সিনিয়র রিপোর্টার : দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল স্থগিত চেয়ে করা রিট আবেদনটি খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। সোমবার (১১ ডিসেম্বর) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ রিট আবেদনটি খারিজের এ আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট ইউনূস আলী আকন্দ। রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন এবং নির্বাচন কমিশনের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার খান মোহাম্মদ শামীম আজিজ।
এর আগে গত (৪ ডিসেম্বর) সোমবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল স্থগিত চেয়ে রিটের শুনানি শেষ হয়। একইসঙ্গে পরবর্তী আদেশের জন্য রবিবার (১০ ডিসেম্বর) দিন ধার্য করা হয়। পরে ইউনুছ আলী আকন্দ সংক্ষিপ্ত সময়ের আবেদন করলে সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় আদেশের জন্য দিন ধার্য করেন আদালত।
গত (১৫ নভেম্বর) বুধবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ৭ জানুয়ারি ভোট গ্রহণের দিন রেখে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন। এ নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের নির্বাচন কমিশনে মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষ তারিখ ছিল গত ৩০ নভেম্বর। এই তফসিলের বৈধতা নিয়ে ইউনুছ আলী আকন্দ ২৯ নভেম্বর রিট করেন। রিটের ওপর ৩ ও ৪ ডিসেম্বর শুনানি হয়। এতে আইন মন্ত্রণালয়ের দুই সচিব, মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে রিটে বিবাদী করা হয়।
রিট আবেদনে বলা হয়, বর্তমানে একটি সংসদ বহাল থাকা অবস্থায় আরেকটি সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য যে তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে তা সংবিধানের ৬৬ অনুচ্ছেদ এবং গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) ১২ ধারার পরিপন্থী। সংবিধানের ১২৩ (৩) অনুচ্ছেদে উল্লেখ রয়েছে মেয়াদ অবসান ব্যতীত অন্য কোনো কারণে সংসদ ভেঙে যাওয়ার ক্ষেত্রে পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে সংসদ সদস্যের সাধারণ নির্বাচন হবে। সেহেতু সংসদ বহাল রেখে নির্বাচন অসাংবিধানিক। সংসদ সদস্যরা সরকারের রাজস্ব খাত থেকে বেতন ভাতা পাচ্ছেন। তাই পদটি লাভজনক পদ। দুর্নীতি দমন আইন এবং দণ্ডবিধি অনুযায়ী সংসদ সদস্য পদটি লাভজনক। তাই সংসদ ভেঙে না দিয়ে তফসিল ঘোষণা অসাংবিধানিক।