সিনিয়র রিপোর্টার : নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর বলেছেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে বিএনপিকে একাধিকবার বলা হয়েছে। তারা যদি মনে করে নির্বাচনে আসবে তাহলে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে নির্বাচন কমিশনকে জানাতে হবে। তাহলে সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তন হতে পারে। নির্বাচন পর্যবেক্ষণের ক্ষেত্রে মিডিয়াবান্ধব নীতিমালা করা হয়েছে।
গত মঙ্গলবার শরীয়তপুর জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে রিটার্নিং কর্মকর্তা, সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
ইসি মো. আলমগীর বলেন, নির্বাচনে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন অফিসার, পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত বাহিনীর কোনো সমস্যা আছে কি না তা জানতে এসেছি। গোপালগঞ্জ থেকে এই কার্যক্রম শুরু করেছি। নির্বাচন সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ হবে-সেই বার্তা সবার কাছে পৌঁছে দিয়েছি।
নির্বাচনের তারিখ পেছানো প্রসঙ্গে ইসি আলমগীর বলেন, আমরা নির্বাচনের তারিখ পেছাব না। যেটা ঘোষণা করা হয়েছে, সেটাই ঠিক থাকবে। তবে বিএনপি নির্বাচনে আসার ইচ্ছা প্রকাশ করলে আমরা বিবেচনা করব। সেক্ষেত্রে নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তনের পাশাপাশি মনোনয়নপত্র দাখিলের তারিখও পরিবর্তন হতে পারে। তবে সেটা সংবিধানের মধ্যে থেকেই করতে হবে।
সুষ্ঠ ও সুন্দর পরিবেশে নির্বাচন আয়োজন করার কথা জানিয়ে ইসি বলেন, ভোটের দিন জনগণ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবে; যাকে খুশি তাকে ভোট দেবে। যারা প্রার্থী হিসাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন তাদের প্রতি আহ্বান থাকবে সমর্থক ও ভোটাররা যাতে কেন্দ্রে এসে ভোট দেয়। সে ব্যাপারে তারা ভোটারদের উৎসাহিত করবেন। তাছাড়া ভোটের দিন কেউ যাতে কোনোভাবেই ভোটারকে তার অমতের বিরুদ্ধে ভোট দিতে বাধ্য না করে সে ব্যাপারে কমিশন থেকে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা, পুলিশ সুপারসহ বিভিন্ন কর্মকর্তাদের সতর্ক করা হয়েছে।।
নির্বাচন নিয়ে কমিশনের ওপর দেশি-বিদেশি কোনো চাপ নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিদেশিরা শুধু নির্বাচনের প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। আমরা তা জানিয়ে দিয়েছি। ভোটের দিন দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষকরা সংবিধান অনুযায়ী তাদের দায়িত্ব পালন করবেন। তারাও আশা করেন, বাংলাদেশে একটি সুষ্ঠ নির্বাচন হউক। এ সময় উপস্থিত ছিলেন শরীয়তপুর জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ নিজাম উদ্দিন আহাম্মেদ, পুলিশ সুপার মো. মাহবুবুল আলম, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আব্দুল মান্নানসহ জেলার বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তারা।