অনলাইন ডেস্ক : বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এবং আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য হাজি সেলিমসহ ২ বছরের বেশি সাজাপ্রাপ্তদের কেউই নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। সোমবার (২৩ অক্টোবর) সুপ্রিম কোর্টের এনেক্স ভবনের সামনে দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রধান আইনজীবী খুরশীদ আলম খান সাংবাদিকদের এ কথা বলেন । খুরশীদ আলম খান বলেন, ‘হাইকোর্ট গতকালকের প্রকাশিত রায়ে বলেছেন, সাজা কখনও স্থগিত হয় না। উপযুক্ত আদালতে সাজা বাতিল না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ নাই। এই রায়ের আলোকে খালেদা জিয়া, হাজি সেলিমসহ দুই বছরের বেশি সাজাপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তিই আসন্ন সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। কারণ তাদের সাজা বাতিল হয়নি। যদি হাইকোর্টের রায় আপিল বিভাগ সংশোধন করেন বা বাতিল সেটা ভিন্নকথা।’ তিনি বলেন, ‘সাজা স্থগিত করলেই নয়, উপযুক্ত আদালত কর্তৃক সাজা বাতিল হলেই নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন। ২৮ তারিখ রাতে নাইকো দুর্নীতি মামলার দুই বিদেশি সাক্ষী ঢাকায় আসবেন এবং ৩০ তারিখ সাক্ষ্য দেবেন।’
রবিবার (২২ অক্টোবর) একটি রায়ের পর্যবেক্ষণে হাইকোর্ট বলেছেন, দুর্নীতির মামলায় দুই বছরের ওপর সাজাপ্রাপ্ত আসামি সাংবিধানিকভাবে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অযোগ্য। জামিন বা সাজা স্থগিত থাকলেও তিনি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না, যদি তার সাজা উপযুক্ত আদালতে বাতিল না হয়। আপিল বিচারাধীন থাকা মানে দণ্ডিত ব্যক্তি নির্দোষ নন। একমাত্র উপযুক্ত আদালতে সাজা বাতিল হলে দণ্ডিত ব্যক্তি নির্দোষ হবেন। দণ্ড বাতিল না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচনে অংশ নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। ২০১৮ সালের ২৭ নভেম্বর দেয়া রায়ে ৪৪ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি গতকাল রবিবার সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়। রায়ে হাইকোর্ট বলেন, দুই বছরের ওপর সাজাপ্রাপ্ত আসামি সংবিধান অনুযায়ী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অযোগ্য হবেন। বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এক রায়ের পর্যবেক্ষণে এ মন্তব্য করেন।