সিনিয়র রিপোর্টার : আগামী ৭ জানুয়ারি হবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। নির্বাচন সামনে রেখে সম্ভাব্য প্রার্থীদের আচরণবিধি মানাতে প্রথম ধাপে মাঠে নেমেছেন অন্তত ৮০২ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। ভ্রাম্যমান আদালত আইনের আওতায় তারা মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) থেকে দেশের ৩০০ নির্বাচনি এলাকায় আগামী ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত মাঠে থাকবেন।
দ্বিতীয় ধাপে মোবাইল, স্ট্রাইকিং ফোর্সের সঙ্গে আরও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট যোগ হবেন। এরপর ভোটের আগ দিয়ে তাদের সঙ্গে আরও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট যুক্ত হয়ে সার্বিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব পালন করবেন।
প্রথম ধাপের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের চাহিদা সুনির্দিষ্ট করে গত বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) নির্বাচন কমিশনের উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত একটি চিঠি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে মোবাইল কোর্ট আইন, ২০০৯ এর আওতায় আচরণবিধি প্রতিপালনে প্রত্যেক নির্বাচনী এলাকায় প্রয়োজনীয় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দেশে উপজেলা পর্যায়ে ৫২৫ জন, জেলা সদরের পৌরসভায় ২১০ জন ও সিটি করপোরেশন এলাকায় ৬৭ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দরকার। এর বাইরে দরকার হলে বিভাগীয় কমিশনারের পরামর্শ নিয়ে প্রতি জেলায় দুয়েকজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত রাখতে পারেন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট। সেই সঙ্গে ভোটের দু’দিন আগে থেকে ভোটের দিন ও ভোটের পরের দিন পর্যন্ত (৫ থেকে ৯ জানুয়ারি) ৫ দিনের জন্য থাকবে আরও নির্বাহী ও বিচারিক হাকিম। এরমধ্যে নির্বাহী হাকিমরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত স্ট্রাইকিং ও মোবাইল ফোর্সের সঙ্গে থাকবেন।
ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ জানান, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বাইরে বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা করতে নির্বাচনের আগে বরাবরের মতো দ্বাদশ নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েনের ইঙ্গিত রয়েছে। সব মিলিয়ে এবার নির্বাচনে সাড়ে ৭ লাখ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য নিয়োজিত রাখার কথা।
ইসির নির্বাচন পরিচালনা শাখার উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান জানান, প্রতিটি উপজেলায় এক জন, তবে ১৫টি ইউনিয়নের অধিক (পৌরসভাসহ) ইউনিয়ন বিশিষ্ট উপজেলায় দু’জন, জেলা সদরের এ ক্যাটাগরির পৌরসভায় একজন, তবে ৯ ওয়ার্ডের অধিক হলে দু’জন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ১১ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ১৫ জন, চট্টগ্রাম সিটিতে ১০ জন, খুলনা সিটিতে ছয় জন, গাজীপুর সিটিতে চার জন, অন্যান্য সিটি করপোরেশনে তিন জন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করতে হবে।
উল্লেখ্য, গত ১৫ নভেম্বর সন্ধ্যায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। তফসিল অনুযায়ী, ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ৩০ নভেম্বর, যাচাই-বাছাই ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর, আপিল ও নিষ্পত্তি ৬ থেকে ১৫ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৭ ডিসেম্বর, প্রতীক বরাদ্দ ১৮ ডিসেম্বর এবং নির্বাচনী প্রচারণা ১৮ ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারির ৫ তারিখ পর্যন্ত চলবে।