ঢাকা , রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

১৫০ সেতু ও ১৪টি ওভারপাস উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

  • ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ০৪:২৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৩
  • 126

অনলাইন ডেস্ক : সারাদেশে সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তরের আওতায় নির্মিত ১৫০টি সেতু ও ১৪টি ওভারপাস উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 

বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর সড়ক ভবন থেকে ভার্চুয়ালি একযোগে এসব সেতু উদ্বোধন করেন তিনি। এছাড়াও সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ব্যক্তিদের পরিবার ও আহত ব্যক্তিদের হাতে আর্থিক সহায়তার চেক তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী।

এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সড়ক ভবনে পৌঁছালে তাকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এ সময় সড়ক ভবন প্রাঙ্গণে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল ‘তৃতীয় নেত্র’ উদ্বোধন করেন। এরপর সেখানে একটি গাছের চারা রোপণ করেন তিনি।

সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, দেশের ৮ বিভাগের ৩৯ জেলায় নির্মিত এই ১৫০ সেতুর মোট দৈর্ঘ্য ৯ হাজার ৪৫৪ মিটার বা ৯ দশমিক ৪৫ কিলোমিটার। যা নির্মাণে মোট ব্যয় হয়েছে ৩ হাজার ২৮৭ কোটি টাকা। এর মধ্যে ময়মনসিংহ বিভাগে রয়েছে ৪০টি সেতু, ঢাকা বিভাগে ৩২টি, চট্টগ্রাম বিভাগে ২৭টি, রাজশাহী বিভাগে ২২টি সেতু, খুলনা বিভাগে ১২টি সেতু, বরিশাল ও রংপুর বিভাগে ৮টি করে সেতু এবং সিলেট বিভাগে একটি সেতু। রংপুর, সিরাজগঞ্জ, বগুড়া, গাইবান্ধা জেলায় ১৪টি ওভারপাস উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় সেতুটি হচ্ছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নির্মিত ৫৫৮ দশমিক ২১ মিটার দীর্ঘ তিতাস সেতু। যানজট নিরসনে দেশের উত্তরাঞ্চলে নির্মিত এসব ওভারপাসের মোট দৈর্ঘ্য ৬৮৯ মিটার।  যার নির্মাণ ব্যয় হয়েছে ২০৮ কোটি টাকা। জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা (জাইকা) ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) আর্থিক সহযোগিতায় এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে সরকার।

ওবায়দুল কাদেরের সভাপতিত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরীসহ আমন্ত্রিত অতিথিরা।

যোগাযোগ বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এই ১৫০টি সেতু ও বিভিন্ন মহাসড়কের ১৪টি ওভারপাস প্রান্তিক জনগোষ্ঠী সারা দেশের যোগাযোগের ক্ষেত্রে বড় সুবিধা পাবে। সেতুগুলো প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জিডিপি বাড়াতে সহায়ক হবে। এগুলো চালু হলে সারাদেশে যোগাযোগে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

আসহাবুল উখদুদ : যুবকের আত্মত্যাগে সত্যের সন্ধান

১৫০ সেতু ও ১৪টি ওভারপাস উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

আপডেট সময় ০৪:২৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৩

অনলাইন ডেস্ক : সারাদেশে সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তরের আওতায় নির্মিত ১৫০টি সেতু ও ১৪টি ওভারপাস উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 

বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর সড়ক ভবন থেকে ভার্চুয়ালি একযোগে এসব সেতু উদ্বোধন করেন তিনি। এছাড়াও সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ব্যক্তিদের পরিবার ও আহত ব্যক্তিদের হাতে আর্থিক সহায়তার চেক তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী।

এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সড়ক ভবনে পৌঁছালে তাকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এ সময় সড়ক ভবন প্রাঙ্গণে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল ‘তৃতীয় নেত্র’ উদ্বোধন করেন। এরপর সেখানে একটি গাছের চারা রোপণ করেন তিনি।

সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, দেশের ৮ বিভাগের ৩৯ জেলায় নির্মিত এই ১৫০ সেতুর মোট দৈর্ঘ্য ৯ হাজার ৪৫৪ মিটার বা ৯ দশমিক ৪৫ কিলোমিটার। যা নির্মাণে মোট ব্যয় হয়েছে ৩ হাজার ২৮৭ কোটি টাকা। এর মধ্যে ময়মনসিংহ বিভাগে রয়েছে ৪০টি সেতু, ঢাকা বিভাগে ৩২টি, চট্টগ্রাম বিভাগে ২৭টি, রাজশাহী বিভাগে ২২টি সেতু, খুলনা বিভাগে ১২টি সেতু, বরিশাল ও রংপুর বিভাগে ৮টি করে সেতু এবং সিলেট বিভাগে একটি সেতু। রংপুর, সিরাজগঞ্জ, বগুড়া, গাইবান্ধা জেলায় ১৪টি ওভারপাস উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় সেতুটি হচ্ছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নির্মিত ৫৫৮ দশমিক ২১ মিটার দীর্ঘ তিতাস সেতু। যানজট নিরসনে দেশের উত্তরাঞ্চলে নির্মিত এসব ওভারপাসের মোট দৈর্ঘ্য ৬৮৯ মিটার।  যার নির্মাণ ব্যয় হয়েছে ২০৮ কোটি টাকা। জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা (জাইকা) ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) আর্থিক সহযোগিতায় এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে সরকার।

ওবায়দুল কাদেরের সভাপতিত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরীসহ আমন্ত্রিত অতিথিরা।

যোগাযোগ বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এই ১৫০টি সেতু ও বিভিন্ন মহাসড়কের ১৪টি ওভারপাস প্রান্তিক জনগোষ্ঠী সারা দেশের যোগাযোগের ক্ষেত্রে বড় সুবিধা পাবে। সেতুগুলো প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জিডিপি বাড়াতে সহায়ক হবে। এগুলো চালু হলে সারাদেশে যোগাযোগে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে।