ঢাকা , রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রেমিট্যান্সে শীর্ষে আরব আমিরাত

  • ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ১২:০৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৩
  • 118

সিনিয়র রিপোর্টার : চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) দেশটিতে বসবাসকারী প্রবাসীরা ৮৩ কোটি ২৬ লাখ ডলার বাংলাদেশে পাঠিয়েছেন। সৌদি আরব থেকে এসেছে ৮১ কোটি ৭২ লাখ ডলার। গত তিন মাসের দুই মাসেই দেশে সৌদির চেয়ে আরব আমিরাত থেকে বেশি রেমিট্যান্স এসেছে। সেপ্টেম্বর মাসে ব্যবধান সবচেয়ে বেশি। এ মাসে সৌদি আরব থেকে এসেছে ২১ কোটি ৮৩ লাখ ডলার। আরব আমিরাত থেকে এসেছে ২৬ কোটি ৪০ লাখ ডলার। জুলাই-সেপ্টেম্বর এই তিন মাসে সৌদি আরবের চেয়ে আরব আমিরাত থেকে ১ কোটি ৫৪ লাখ ৩০ হাজার ডলার বেশি রেমিট্যান্স এসেছে। যার ফলে সৌদিকে পেছনে ফেলে শীর্ষস্থানে আরব আমিরাত।

ব্যাংক কর্মকর্তারা বলছেন, আরব আমিরাত থেকে প্রবাসীরা দেশে যে রেমিট্যান্স পাঠান, তার অধিকাংশ ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে পাঠান। কারন ঐ দেশ থেকে অবৈধ হুন্ডির মাধ্যমে দেশে টাকা পাঠানোর সুযোগ অনেক কম। অথচ সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো থেকে হুন্ডির মাধ্যমে দেশে টাকা পাঠাচ্ছেন প্রবাসীরা। ব্যাংকের চেয়ে কার্ব মার্কেটে ডলারের দাম অনেক বেশি হওয়ায় সম্প্রতি তা আরও বেড়ে গেছে। তাই সৌদি থেকে বৈধ পথে রেমিট্যান্স কমছে এবং আরব আমিরাত থেকে বাড়ছে।

ব্যাংকগুলোতে এখন রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয়ে ডলারের মূল্য ১১০ টাকা। আমদানিকারকদের কাছে বিক্রির ক্ষেত্রে ডলারের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১১০ টাকা ৫০ পয়সা। আন্তঃব্যাংক ব্যবস্থায় ডলারের মূল্যও ১১০ টাকা ৫০ পয়সা। কিন্তু খোলা মুদ্রাবাজারে ডলারের দর ১১৮ টাকা থেকে ১২০ টাকা। যার কারণে হুন্ডির মাধ্যমে রেমিট্যান্স পাঠাতে বেশি আগ্রহী হচ্ছেন প্রবাসীরা। ফলে আনুষ্ঠানিক বা ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স কমে যাচ্ছে। বর্তমান বিশ্ব প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ সূচক রেমিট্যান্স। এতে করে রেমিট্যান্সের ডলার বাড়তি আড়াই শতাংশ বেশি দামে কিনতে পারবে ব্যাংকগুলো। অর্থাৎ রেমিট্যান্স আনতে সরকারের আড়াই শতাংশ প্রণোদনার সঙ্গে এবার ব্যাংকগুলো চাইলে ২ দশমিক ৫ শতাংশ প্রণোদনা দিতে পারবে।

এদিকে চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে রেমিট্যান্স এসেছে ১৯৭ কোটি ৩১ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার এবং আগস্টে রেমিট্যান্স এসেছে ১৫৯ কোটি ৯৪ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার। এক মাসের ব্যবধানে রেমিট্যান্স কমেছে ৩৭ কোটি ৩৭ লাখ মার্কিন ডলার। সবশেষ সেপ্টেম্বরে আসে ১৩৪ কোটি ডলার যা গত ৪১ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। ২০২০ সালের এপ্রিল মাসে ১০৯ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল। সমাপ্ত ২০২২-২৩ অর্থবছরে মোট রেমিট্যান্স এসেছিল ২ হাজার ১৬১ কোটি ৭ লাখ ডলার। ২০২১-২০২২ অর্থবছরে মোট রেমিট্যান্স এসেছিল ২ হাজার ১০৩ কোটি ১৭ লাখ মার্কিন ডলার। ২০২০-২১ অর্থবছরে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স আহরণ হয়েছিল। যার পরিমাণ ছিল ২ হাজার ৪৭৭ কোটি ৭৭ লাখ মার্কিন ডলার।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

রেমিট্যান্সে শীর্ষে আরব আমিরাত

আপডেট সময় ১২:০৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৩

সিনিয়র রিপোর্টার : চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) দেশটিতে বসবাসকারী প্রবাসীরা ৮৩ কোটি ২৬ লাখ ডলার বাংলাদেশে পাঠিয়েছেন। সৌদি আরব থেকে এসেছে ৮১ কোটি ৭২ লাখ ডলার। গত তিন মাসের দুই মাসেই দেশে সৌদির চেয়ে আরব আমিরাত থেকে বেশি রেমিট্যান্স এসেছে। সেপ্টেম্বর মাসে ব্যবধান সবচেয়ে বেশি। এ মাসে সৌদি আরব থেকে এসেছে ২১ কোটি ৮৩ লাখ ডলার। আরব আমিরাত থেকে এসেছে ২৬ কোটি ৪০ লাখ ডলার। জুলাই-সেপ্টেম্বর এই তিন মাসে সৌদি আরবের চেয়ে আরব আমিরাত থেকে ১ কোটি ৫৪ লাখ ৩০ হাজার ডলার বেশি রেমিট্যান্স এসেছে। যার ফলে সৌদিকে পেছনে ফেলে শীর্ষস্থানে আরব আমিরাত।

ব্যাংক কর্মকর্তারা বলছেন, আরব আমিরাত থেকে প্রবাসীরা দেশে যে রেমিট্যান্স পাঠান, তার অধিকাংশ ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে পাঠান। কারন ঐ দেশ থেকে অবৈধ হুন্ডির মাধ্যমে দেশে টাকা পাঠানোর সুযোগ অনেক কম। অথচ সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো থেকে হুন্ডির মাধ্যমে দেশে টাকা পাঠাচ্ছেন প্রবাসীরা। ব্যাংকের চেয়ে কার্ব মার্কেটে ডলারের দাম অনেক বেশি হওয়ায় সম্প্রতি তা আরও বেড়ে গেছে। তাই সৌদি থেকে বৈধ পথে রেমিট্যান্স কমছে এবং আরব আমিরাত থেকে বাড়ছে।

ব্যাংকগুলোতে এখন রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয়ে ডলারের মূল্য ১১০ টাকা। আমদানিকারকদের কাছে বিক্রির ক্ষেত্রে ডলারের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১১০ টাকা ৫০ পয়সা। আন্তঃব্যাংক ব্যবস্থায় ডলারের মূল্যও ১১০ টাকা ৫০ পয়সা। কিন্তু খোলা মুদ্রাবাজারে ডলারের দর ১১৮ টাকা থেকে ১২০ টাকা। যার কারণে হুন্ডির মাধ্যমে রেমিট্যান্স পাঠাতে বেশি আগ্রহী হচ্ছেন প্রবাসীরা। ফলে আনুষ্ঠানিক বা ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স কমে যাচ্ছে। বর্তমান বিশ্ব প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ সূচক রেমিট্যান্স। এতে করে রেমিট্যান্সের ডলার বাড়তি আড়াই শতাংশ বেশি দামে কিনতে পারবে ব্যাংকগুলো। অর্থাৎ রেমিট্যান্স আনতে সরকারের আড়াই শতাংশ প্রণোদনার সঙ্গে এবার ব্যাংকগুলো চাইলে ২ দশমিক ৫ শতাংশ প্রণোদনা দিতে পারবে।

এদিকে চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে রেমিট্যান্স এসেছে ১৯৭ কোটি ৩১ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার এবং আগস্টে রেমিট্যান্স এসেছে ১৫৯ কোটি ৯৪ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার। এক মাসের ব্যবধানে রেমিট্যান্স কমেছে ৩৭ কোটি ৩৭ লাখ মার্কিন ডলার। সবশেষ সেপ্টেম্বরে আসে ১৩৪ কোটি ডলার যা গত ৪১ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। ২০২০ সালের এপ্রিল মাসে ১০৯ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল। সমাপ্ত ২০২২-২৩ অর্থবছরে মোট রেমিট্যান্স এসেছিল ২ হাজার ১৬১ কোটি ৭ লাখ ডলার। ২০২১-২০২২ অর্থবছরে মোট রেমিট্যান্স এসেছিল ২ হাজার ১০৩ কোটি ১৭ লাখ মার্কিন ডলার। ২০২০-২১ অর্থবছরে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স আহরণ হয়েছিল। যার পরিমাণ ছিল ২ হাজার ৪৭৭ কোটি ৭৭ লাখ মার্কিন ডলার।