অনলাইন ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপি শাখার সভাপতি কলিম উদ্দিন মিলনের নেতৃত্বে বিএনপির একটি সমাবেশ থেকে মিডিয়াতে প্রচারিত দুটি বাস ভাংচুরের ভিডিও তুলে ধরে চলমান অবরোধে জনগণের অংশগ্রহণ না থাকার কথা আবারও উল্লেখ করেছেন।
গত রোববার (১২ নভেম্বর) সজীব ওয়াজেদ জয়ের ভেরিফায়েড এক্স হ্যান্ডেল (আগের টুইটার) থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
সমকালের ধারণকৃত ও প্রচারিত ভিডিও অনুযায়ী গত (৮ নভেম্বর) বিএনপি নেতা কলিমের নেতৃত্বে কয়েকজন মদনপুর অবরোধ করে। এ সময় তারা রড ও লাঠিসোঁটা নিয়ে সিলেট মহাসড়কের মোড় অবরোধ করে এবং ভাঙচুর চালায়। ভাঙচুরের সময় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল ইসলাম ও সুনামগঞ্জ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলামকেও লাঠি হাতে দেখা গেছে। সজীব ওয়াজেদ তার ভেরিফায়েড এক্স হ্যান্ডেল (পূর্বে টুইটার) থেকে এই ধরনের মিডিয়া প্রতিবেদন সংকলন করে একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন।
ভিডিওতে দেখা যায়, বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত সুনামগঞ্জে তাদের আকস্মিক উপস্থিতিতে আতঙ্কিত হয়ে মোড়ের দোকানদাররা তাদের দোকানগুলো বন্ধ করে দেয়। এরপর তারা লাঠিসোঁটা ও রড নিয়ে একটি বাস ভাঙচুর করে। পালাক্রমে হামলায় আরেকটি সিএনজি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ভাঙচুরের সময় ও পরে ‘অবরোধ চলবে’, ‘জ্বালো, জ্বালো’, ‘জিয়ার সৈনিক’ স্লোগান দেওয়া হয়। পরে বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য মিলন হামলাকারীদের স্বাগত জানান এবং একটি সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন। বক্তব্যে তিনি কঠোর পরিণতির হুঁশিয়ারি দেন।
ভিডিওতে প্রায় ২০ জন লোকের উপস্থিতির দিকে ইঙ্গিত করে সজীব ওয়াজেদ জয় লিখেছেন, ‘বক্তৃতা চলাকালীন তিনি দাবি করেন যে অবরোধে দেশবাসীর সমর্থন রয়েছে। কিন্তু মিডিয়ায় সম্প্রচারিত ভিডিওটিতে দেখা যায় যে, এতে কোনো গণঅংশগ্রহণ ছিলনা। শুধুমাত্র তার ২০ জন অনুগত ক্যাডারের একটি দল ছিল। আরও সহিংসতা চালাতে বললে ওই দলটি আরেকটি বাস ভাঙচুর করে এবং পরে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায়।’
ওই দিন সন্ধ্যার পর জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল চট্টগ্রাম মহানগর শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী সালাউদ্দিন কাদের আসাদের নেতৃত্বে অগ্নিসংযোগকারীদের একটি দল অবরোধ কার্যকরের আহ্বান জানিয়ে আরেকটি ঝটিকা সমাবেশ করে। ভিডিও অনুসারে যানবাহনে অগ্নিসংযোগের ঘটনার রিপোর্টের মধ্যে তাদের আগুনের লাঠি বহন করতে দেখা যায়। যা পথচারীদের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি করে।