ঢাকা , শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন : ভাষানটেক হবে পরিকল্পিত শহর

  • ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ০৭:৫৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ নভেম্বর ২০২৩
  • 220

অনলাইন ডেস্ক  :  ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ১৫নং ওয়ার্ডের অন্তর্গত ভাষানটেক এলাকায় পরিকল্পিত উন্নয়ন করা হবে বলেন, মেয়র আতিকুল ইসলাম।  এই এলাকাটি রাজধানীর অভিজাত এলাকা হিসেবে পরিচিত গুলশানের চেয়েও সুন্দর করে সাজানো হবে বলে জানান মেয়র। বিবার (১২ নভেম্বর) রাজধানীর ভাষানটেক এলাকায় একটি অনুষ্ঠানে মেয়র এসব কথা বলেন। হোল্ডিং নং ২৮৮/৫ থেকে ৯৮/২ হয়ে উত্তর ভাষানটেক পর্যন্ত ড্রেনেজ লাইন নির্মাণসহ প্রায় এক কিলোমিটার সড়ক উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন অনুষ্ঠান ও এলাকাবাসীর সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন মেয়র আতিকুল ইসলাম।

ডিএনসিসি মেয়র বলেন, ‘ভাষানটেক এলাকাটি কয়েকটি টেক নিয়ে গঠিত। এখানে রয়েছে আলব্দীরটেক, বাইগারটেক, মানিকদী। এসব এলাকা ঢাকা শহরের অন্য এলাকার তুলনায় অনেক নিচু। বৃষ্টির সময় উঁচু এলাকার পানি নেমে এই এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। তাই মাস্টারপ্ল্যানের মাধ্যমে প্রতিটি রাস্তায় ড্রেন নির্মাণ করে ভাষানটেক এলাকায় পরিকল্পিত উন্নয়ন করা হবে।’

মেয়র বলেন, ‘ভাষানটেক এলাকাকে সাজাতে সার্বক্ষণিক আমার সাথে চেষ্টা করে যাচ্ছেন এই এলাকার সংসদ সদস্যসহ কাউন্সিলররা। তবে এলাকাবাসীকে অনুরোধ করছি, আপনারা রাস্তা নির্মাণের জন্য অন্তত ২০ ফিট প্রশস্ত জায়গা ছেড়ে দেবেন। ২০ ফিটের নিচে রাস্তা নির্মাণ করলে অগ্নিকাণ্ড হলে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি যেতে পারে না, অ্যাম্বুলেন্স যেতে পারে না। এমনকি লাশের গাড়ি পর্যন্ত প্রবেশ করতে পারে না৷ অতএব কোনো রাস্তা ২০ ফিট প্রশস্ত না হলে সেটি সিটি করপোরেশন নির্মাণ করবে না। সেই রাস্তা করে কোনো লাভ নেই।’

নগরবাসীর উদ্দেশে মেয়র বলেন, ‘দেখেন ২০ বছর আগে এই এলাকায় জনসংখ্যা কত ছিল আর ২০ বছর পরে বর্তমানে জনসংখ্যা বেড়ে কত হয়েছে। বিপুল এই জনসংখ্যার জন্য কার্যকরী টেকসই রাস্তা নির্মাণ করতে হবে। প্রতিটি রাস্তায় ড্রেন নির্মাণ করা হবে। ২০ ফিট প্রশস্ত রাস্তা নির্মাণের জন্য কেউ জায়গা না ছাড়লে সংসদ সদস্য ও কাউন্সিলররা তাদের সাথে আলোচনা করুন। তাদের বোঝাবেন এই প্রশস্ত রাস্তা মেয়রের জন্য না, সংসদ সদস্য বা কাউন্সিলরের জন্য না। প্রশস্ত রাস্তা হবে জনগণের জন্য।’ আতিকুল ইসলাম আরও বলেন, উত্তরা থেকে জসিমউদদীন রোড হয়ে এয়ারপোর্টের পেছন দিয়ে ইসিবি চত্বর পর্যন্ত একটি প্রশস্ত রাস্তা নির্মাণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে৷ এটি নির্মাণ হলে খুব অল্প সময়ে এই এলাকার মানুষ যাতায়াত করতে পারবে। মাস্টারপ্ল্যানে সবকিছু আছে। ভাষানটেক এলাকা গুলশানের থেকেও সুন্দরভাবে সাজানো হবে। এখানে কয়েকটি খাল রয়েছে। এগুলো উন্নয়ন করা হবে, খালের পাড়ে সাইকেল লেন হবে, সবুজায়ন হবে।

বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় ঢাকা-১৭ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেন, ভাষানটেক এলাকাকে সাজাতে কাউন্সিলরকে নিয়ে মেয়র মহোদয়ের সাথে একাধিকবার মিটিং করেছি। পরিকল্পিতভাবে এই এলাকায় টেকসই উন্নয়ন করা হবে। প্রধানমন্ত্রী আমাকে নির্দেশ দিয়েছেন ভাষানটেকের বস্তিবাসীদের পুনর্বাসন করার জন্য। আমি ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছি। বস্তিবাসীদের জন্য বাসযোগ্য সুন্দর ভবন নির্মাণ করার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করব৷ আমি চাই না বস্তির পরিবর্তে আবার বস্তি হোক। পানি, বিদ্যুৎ ও গ্যাসসহ আধুনিক সুবিধা সম্বলিত থাকার জায়গা নির্মাণ করবে।

বক্তৃতা শেষে ডিএনসিসি মেয়র নাম ফলক উন্মোচন করে সড়কের নির্মাণ কাজের শুভ উদ্বোধন করনে এবং অন্যান্য চলমান কাজ পরিদর্শন করেন।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন : ভাষানটেক হবে পরিকল্পিত শহর

আপডেট সময় ০৭:৫৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ নভেম্বর ২০২৩

অনলাইন ডেস্ক  :  ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ১৫নং ওয়ার্ডের অন্তর্গত ভাষানটেক এলাকায় পরিকল্পিত উন্নয়ন করা হবে বলেন, মেয়র আতিকুল ইসলাম।  এই এলাকাটি রাজধানীর অভিজাত এলাকা হিসেবে পরিচিত গুলশানের চেয়েও সুন্দর করে সাজানো হবে বলে জানান মেয়র। বিবার (১২ নভেম্বর) রাজধানীর ভাষানটেক এলাকায় একটি অনুষ্ঠানে মেয়র এসব কথা বলেন। হোল্ডিং নং ২৮৮/৫ থেকে ৯৮/২ হয়ে উত্তর ভাষানটেক পর্যন্ত ড্রেনেজ লাইন নির্মাণসহ প্রায় এক কিলোমিটার সড়ক উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন অনুষ্ঠান ও এলাকাবাসীর সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন মেয়র আতিকুল ইসলাম।

ডিএনসিসি মেয়র বলেন, ‘ভাষানটেক এলাকাটি কয়েকটি টেক নিয়ে গঠিত। এখানে রয়েছে আলব্দীরটেক, বাইগারটেক, মানিকদী। এসব এলাকা ঢাকা শহরের অন্য এলাকার তুলনায় অনেক নিচু। বৃষ্টির সময় উঁচু এলাকার পানি নেমে এই এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। তাই মাস্টারপ্ল্যানের মাধ্যমে প্রতিটি রাস্তায় ড্রেন নির্মাণ করে ভাষানটেক এলাকায় পরিকল্পিত উন্নয়ন করা হবে।’

মেয়র বলেন, ‘ভাষানটেক এলাকাকে সাজাতে সার্বক্ষণিক আমার সাথে চেষ্টা করে যাচ্ছেন এই এলাকার সংসদ সদস্যসহ কাউন্সিলররা। তবে এলাকাবাসীকে অনুরোধ করছি, আপনারা রাস্তা নির্মাণের জন্য অন্তত ২০ ফিট প্রশস্ত জায়গা ছেড়ে দেবেন। ২০ ফিটের নিচে রাস্তা নির্মাণ করলে অগ্নিকাণ্ড হলে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি যেতে পারে না, অ্যাম্বুলেন্স যেতে পারে না। এমনকি লাশের গাড়ি পর্যন্ত প্রবেশ করতে পারে না৷ অতএব কোনো রাস্তা ২০ ফিট প্রশস্ত না হলে সেটি সিটি করপোরেশন নির্মাণ করবে না। সেই রাস্তা করে কোনো লাভ নেই।’

নগরবাসীর উদ্দেশে মেয়র বলেন, ‘দেখেন ২০ বছর আগে এই এলাকায় জনসংখ্যা কত ছিল আর ২০ বছর পরে বর্তমানে জনসংখ্যা বেড়ে কত হয়েছে। বিপুল এই জনসংখ্যার জন্য কার্যকরী টেকসই রাস্তা নির্মাণ করতে হবে। প্রতিটি রাস্তায় ড্রেন নির্মাণ করা হবে। ২০ ফিট প্রশস্ত রাস্তা নির্মাণের জন্য কেউ জায়গা না ছাড়লে সংসদ সদস্য ও কাউন্সিলররা তাদের সাথে আলোচনা করুন। তাদের বোঝাবেন এই প্রশস্ত রাস্তা মেয়রের জন্য না, সংসদ সদস্য বা কাউন্সিলরের জন্য না। প্রশস্ত রাস্তা হবে জনগণের জন্য।’ আতিকুল ইসলাম আরও বলেন, উত্তরা থেকে জসিমউদদীন রোড হয়ে এয়ারপোর্টের পেছন দিয়ে ইসিবি চত্বর পর্যন্ত একটি প্রশস্ত রাস্তা নির্মাণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে৷ এটি নির্মাণ হলে খুব অল্প সময়ে এই এলাকার মানুষ যাতায়াত করতে পারবে। মাস্টারপ্ল্যানে সবকিছু আছে। ভাষানটেক এলাকা গুলশানের থেকেও সুন্দরভাবে সাজানো হবে। এখানে কয়েকটি খাল রয়েছে। এগুলো উন্নয়ন করা হবে, খালের পাড়ে সাইকেল লেন হবে, সবুজায়ন হবে।

বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় ঢাকা-১৭ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেন, ভাষানটেক এলাকাকে সাজাতে কাউন্সিলরকে নিয়ে মেয়র মহোদয়ের সাথে একাধিকবার মিটিং করেছি। পরিকল্পিতভাবে এই এলাকায় টেকসই উন্নয়ন করা হবে। প্রধানমন্ত্রী আমাকে নির্দেশ দিয়েছেন ভাষানটেকের বস্তিবাসীদের পুনর্বাসন করার জন্য। আমি ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছি। বস্তিবাসীদের জন্য বাসযোগ্য সুন্দর ভবন নির্মাণ করার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করব৷ আমি চাই না বস্তির পরিবর্তে আবার বস্তি হোক। পানি, বিদ্যুৎ ও গ্যাসসহ আধুনিক সুবিধা সম্বলিত থাকার জায়গা নির্মাণ করবে।

বক্তৃতা শেষে ডিএনসিসি মেয়র নাম ফলক উন্মোচন করে সড়কের নির্মাণ কাজের শুভ উদ্বোধন করনে এবং অন্যান্য চলমান কাজ পরিদর্শন করেন।