ঢাকা , সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন বলেছেন : ভোট দিতে না গেলে সুবিধাভোগীদের নাম কেটে দেয়া হবে

  • ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ০৬:১০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৩
  • 123

অনলাইন ডেস্ক :  রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, যারা সরকারের বিভিন্ন সুবিধা নিয়েছেন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট দিতে না গেলে তাদের নাম কেটে দেয়া হবে। সোমবার সন্ধ্যায় পঞ্চগড়-২ আসনের বোদা উপজেলার চন্দনবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদ এলাকায় নিজ নির্বাচনি সভায় এ হুমকি দেন রেলমন্ত্রী। নুরুল ইসলাম সুজন পঞ্চগড়-২ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী। 

নুরুল ইসলাম সুজন আরও বলেন, আগামী ৭ তারিখের নির্বাচনে চন্দনবাড়ি ভোট সেন্টারে দুইটা লিস্ট করবেন। সরকার পাড়ার কোন লোক ভোট দিচ্ছে আর কোন লোক দিচ্ছে না। সরকারের সুবিধা নিবেন, বয়স্ক ভাতা নিবেন, বিধবা ভাতা নিবেন। তারপরে কৃষি কার্ড নিবেন, কৃষক লোন নিবেন, ১৫ টাকা কার্ডের চাউল নিবেন, টিসিবির কার্ড নিবেন। আর সন্ত্রাসী যারা তাদের পক্ষ নিবেন। ভোট দিতে আসবেন না। তাদের লিস্ট করবেন। যে সকল সরকার পাড়ার লোক ভোট দিবে না তাদের নাম আর থাকবে না। তালিকা থেকে কাটা পড়বে। খালি সরকার পাড়া নয় চন্দনবাড়ির সব সেন্টারে আমরা ব্যবস্থা নেব।

তিনি বলেন, সরকারের সকল সুযোগ-সুবিধা ও রাষ্ট্রীয় দ্বায়িত্ব পালন করবেন না, আমি এমন কাউকে ভোট দিতে বলছি না। নৌকায় ভোট দিতে বলছি না। আরও তো তিন জন প্রার্থী আছে, আজিজ ভাই আছে, রিপন আছে, আরেকজন আছে সুপ্রীম পার্টির তাদের ভোট দেন। যাকে খুশি তাকে ভোট দেন। কিন্তু সন্ত্রাসীদের পক্ষ নিয়ে যারা ভোটাধিকার বর্জনের কথা বলেন। নাগরিক দ্বায়িত্ব পালন করলেন না আর নাগরিক সুবিধা নিবেন এটা হবে না। আমরা নৌকাকে ভোট দিতে বলছি না, আপনাদের যাকে খুশি তাকে ভোট দেন। কিন্তু ভোট কেন্দ্র গিয়েই ভোট দেন। যারা ভোট দিবেন না তারা চেয়ারম্যান-মেম্বারের মাধ্যমে যে সুযোগ সুবিধা পান তার নাম কাটা যেতে পারে। 

নির্বাচনি সভায় জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান শেখ, বোদা পৌরসভার মেয়র আজাহার আলী, বোদা উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা রবিউল আলম সাবুল সহ বোদা উপজেলা ও চন্দনবাড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ও সাধারণ ভোটাররা উপস্থিত ছিলেন।

এ বিষয়ে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মো. জহুরুল ইসলাম বলেন, এই বিষয়টি নিয়ম অনুযায়ী নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটি নামে কমিটি আছে তারা দেখছে। আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিষয়ে নির্বাচন কমিশন যে কমিটি করে দিয়েছে তারা বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবেন। 

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন বলেছেন : ভোট দিতে না গেলে সুবিধাভোগীদের নাম কেটে দেয়া হবে

আপডেট সময় ০৬:১০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৩

অনলাইন ডেস্ক :  রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, যারা সরকারের বিভিন্ন সুবিধা নিয়েছেন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট দিতে না গেলে তাদের নাম কেটে দেয়া হবে। সোমবার সন্ধ্যায় পঞ্চগড়-২ আসনের বোদা উপজেলার চন্দনবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদ এলাকায় নিজ নির্বাচনি সভায় এ হুমকি দেন রেলমন্ত্রী। নুরুল ইসলাম সুজন পঞ্চগড়-২ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী। 

নুরুল ইসলাম সুজন আরও বলেন, আগামী ৭ তারিখের নির্বাচনে চন্দনবাড়ি ভোট সেন্টারে দুইটা লিস্ট করবেন। সরকার পাড়ার কোন লোক ভোট দিচ্ছে আর কোন লোক দিচ্ছে না। সরকারের সুবিধা নিবেন, বয়স্ক ভাতা নিবেন, বিধবা ভাতা নিবেন। তারপরে কৃষি কার্ড নিবেন, কৃষক লোন নিবেন, ১৫ টাকা কার্ডের চাউল নিবেন, টিসিবির কার্ড নিবেন। আর সন্ত্রাসী যারা তাদের পক্ষ নিবেন। ভোট দিতে আসবেন না। তাদের লিস্ট করবেন। যে সকল সরকার পাড়ার লোক ভোট দিবে না তাদের নাম আর থাকবে না। তালিকা থেকে কাটা পড়বে। খালি সরকার পাড়া নয় চন্দনবাড়ির সব সেন্টারে আমরা ব্যবস্থা নেব।

তিনি বলেন, সরকারের সকল সুযোগ-সুবিধা ও রাষ্ট্রীয় দ্বায়িত্ব পালন করবেন না, আমি এমন কাউকে ভোট দিতে বলছি না। নৌকায় ভোট দিতে বলছি না। আরও তো তিন জন প্রার্থী আছে, আজিজ ভাই আছে, রিপন আছে, আরেকজন আছে সুপ্রীম পার্টির তাদের ভোট দেন। যাকে খুশি তাকে ভোট দেন। কিন্তু সন্ত্রাসীদের পক্ষ নিয়ে যারা ভোটাধিকার বর্জনের কথা বলেন। নাগরিক দ্বায়িত্ব পালন করলেন না আর নাগরিক সুবিধা নিবেন এটা হবে না। আমরা নৌকাকে ভোট দিতে বলছি না, আপনাদের যাকে খুশি তাকে ভোট দেন। কিন্তু ভোট কেন্দ্র গিয়েই ভোট দেন। যারা ভোট দিবেন না তারা চেয়ারম্যান-মেম্বারের মাধ্যমে যে সুযোগ সুবিধা পান তার নাম কাটা যেতে পারে। 

নির্বাচনি সভায় জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান শেখ, বোদা পৌরসভার মেয়র আজাহার আলী, বোদা উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা রবিউল আলম সাবুল সহ বোদা উপজেলা ও চন্দনবাড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ও সাধারণ ভোটাররা উপস্থিত ছিলেন।

এ বিষয়ে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মো. জহুরুল ইসলাম বলেন, এই বিষয়টি নিয়ম অনুযায়ী নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটি নামে কমিটি আছে তারা দেখছে। আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিষয়ে নির্বাচন কমিশন যে কমিটি করে দিয়েছে তারা বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবেন।