সিনিয়র রিপোর্টার : বিএনপির চলমান অবরোধে বাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঠেকাতে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) প্রহরায় ঢাকা ছাড়বে দূরপাল্লার বাসগুলো। একটি নির্দিষ্ট সময়ে কয়েকটি কোম্পানির বাস একত্রে করে এই সেবা দেওয়া হবে। এ বিষয়ে বাসমালিকদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা চলছে।
সোমবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে এক ভিডিও বার্তায় র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
খন্দকার আল মঈন বলেন, ‘অবরোধের সময় দেশব্যাপী র্যাবের ৪৬০টি টহল দল রয়েছে। আমরা সম্মিলিত টহল দিচ্ছি এবং আমাদের গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত রয়েছে। পণ্য ও যাত্রী পরিবহনের জন্য আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি। বিভিন্ন দূরপাল্লার পরিবহনগুলোর মালিকদের সঙ্গে আমরা সমন্বয় করছি। দূরপাল্লার বাসগুলোকে একটি নির্দিষ্ট সময়ে স্কট দিয়ে আমরা গন্তব্যে পৌঁছে দেব।’
ঢাকা ও আশপাশের পোশাক কারখানার শ্রমিকদের আন্দোলন ও সহিংসতার বিয়ষে তিনি বলেন, ‘গত শনিবারে র্যাবের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ আমরা বেশ কয়েকজন ঢাকা, গাজীপুর, সাভার, কালিয়াকৈরসহ বিভিন্ন এলাকায় যেখানে বিপুল পরিমাণে গার্মেন্টস রয়েছে সেখানে পরিদর্শন করেছি। গার্মেন্টস সেক্টরকে নষ্ট করার জন্য যারা সহিংসতা ও নাশকতা করেছে তাদের বিরুদ্ধে আমরা কঠোর বার্তা দিয়েছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘যারা গার্মেন্টস শ্রমিক কিংবা কর্মী না বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট, গার্মেন্টসে অরাজকতা করে বা উসকে দিয়ে নিজেদের স্বার্থ হাসিল করতে চায়-এমন কয়েকজনকে আমরা আটক করেছি। আমাদের এই কঠোর বার্তার কারণে এবং যারা পেছন থেকে উসকে দিচ্ছিল তাদের আটকের ফলে গার্মেন্টস সেক্টরে কিছুটা শান্তি বিরাজ করছে। গার্মেন্টস শ্রমিক ও কর্মীরা নিরাপদে কাজ করছেন।’