সিনিয়র রিপোর্টার : র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেছেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের উৎসবমুখর পরিবেশ নষ্ট ও সহিংসতার চেষ্টা করলে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। নাশকতা ও সহিংসতার ঘটনায় মামলা হচ্ছে, আসামিদের দ্রুত আইনের আওতায় নিয়ে আসছি।
মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর কাওরান বাজারের র্যাব মিডিয়া সেন্টারে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
কমান্ডার মঈন বলেন, যারা নির্বাচনে সহিংসতা করার চেষ্টা করছে বা নির্বাচনের উৎসবমুখর পরিবেশ নষ্ট করার চেষ্টা করছে তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। এরই মধ্যে প্রায় ১০ জনের বেশি ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নির্বাচন কমিশনের দিক-নির্দেশনা বাস্তবায়নে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে আমরা কাজ করে যাবো। যেখানে গোয়েন্দা তথ্য থাকছে সেখানেই কাজ করে যাচ্ছে র্যাব।
প্রসঙ্গত- ১৫ নভেম্বর দ্বাদশ সংসদের তফসিল ঘোষণা করা হয়। এরপর থেকে ভোটের আনুষ্ঠানিক কাজ শুরু হয়েছে। বর্তমানে নির্বাচনি প্রচারণা চালাচ্ছেন প্রার্থীরা। আগামী ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত প্রচারণা চালাতে পারবেন তারা। আর সংসদে যাওয়ার ভাগ্য নির্ধারণ হবে ৭ জানুয়ারি।
এদিকে বিএনপি ও সমমনা দলগুলো ভোট বর্জন করেছে। তারা ভোটারদের প্রতি ভোট বর্জনের আহ্বানে লিফলেট বিতরণ করছে। তাদের বর্জনের ভোটে মাঠে রয়েছে ২৭টি দল। এদের মধ্যে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থীরাই নির্বাচনি হাওয়া বইয়ে দিচ্ছেন। ভোটকেন্দ্রে ভোটার টানতে ক্ষমতাসীন দল নিজ দলের নেতাদের ‘স্বতন্ত্র’ হওয়ার অবাধ স্বাধীনতা দিয়েছে। ফলে অনেক স্থানে নৌকার সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে স্বতন্ত্রদের।
নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের পর এখন পর্যন্ত ২৭টি দলের ১,৫১৩ জন ও স্বতন্ত্র ৩৮২ জন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী রয়েছেন। আদালতের আদেশে আরও কিছু প্রার্থী যুক্ত হতে পারেন। আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী ২৬৩ জন। এর বাইরে আওয়ামী লীগের প্রতীক ব্যবহার করছেন শরিক দলের ৬ প্রার্থী। আর মহাজোট ছেড়ে ‘আসন সমঝোতা’ করে এককভাবে নির্বাচনে অংশ নেওয়া জাতীয় পার্টির প্রার্থী রয়েছে ২৬৫ জন