সিনিয়র রিপোর্টার : প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্যপ্রযুক্তি-বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, বিশ্বের মনোযোগ আকর্ষণের জন্যই বিএনপি গাজীপুরের শ্রীপুরে ঢাকা-ময়মনসিংহ রেলপথে নাশকতার পরিকল্পনা সাজিয়েছিল। গণমাধ্যমের প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে রোববার (১৭ ডিসেম্বর) রাতে এক্স (সাবেক টুইটার) দেয়া এক পোস্টে তিনি এ মন্তব্য করেন।
এক্স পোস্টে গাজীপুরে ট্রেন দুর্ঘটনা নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিবেদন দিয়ে তৈরি করা একটি ভিডিও পোস্ট করে সজীব ওয়াজেদ জয় লেখেন, গণহত্যার উদ্দেশে রেল লাইন কেটে ট্রেন লাইনচ্যুত করতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে সোমবার (১১ ডিসেম্বর) দলবদ্ধ হয়েছিল বিএনপির একদল নেতাকর্মী। এদিন নাশকতার আগে সব অপরাধীরা গাজীপুরের বিভিন্ন স্থানে একাধিক মিটিং করে। যার মধ্যে একটি মিটিং হয় গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ২৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আজমল ভূঁইয়ার বাড়িতে।
গত ২৮ অক্টোবর থেকে গণতান্ত্রিক প্রতিবাদের নামে বিএনপি-জামায়াত জোট দেশের জনগণের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের ঢেউ শুরু করেছে। শত শত বাসে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর করা হয়েছে। বেশ কয়েকটি ট্রেন লাইনচ্যুত করা হয়েছে। আসন্ন নির্বাচন বানচাল করার উদ্দেশেই এমন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালানো হচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি।
শুক্র ও শনিবার (১৫ ও ১৬ ডিসেম্বর) গাজীপুরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে গাজীপুরে রেলে নাশকতার ঘটনায় মূল পরিকল্পনাকারী সিটি করপোরেশনের এক কাউন্সিলরসহ সাতজনকে গ্রেফতার করেছে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ। রোববার (১৭ ডিসেম্বর) দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মাহবুব ইসলাম।
রেলে নাশকতার ঘটনায় মূল পরিকল্পনাকারীরা হলেন- সিটি করপোরেশনের ২৮নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাসান আজমল ভূঁইয়া, গাজীপুর মহানগর ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের রফিকের বাড়ির ভাড়াটিয়া জান্নাতুল ইসলাম (২৩), ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা থানার বান্দীয়া গ্রামের তাইজুদ্দীনের ছেলে মেহেদী হাসান (২৫), মহানগরীর ২৪নম্বর ওয়ার্ডের তরিকুল ইসলামের ছেলে জুলকার নাইন আশরাফি ও হৃদয়, সদর থানার কানাইয়া এলাকার মৃত সোলায়মান মোড়লের ছেলে শাহানুর আলম (৫৩), একই এলাকার মৃত ওমেদ আলী মোল্লার ছেলে মো. সাইদুল ইসলাম (৩২) এবং মধ্য ছায়াবীথি এলাকার আফতাফ উদ্দিনের ছেলে সোহেল রানা (৩৮)।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মাহবুব ইসলাম বলেন, একটি নাশকতার মামলা তদন্ত করতে গিয়ে পুলিশ জানতে পারে একদল দুষ্কৃতকারী বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) ভোর ৩টা থেকে ৪টার দিকে শ্রীপুর উপজেলার প্রহল্লাদপুর ইউনিয়নের বনখরিয়া চিলাই রেল ব্রিজের পাশে রেল লাইন কেটে ফেলে। ফলে মোহনগঞ্জ-ঢাকাগামী ‘মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস’ দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। এতে ট্রেনটির ইঞ্জিনসহ সাতটি বগি লাইনচ্যুত হয়। এতে করে ঘটনাস্থলে একজন নিহত হয়। গুরুতর আহত হন আরও ১০ জন।