ঢাকা , শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বৃহস্পতিবার রাত থেকে বৃষ্টি হতে পারে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে

  • ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ০৯:২৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৪
  • 136

অনলাইন ডেস্ক  : ঘন কুয়াশায় বিপর্যস্ত জনজীবন। আজ দেশের কোথাও কোথাও সূর্য উঁকি দিয়েছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত থেকে বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।  আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বৃষ্টি হলে কুয়াশা কেটে যাবে। ফলে দিনের তাপমাত্রা বাড়বে। এতে স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরে আসবে। পূর্বাভাস অনুসারে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং কুয়াশা কাটতে কোথাও কোথাও দুপুর হয়ে যেতে পারে। কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহণ ও সড়ক যোগাযোগে সাময়িক বিঘ্ন হতে পারে।

গত এক সপ্তাহে দেশের বিভিন্ন এলাকায় সূর্যের দেখা মেলেনি। কুয়াশার কারণে ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে আকাশ ও নৌপথে যাতায়াতে বিঘ্ন হচ্ছে। সড়ক পথেও যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে।  আবহাওয়াবিদ মো. তরিফুল নেওয়াজ কবির বলেন, আমরা আশা করছি দেশের মধ্যাঞ্চল ও দক্ষিণাঞ্চলে মেঘ ও বৃষ্টি হবে, এতে কুয়াশা কেটে যাবে। ঢাকা ও দক্ষিণাঞ্চলের পাশাপাশি রাজশাহী বিভাগের কয়েকটি জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। কবির বলেন, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত বা শুক্রবার ভোররাত থেকে বৃষ্টি হতে পারে। আজ অনেক জায়গায় সূর্য উঠেছে। যদি পর্যাপ্ত রোদ থাকে, তাহলে রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।

আবহাওয়াবিদ মো. আব্দুর রহমান বলেন, আজ রাতের তাপমাত্রা এক থেকে দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাপমাত্রা বাড়লে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ কেটে যাবে। আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদ বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। ১৯ জানুয়ারিও বৃষ্টি হবে। পর্যাপ্ত মেঘ ভেসে এলে রাতের তাপমাত্রা কিছুটা বাড়বে। এখানে দেখার বিষয় বৃষ্টি কখন শুরু হচ্ছে। বৃষ্টির সময় তাপমাত্রা হ্রাস পাবে। তিনি আরও বলেন, পর্যাপ্ত বৃষ্টি হলে কুয়াশা কেটে যাবে, সূর্যের আলো পড়বে। তখন দিনের তাপমাত্রা বাড়বে ও রাতের তাপমাত্রা কমতে শুরু করবে।

আজ বুধবার ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক এক ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতা ছিল ৯৬ শতাংশ। ঠান্ডা পরিস্থিতি থাকায় উত্তরাঞ্চল ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের একাধিক জেলায় শৈত্যপ্রবাহ বয়ে চলেছে। বুধবার বান্দরবানে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নয় দশমিক চার ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। সীতাকুণ্ডে নয় দশমিক পাঁচ, শ্রীমঙ্গলে নয় দশমিক ছয়, ঈশ্বরদীতে নয় দশমিক আট, বরিশালে নয় দশমিক সাত ও চুয়াডাঙ্গায় নয় দশমিক আট ডিগ্রি সেলসিয়াস সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল।
 

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

বৃহস্পতিবার রাত থেকে বৃষ্টি হতে পারে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে

আপডেট সময় ০৯:২৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৪

অনলাইন ডেস্ক  : ঘন কুয়াশায় বিপর্যস্ত জনজীবন। আজ দেশের কোথাও কোথাও সূর্য উঁকি দিয়েছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত থেকে বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।  আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বৃষ্টি হলে কুয়াশা কেটে যাবে। ফলে দিনের তাপমাত্রা বাড়বে। এতে স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরে আসবে। পূর্বাভাস অনুসারে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং কুয়াশা কাটতে কোথাও কোথাও দুপুর হয়ে যেতে পারে। কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহণ ও সড়ক যোগাযোগে সাময়িক বিঘ্ন হতে পারে।

গত এক সপ্তাহে দেশের বিভিন্ন এলাকায় সূর্যের দেখা মেলেনি। কুয়াশার কারণে ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে আকাশ ও নৌপথে যাতায়াতে বিঘ্ন হচ্ছে। সড়ক পথেও যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে।  আবহাওয়াবিদ মো. তরিফুল নেওয়াজ কবির বলেন, আমরা আশা করছি দেশের মধ্যাঞ্চল ও দক্ষিণাঞ্চলে মেঘ ও বৃষ্টি হবে, এতে কুয়াশা কেটে যাবে। ঢাকা ও দক্ষিণাঞ্চলের পাশাপাশি রাজশাহী বিভাগের কয়েকটি জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। কবির বলেন, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত বা শুক্রবার ভোররাত থেকে বৃষ্টি হতে পারে। আজ অনেক জায়গায় সূর্য উঠেছে। যদি পর্যাপ্ত রোদ থাকে, তাহলে রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।

আবহাওয়াবিদ মো. আব্দুর রহমান বলেন, আজ রাতের তাপমাত্রা এক থেকে দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাপমাত্রা বাড়লে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ কেটে যাবে। আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদ বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। ১৯ জানুয়ারিও বৃষ্টি হবে। পর্যাপ্ত মেঘ ভেসে এলে রাতের তাপমাত্রা কিছুটা বাড়বে। এখানে দেখার বিষয় বৃষ্টি কখন শুরু হচ্ছে। বৃষ্টির সময় তাপমাত্রা হ্রাস পাবে। তিনি আরও বলেন, পর্যাপ্ত বৃষ্টি হলে কুয়াশা কেটে যাবে, সূর্যের আলো পড়বে। তখন দিনের তাপমাত্রা বাড়বে ও রাতের তাপমাত্রা কমতে শুরু করবে।

আজ বুধবার ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক এক ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতা ছিল ৯৬ শতাংশ। ঠান্ডা পরিস্থিতি থাকায় উত্তরাঞ্চল ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের একাধিক জেলায় শৈত্যপ্রবাহ বয়ে চলেছে। বুধবার বান্দরবানে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নয় দশমিক চার ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। সীতাকুণ্ডে নয় দশমিক পাঁচ, শ্রীমঙ্গলে নয় দশমিক ছয়, ঈশ্বরদীতে নয় দশমিক আট, বরিশালে নয় দশমিক সাত ও চুয়াডাঙ্গায় নয় দশমিক আট ডিগ্রি সেলসিয়াস সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল।