সিনিয়র রিপোর্টার : নবগঠিত মন্ত্রিসভায় আগের মন্ত্রণালয়ে বহাল রাখা ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক বলেছেন, ‘বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে মিতব্যয়ী ও সততার সঙ্গে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। জনগণ ও দেশের প্রয়োজনে যা কাজে লাগবে তাই করবো।’
রবিবার (১৪ জানুয়ারি) ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন। বর্তমান সরকারের নতুন মন্ত্রিসভায় আগের মন্ত্রণালয়ে দায়িত্ব পাওয়ার পর তিনি এদিন প্রথম দপ্তরে আসেন।
জুনাইদ আহমেদ পলক সভায় প্রোডাকটিবেলিটি, প্রোডাক্ট ডাইভারসিটি প্রমোশন এবং প্রসেস টু কানেক্ট কাস্টমার এই চার শব্দের পি আদ্যক্ষরের ওপর কাজ করতে প্রস্তাব জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ ভিশন ৪টি স্তম্ভের উপর প্রতিষ্ঠিত- স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট ইকোনমি, স্মার্ট সরকার এবং স্মার্ট সোসাইটি। গত মেয়াদে আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নের পরিকল্পনা তৈরি করেছি। প্রকল্পে যে খরচ করা হবে তার জবাবদিহি থাকবে এমন প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিনি বলেন, ‘যা বিনিয়োগ করা হবে, তা কতটুকু ফিডব্যাক দেবে সেই বিষয়টা মাথায় রাখতে হবে।’
এদিকে আমরা প্রায় ৪০টি প্রকল্প চিহ্নিত করেছি যেগুলো আমাদের যাত্রা শুরু করার জন্য বাস্তবায়ন করা দরকার। এই মেয়াদে আমাদের চ্যালেঞ্জ হল আমরা দক্ষতা, স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতার সাথে ৪টি স্তম্ভের অধীনে সমস্ত পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে সক্ষম তা নিশ্চিত করা। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্ব এবং সজীব ওয়াজেদ জয়ের দিকনির্দেশনায় শক্তিশালী ডিজিটাল অবকাঠামো, সাশ্রয়ী মূল্যের ইন্টারনেট অ্যাক্সেস এবং আইসিটি সেক্টরের বিকাশের ধারাবাহিকতায় স্মার্ট বাংলাদেশের ভিত্তি স্থাপিত হয়েছে। নিষ্ঠা, কঠোর পরিশ্রম, সততা, সাহস এবং উদ্ভাবনী চিন্তাভাবনা দিয়ে, চ্যালেঞ্জসমূহ মোকাবেলা করা সম্ভব।
পরে প্রতিমন্ত্রী এমটব, বাক্কো, আইএসপিএবির নেতৃবৃন্দ এবং মোবাইল ফোন অপারেটরসমূহের সিইওসহ সিনিয়র কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় করেন।