সিনিয়র রিপোর্টার : নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মোহাম্মদ আলমগীর বলেছেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর আগের মামলায় কাউকে গ্রেপ্তার করলে হস্তক্ষেপ করবে নির্বাচন কমিশন।
রোববার (১৫ অক্টোবর) নির্বাচন ভবনের নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
‘তফসিলের পর যেন কাউকে গ্রেপ্তার না করা হয়’ প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের এমন বক্তব্যের প্রসঙ্গে ইসি আলমগীর বলেন, এটা আসলে তিনি প্রসঙ্গক্রমে বলেছেন। বিষয়টা হচ্ছে, নির্বাচনকে সুষ্ঠ ও শান্তিপূর্ণ করার জন্য তফসিল ঘোষণার পর যেন কোনো রাজনৈতিক মামলা বা আটক করা না হয়। কারো বিরুদ্ধে ক্রিমিনাল মামলা থেকে থাকলে নির্বাচনের আগে গ্রেপ্তার করুন। যদি কোনো মামলা না থাকে এবং ক্রিমিনাল অফেন্স করেনি এমন কাউকে গ্রেপ্তার করা হলে কমিশন সেটা বিচার বিশ্লেষণ করবে। সেই হিসেবে কমিশনের কোনো বক্তব্য বা সাজেশন থাকলে সরকারকে দেবে।
সাংবিধানিকভাবে নির্বাচন কমিশন ভোটে কোনো বাধা দেখছে না উল্লেখ করে ইসি বলেন, আমরা ফুললি কনফিডেন্ট, নির্বাচন হবে। সরকারের সঙ্গে রাজনৈতিক দলের ইস্যুতে হস্তক্ষেপ করবে না ইসি। সংবিধান অনুযায়ী দায়িত্ব নিয়েছি দলীয় সরকারের অধীনে। পুলিশ ও জেলা প্রশাসকরা নির্বাচনে আমাদের কথামতো কাজ করবেন। পুলিশ ও রাজনীতির দায়িত্ব আমরা পালন করি না।
বিএনপি নির্বাচনে না আসলে কি খারাপ লাগবে, এমন প্রশ্নের জবাবে ইসি আলমগীর বলেন, আমরা চাই সব রাজনৈতিক দল নির্বাচনে আসুক। বিএনপি নির্বাচনে আসুক। আমরা সুষ্ঠ নির্বাচন করেছি। আগামীতেও সুষ্ঠ নির্বাচন করব। এটা ঠিক কোনো নির্বাচনেই সব রাজনৈতিক দল আসে না। আপনারা ইতিহাসে দেখেন, ৭০ এর নির্বাচনেও সব দল আসেনি। ৪৪টা দল তো তাই কোন দল নির্বাচনে আসবে আবার কোনো দল নাও আসতে পারে। এ সময় তিনি বিএনপিকে নির্বাচনে আসার আহ্বান জানান।