সিনিয়র রিপোর্টার :
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহমেদ মোস্তফা বলেন, ঢাকার সদরঘাট থেকে কলকাতার হাওড়া পর্যন্ত প্রমোদতরি পরিচালনার পরিকল্পনা করছে এমকে শিপিং লাইন্স। বিআইডব্লিউটিএ প্রমোদতরিটি পরিচালনার অনুমোদন দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। গত ১০ অক্টোবর এর যাত্রা শুরুর কথা থাকলেও আগামী ২০ নভেম্বর এই যাত্রা শুরু হবে। নির্ধারিত সময়ে সরকারের অনুমতি না পাওয়ায় তারিখ পরিবর্তন করতে হয়েছে। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়ের পাশাপাশি আবেদনের কার্যকারিতা পর্যালোচনা করতে সময় নিয়েছে।
বিআইডব্লিউটিএ সূত্রে জানা গেছে, সাগরপথে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্প্রসারণের লক্ষ্যে ১৯৭২ সালে ‘বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন ও বাণিজ্য সংক্রান্ত প্রটোকল’ সই হয়। ২০১৮ সালের ২৫ অক্টোবর বাংলাদেশ-ভারত দুই প্রতিবেশী দেশের নির্ধারিত উপকূলীয় ও অভ্যন্তরীণ রুটে জাহাজ চলাচলের বিষয়ে দুই দেশের নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর (এসওপি) সই করে।
২০১৯ সালের ২৯ মার্চ প্রটোকল অনুযায়ী পর্যটকদের নিয়ে ঢাকা থেকে কলকাতায় যায় ‘এমভি মধুমতি’। এটি লাভজনক হিসেবে বিবেচিত না হওয়ায় আর কোনো ট্রিপ চালানো হয়নি। চলতি বছরের ১৩ জানুয়ারি এসওপির আওতায় একই ধরনের একটি প্রমোদতরি পরিচালনা করা হয়। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি উদ্বোধন করেছিলেন। অন্তরা ক্রুজেস পরিচালিত ‘এমভি গঙ্গা বিলাস’ ৫১ দিনে ভারতের পাঁচ রাজ্য ও বাংলাদেশের কিছু অংশের মধ্য দিয়ে প্রায় তিন হাজার ২০০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে।
এমকে শিপিং লাইন্সের মালিক মাসুম খান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘বিআইডব্লিউটিএর অনুমোদন পাওয়ার কথা আছে। আশা করছি, নির্ধারিত সময়েই যাত্রা শুরু করা যাবে। আমাদের জাহাজে ৩০০ থেকে ৩৫০ জনের থাকার সক্ষমতা আছে। ওয়ান ওয়ে ট্যুরের জন্য প্যাকেজের দাম ছয় হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকা। এই যাত্রা সফল হলে প্রমোদতরীটি নিয়মিত পরিচালিত হবে’।
তিনি আরও বলেন, প্রমোদতরিটি কয়েকটি স্থানে নোঙ্গর করবে, যাতে ভ্রমণকারীরা প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, গ্রাম-গ্রামীণ জীবন, ঐতিহাসিক-প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান এবং প্রাচীন মসজিদ ও মন্দির দেখার পাশাপাশি দুই দেশের সংস্কৃতি ও খাবার উপভোগ করতে পারেন।