অনলাইন ডেস্ক : সশস্ত্র বাহিনীকে যুগোপযোগী, দক্ষ ও যৌথ আভিযানিক সক্ষমতা অর্জনের লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে সরকার। সে লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনায় সশস্ত্র বাহিনীর যৌথ প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত সঠিক নির্দেশনার জন্য ‘জয়েন্ট ট্রেনিং ডকট্রিন-বাংলাদেশ আর্মড ফোর্সেস ২০২৩’ প্রস্তুত করেছে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রশিক্ষণ পরিদপ্তর। একই সাথে সশস্ত্র বাহিনীর আভিযানিক সক্ষমতা অর্জনে যৌথ প্রশিক্ষণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সশস্ত্র বাহিনী দিবসে মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) আনুষ্ঠানিকভাবে ডকট্রিনটি অনুমোদন ও মোড়ক উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সশস্ত্র বাহিনী বিভাগে অনুষ্ঠিত এ আনুষ্ঠানিকতার সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা, সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনী প্রধানগণ এবং প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার।
যৌথ প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত তথ্য, প্রশিক্ষণের ধারণা, সমন্বয়, কর্মপদ্ধতি এবং প্রশিক্ষণ সুবিধাদির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিতকল্পে আধুনিক কর্মপোযোগী এই মৌলিক ডকট্রিন প্রণীত হয়েছে। এ ডকট্রিনটি প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে সীমিত সম্পদের যথাযথ ব্যবহার এবং জাতীয় মূল্যবান সম্পদের কার্যকর ব্যবহারের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ, পেশাদারিত্ব এবং দক্ষতা অর্জনে সশস্ত্র বাহিনীকে সহায়তা করবে।
উল্লেখ্য, বর্তমান সরকার ২০১৮ সালে ‘জাতীয় প্রতিরক্ষা নীতি-২০১৮’ প্রণয়ন করে। যা একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। এরই ধারাবাহিকতায় যৌথ প্রশিক্ষণকে যুগোপযোগী ও কার্যকর করার জন্য এ ডকট্রিনটি প্রণীত হয়। একটি উন্নত সশস্ত্র বাহিনী গড়ার লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দিক নির্দেশনা এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ওপর ভিত্তি করে ওই ডকট্রিনটি প্রস্তুত করা হয়।