ টাকা। কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলেছে, ভবিষ্যতের জন্য ডলার বুকিং দিয়ে রাখলে এক বছর পর প্রতি ডলারে ১২৩ টাকা ৩৫ পয়সা পরিশোধ করতে হবে। বৈদেশিক মুদ্রার মজুতের পতনও ঠেকানো যাচ্ছে না। রিজার্ভ পতনে বিপর্যয়ের মাস সেপ্টেম্বর। বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে রিজার্ভ এখন ২১ বিলিয়ন ডলারে নেমেছে। আর আইএমএফের হিসাব অনুযায়ী, বর্তমানে নিট রিজার্ভ ১৭ বিলিয়ন ডলার।’

সংবাদ সম্মেলনে ফখরুল বলেন, ‘দেশে টানা তিন মাস ধরে প্রবাসী আয় কমছে। ৪১ মাসের মধ্যে সেপ্টেম্বরে ছিল সর্বনিম্ন ১৩৪ কোটি ডলার। গত তিন বছরের মধ্যে সেপ্টেম্বরে একক মাসে সর্বনিম্ন রেমিট্যান্স এসেছে। প্রতি মাসে যেভাবে বৈদেশিক মুদ্রার মজুত কমছে, তাতে বড় ধরনের সংকটের দিকে এগোচ্ছে দেশের অর্থনীতি। ডলারের অভাবে এলসি খুলতে পারছেন না ব্যবসায়ী ও শিল্প মালিকেরা।’