ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ন্যায়পরায়ণ, অন্তর্ভুক্তিমূলক ভবিষ্যতের জন্য নারীদের বিজ্ঞানে ক্যারিয়ার গড়ার ওপর গুরুত্বারোপ প্রধানমন্ত্রীর

  • ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ০৭:০০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • 133

সিনিয়র রিপোর্টার : ন্যায়পরায়ণ, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও টেকসই ভবিষ্যতের জন্য বিজ্ঞান ক্ষেত্রে নারীদের আরও বেশি অংশগ্রহণের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের অবশ্যই তরুণ নারীদের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে ক্যারিয়ার বেছে নেওয়ার জন্য সঠিক নীতি ও প্রতিষ্ঠান থাকতে হবে।’

বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদরদফতরে বিজ্ঞান সমাবেশে নবম ‘আন্তর্জাতিক নারী ও কন্যা দিবসের’ আয়োজনে সম্প্রচারিত এক ভিডিও বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন।

সমাবেশে অংশ নেওয়া সকলকে শুভেচ্ছা জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিজ্ঞানে নারীদের নেতৃত্বের পদে উন্নীত করা গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশে আমি ব্যক্তিগতভাবে আমাদের নারী বিজ্ঞানীদের কাজকে স্বীকৃতি ও প্রণোদনার মাধ্যমে এগিয়ে নিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমাদের বিশ্ব যে চ্যালেঞ্জগুলোর  মুখোমুখি তার সমাধান খোঁজায় গবেষণা ও উদ্ভাবনে নিয়োজিত সকল নারীকে আমি অভিনন্দন জানাই। বিজ্ঞানে আমাদের আরও বেশি নারী ও মেয়েদের প্রয়োজন।’

আওয়ামী লীগের সভাপতি বলেন, তাঁর সরকার সারা বাংলাদেশে হাজার হাজার নারী ও মেয়েকে ডিজিটালভাবে ক্ষমতায়ন করছে। ডিজিটাল মার্কেটপ্লেসে তাদের প্রাণবন্ত উপস্থিতি দেখে আমি আনন্দিত বোধ করি। আমরা তরুণ নারীদের আইটি ফ্রিল্যান্সার হিসেবে বেড়ে উঠতে সাহায্য করার জন্য প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছি। আমাদের সরকার নারীদের কাজের ভবিষ্যত তৈরি করতে সাহায্য করার জন্য কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষার প্রসার ঘটাচ্ছে। আমরা সকল উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য বিজ্ঞান ও আইসিটি বিষয়ে শিক্ষা নেওয়া বাধ্যতামূলক করেছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, অতীতে উচ্চ শিক্ষায় বিশেষ করে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে মেয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা সন্তোষজনক ছিল না। তবে বর্তমানে আমাদের সমন্বিত প্রচেষ্টার ফলে সাম্প্রতিক বছরগুলিতে বিজ্ঞান শিক্ষায় নারীদের অংশগ্রহণ উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। বাংলাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে মোট শিক্ষার্থীর প্রায় ৪০ শতাংশ নারী- যেখানে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে তাদের শতকরা হার ৩০ শতাংশ।

তিনি বলেন, তাঁর সরকার গবেষণা এবং উদ্ভাবনী খাতে যে অনুদান প্রদান করে, তাতে নারীরা যেন অগ্রাধিকার পায়- তা নিশ্চিত করেছে। আমাদের তরুণ মেয়েদের ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’-এর রূপকল্প বাস্তবায়নের জন্য প্রস্তুত হতে হবে। আমি সবসময় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে নারী ও মেয়েদের শিক্ষার প্রতি নিবেদিত থাকব।

প্রধানমন্ত্রী ডিজিটাল অন্তর্ভূক্তির মাধ্যমে তার দেশের প্রতিবন্ধী তরুণীদের জীবনে পরিবর্তন সাধন করতে চান।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

নিহত আলিফের চট্টগ্রামের বাড়িতে মাতম

ন্যায়পরায়ণ, অন্তর্ভুক্তিমূলক ভবিষ্যতের জন্য নারীদের বিজ্ঞানে ক্যারিয়ার গড়ার ওপর গুরুত্বারোপ প্রধানমন্ত্রীর

আপডেট সময় ০৭:০০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

সিনিয়র রিপোর্টার : ন্যায়পরায়ণ, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও টেকসই ভবিষ্যতের জন্য বিজ্ঞান ক্ষেত্রে নারীদের আরও বেশি অংশগ্রহণের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের অবশ্যই তরুণ নারীদের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে ক্যারিয়ার বেছে নেওয়ার জন্য সঠিক নীতি ও প্রতিষ্ঠান থাকতে হবে।’

বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদরদফতরে বিজ্ঞান সমাবেশে নবম ‘আন্তর্জাতিক নারী ও কন্যা দিবসের’ আয়োজনে সম্প্রচারিত এক ভিডিও বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন।

সমাবেশে অংশ নেওয়া সকলকে শুভেচ্ছা জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিজ্ঞানে নারীদের নেতৃত্বের পদে উন্নীত করা গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশে আমি ব্যক্তিগতভাবে আমাদের নারী বিজ্ঞানীদের কাজকে স্বীকৃতি ও প্রণোদনার মাধ্যমে এগিয়ে নিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমাদের বিশ্ব যে চ্যালেঞ্জগুলোর  মুখোমুখি তার সমাধান খোঁজায় গবেষণা ও উদ্ভাবনে নিয়োজিত সকল নারীকে আমি অভিনন্দন জানাই। বিজ্ঞানে আমাদের আরও বেশি নারী ও মেয়েদের প্রয়োজন।’

আওয়ামী লীগের সভাপতি বলেন, তাঁর সরকার সারা বাংলাদেশে হাজার হাজার নারী ও মেয়েকে ডিজিটালভাবে ক্ষমতায়ন করছে। ডিজিটাল মার্কেটপ্লেসে তাদের প্রাণবন্ত উপস্থিতি দেখে আমি আনন্দিত বোধ করি। আমরা তরুণ নারীদের আইটি ফ্রিল্যান্সার হিসেবে বেড়ে উঠতে সাহায্য করার জন্য প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছি। আমাদের সরকার নারীদের কাজের ভবিষ্যত তৈরি করতে সাহায্য করার জন্য কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষার প্রসার ঘটাচ্ছে। আমরা সকল উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য বিজ্ঞান ও আইসিটি বিষয়ে শিক্ষা নেওয়া বাধ্যতামূলক করেছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, অতীতে উচ্চ শিক্ষায় বিশেষ করে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে মেয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা সন্তোষজনক ছিল না। তবে বর্তমানে আমাদের সমন্বিত প্রচেষ্টার ফলে সাম্প্রতিক বছরগুলিতে বিজ্ঞান শিক্ষায় নারীদের অংশগ্রহণ উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। বাংলাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে মোট শিক্ষার্থীর প্রায় ৪০ শতাংশ নারী- যেখানে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে তাদের শতকরা হার ৩০ শতাংশ।

তিনি বলেন, তাঁর সরকার গবেষণা এবং উদ্ভাবনী খাতে যে অনুদান প্রদান করে, তাতে নারীরা যেন অগ্রাধিকার পায়- তা নিশ্চিত করেছে। আমাদের তরুণ মেয়েদের ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’-এর রূপকল্প বাস্তবায়নের জন্য প্রস্তুত হতে হবে। আমি সবসময় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে নারী ও মেয়েদের শিক্ষার প্রতি নিবেদিত থাকব।

প্রধানমন্ত্রী ডিজিটাল অন্তর্ভূক্তির মাধ্যমে তার দেশের প্রতিবন্ধী তরুণীদের জীবনে পরিবর্তন সাধন করতে চান।