অনলাইন ডেস্ক : ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার দেশের স্বার্থ ক্ষুন্ন হওয়ার মতো কোনো কাজই করবে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে একটি মর্যাদার জায়গায় নিয়ে গেছেন। বিদেশিরা বিনিয়োগ করতে চাচ্ছে। কারণ, তারা জানে বাংলাদেশে এখন বিনিয়োগ করলে লাভ পাওয়া যাবে। দেশ বিক্রি করার চুক্তি আমরা করি নাই, করব না। দেশের স্বার্থ বিকিয়ে শেখ হাসিনা কিছু করবেন না। প্রধানমন্ত্রী সামগ্রিক চিন্তা করেন। চট্টগ্রাম বন্দরের স্বার্থ, দেশের স্বার্থ ক্ষুন্ন হয়, এমন কিছু শেখ হাসিনার সরকার করবে না।’
শনিবার চট্টগ্রাম বন্দরের ৪নং গেট সংলগ্ন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় সংযোজিত রপ্তানিমুখী পণ্যবাহী কন্টেইনার স্ক্যানার স্থাপন ও হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যের এসব কথা বলেন নৌপরিবহণ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
নৌ প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করছে এবং আরও বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করছে। ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম বন্দরের পতেঙ্গা টার্মিনাল অপারেশনে ভ্রাতৃপ্রতিম রাষ্ট্র সৌদি আরব বিনিয়োগ করেছে। আরও কয়েকটি দেশ বিনিয়োগের জন্য পাইপলাইনে আছে।এসব বিনিয়োগের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের অর্থনীতি আরও বেশি শক্তিশালী হবে। বন্দরের সক্ষমতা আরও বৃদ্ধি পাবে।
চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এম সোহায়েলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোস্তফা কামাল, প্রকল্প পরিচালক ও চট্টগ্রাম বন্দরের পরিচালক (নিরাপত্তা) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোস্তফা আরিফুর রহমান খান। চট্টগ্রাম বন্দরের সংরক্ষিত এলাকার অভ্যন্তরে ৪নং ও সিপিএআর গেট সংলগ্ন এলাকায় এ স্ক্যানার দুটি স্থাপন করা হয়। এ প্রকল্পের আওতায় রপ্তানিমুখী গেটে ২টি কন্টেইনার স্ক্যানার, ২ সেট রেডিও একটিভ পোর্টাল মনিটর এবং স্ক্যান্ড ইমেজ মনিটরিং সেন্টার ও রিয়েল টাইম সিসিটিভি ও ইমেজ মনিটরিং সিস্টেম স্থাপন করা হয়েছে।
এর আগে প্রতিমন্ত্রী চট্টগ্রামের বন্দরের শহীদ মো. ফজলুর রহমান মুনশি অডিটরিয়ামে বন্দরের কর্মকর্তা কর্মচারীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় যোগদান করেন। সভায় খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বন্দরের কর্মকর্তা কর্মচারীরা যেসব দাবি দাওয়ার কথা বলছেন- সেগুলো সরকারের কথা। সরকার কাউকে গৃহহীন রাখবে না। কল্যাণ ফাউন্ডেশন গঠন, ইনসেন্টিভ, হাউস লোন, ইনক্রিমেন্ট বৃদ্ধিসহ নানা কল্যাণমূলক বিষয়ে সরকার কাজ করছে।