সিনিয়র রিপোর্টার : দ্রব্যমূল্যের কারণে মানুষ কষ্টে আছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘মূল্যস্ফীতি বেড়েছে, আমরা সেটা কমিয়ে এনেছি। একটি মহল চক্রান্ত করে মূল্যস্ফীতি বাড়ায়। তবে মানুষের ক্রয়ক্ষমতাও বেড়েছে, এটাও সত্যি কথা। আমরা দ্রব্যমূল্য নিয়ে কাজ করছি। এটি কমাতে ব্যবস্থা নেয়া হবে। রোজায় প্রয়োজনীয় পণ্য কেনার ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
সোমবার (১৫ জানুয়ারি) বঙ্গবন্ধু এভিনিউ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আওয়ামী লীগের যৌথসভায় তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন- দলের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য, ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ এর সহযোগী সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, মানুষের ভোটে সরকার গঠনের মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নেওয়ার কাজ আওয়ামী লীগ করবে। সামনে রোজা, মানুষ যেন কষ্ট না পায়। মূল্যস্ফীতি যাতে হ্রাস পায় তার জন্য যা যা করা দরকার আমরা করবো। সারাবিশ্বে অর্থনীতি মন্দা। কিন্তু আমাদের দেশে যেমন এমন পরিস্থিতি না হয়, সেই চেষ্টাটা করবো। আমাদের অন্তত চাল কিনতে হবে না। আমরা ফ্যামিলি কার্ড করে দিচ্ছি। এর সুফল পাচ্ছেন সীমিত আয়ের মানুষ। চাকরিজীবীদের বেতন-ভাতা বাড়ানো হয়েছে। উন্নয়নের যে কাজ চলছে, তা শেষ করে এর ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশকে ভিক্ষুকের দেশে পরিণত করেছিলো বিএনপি-জামায়াত। আওয়ামী লীগ সে দূর্নাম দূর করেছে। বিএনপি আমলে কোনো উন্নয়ন হয়নি। দেশকে এগিয়ে নিতে আওয়ামী লীগের ক্ষমতায় আসা প্রয়োজন ছিলো। নিজেদের দ্বন্দ্বের কারণে বিএনপি যাতে সুযোগ নিতে না পারে সেজন্য আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সজাগ থাকতে হবে। এ সময় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দোষারোপ বন্ধ করতে দলের ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের নির্দেশ দেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপির দুই কাজ, দুর্নীতি ও মানুষ খুন করা। তাদের দলীয় প্রধানও দুর্নীতির দায়ে কারাদণ্ড পেয়েছেন। বিএনপি নির্বাচনে আসবে না এটাই স্বাভাবিক। তারা ২০১৪ সালে নির্বাচনে না এসে জালাও পোড়াও করেছে। সেই চরিত্র দেখলাম গত ২৮ অক্টোবর পুলিশ হত্যা করেছে। পুলিশ হাসপাতালে হামলা করে। পুলিশ মারে। প্রধান বিচারপতির বাড়িতে হামলা। এখানে কেউ উস্কানি দেয়নি।এটাই তাদের চরিত্র। তবে আমাদের দেশকে এগিয়ে নিতে কাজ করতে হবে। কারণ জনগণের ভোটে আমরা সরকার গঠন করেছি। জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস আমরা পেয়েছি। এই বিশ্বাসের মর্যাদা দিয়ে সবাইকে কাজ করতে হবে।
তিনি বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধে এদেশের মুক্তিকামী মানুষ ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। গরীব মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তনের লক্ষ্যে জাতির পিতা স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন। তিনি বলেছিলেন, মহান অর্জনের জন্য আত্মাত্যাগ করতে হয়। ৬ বছর রিফুজি হিসেবে দেশের বাইরে ছিলাম। ৩২ নম্বরের বাড়িতে আমাদের ঢুকতে দেয়া হয়নি। তখন একটাই লক্ষ্য ছিল মানুষের সেবা করবো। একটা খুনির দেশ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিভিন্ন দেশে চাকরি দিয়ে পুরস্কৃত করা হয়। পোল্যান্ড তখন বলেছিল, বঙ্গবন্ধুর খুনিকে আমরা নিতে পারবো না।