অনলাইন ডেস্ক : প্রতি বছরের মতো এবারো সুন্দরবনের দুবলার চরের আলোরকোলে তিন দিনব্যাপী রাস উৎসব শুরু হয়েছে। শনিবার (২৫ নভেম্বর) সকাল থেকেই পুণ্যার্থীরা সুন্দরবনের দুবলার চরের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেছেন। এদিকে রাস উৎসব ঘিরে সুন্দরবনে হরিণ শিকারসহ চলে নানা আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নের মত অপরাধ। তাই সুন্দরবনের সম্পদ রক্ষায় নেওয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। জোরদার করা হয়েছে বন প্রহরীদের টহল। এবছর শুধুমাত্র হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকদের রাস পূজায় প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, প্রতিবছর কার্তিক অগ্রহায়ণরে শুক্লাপক্ষে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ পার্থিব জীবনের কামনা বাসনা পূরণের লক্ষ্যে সুন্দরবনের শেষ প্রান্তে-বঙ্গোপসাগরের তীরে দুবলার চরের আলোরকোলে এক নিবিড় পরিবেশে হাজির হয়। সেখানে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সমুদ্র স্নান করে পবিত্র হয়ে ভগবানের কাছে আরতি জানান সনাতন ধর্মের লোকজন। অসংখ্য হিন্দু নর-নারী সাগরের মেলার মত তীর্থস্থান মনে করে এ রাস পূজায় উপস্থিত হন। এ বছর রাস পূজায় যেতে পাঁচটি নৌ-রুট নির্ধারণ হয়েছে। রুটের বাইরে কোনোরকম প্রবেশ করতে পারবে না পুণ্যার্থীরা। রাস পূজাকে ঘিরে শুক্রবার সুন্দরবনের খুলনা রেঞ্জের উদ্যোগে জরুরি সভা হয়।
সভা শেষে খুলনা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) এজেডএম হাছানুর রহমান বলেন, রাস পূজা উপলক্ষে বিভিন্ন দিক নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। স্টেশন কর্মকর্তা ও টহল ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের রাস পূজা শুরুর আগে থেকে টহল জোরদারের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কোনো হয়রানি ছাড়াই সুন্দরবনে প্রবেশ করতে পারবে পুণ্যার্থীরা।
সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের কর্মকর্তা ড. আবু নাসের মোহসীন হোসেন বলেন, এ বার রাস পূজায় নির্বিঘ্নে যাতে তীর্থ যাত্রীরা যেতে পারেন এজন্য বন বিভাগের পক্ষ থেকে সার্বিক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। রাস পূজাকে কেন্দ্র করে সুন্দরবনে অভিযান পরিচালনার জন্য কয়েকটি টিম গঠন করা হয়েছে। এছাড়া তিনি সার্বক্ষণিক তদারকিতে থাকবেন।